আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,106 views
in সালাত(Prayer) by (26 points)

আসসালামু আলাইকুম

মুহতারাম, 

আমাদের দেশে একটি প্রচলন মাঝে মাঝে দেখতে পাওয়া যায়, যে, অনেকে বসে নফল নামাজ আদায় করে, শহরে যদিও এটা খুব একটা চোখে পড়ে না, কিন্তু গ্রামে এভাবে নামাজ আদায় বেশ সমাদৃত। সুস্থ-অসুস্থ, বৃদ্ধ-যুবা সকলে ফরজ সুন্নাত আদায় করে বসে দু-রাকাত নফল সালাত আদায় করে। বিশেষ করে এশার সালাতের পরে।

দয়া করে বলবেন কি এটা কতুটুক বিশুদ্ধ, এবং এই প্রচলন কোথা থেকে আসলো?

1 Answer

+3 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়ত কর্তৃক গ্রহণযোগ্য ওযর ব্যাতিত ফরজ,ওয়াজিব,সুন্নাত নামাজ বসে আদায় করা জায়েজ নেই।
এতে নামাজের অন্যতম ফরজ  "" কিয়াম""  ছুটে যাওয়ার কারনে নামাজই হবেনা।
,
শরয়ী ওযরবশত বসে আদায় করতে পারবে।
কোনো সমস্যা নেই। 
,
নফল নামায ওযর ছাড়াই বসে আদায় করতে পারবে। 
এতে সওয়াবের অর্ধেক পাবে।
তাই দাঁড়িয়ে রুকু সেজদা করে নামায আদায় করাই উত্তম।
,
তবে শরয়ী ওযরবশত বসে আদায় করলে পূর্ণ ছওয়াব পাবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَلاَةِ الرَّجُلِ وَهُوَ قَاعِدٌ، فَقَالَ: «مَنْ صَلَّى قَائِمًا فَهُوَ أَفْضَلُ، وَمَنْ صَلَّى قَاعِدًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ القَائِمِ، وَمَنْ صَلَّى نَائِمًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ القَاعِدِ (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب صفة الصلاة، مَطْلَبٌ قَدْ يُطْلَقُ الْفَرْضُ عَلَى مَا يُقَابِلُ الرُّكْنَ وَعَلَى مَا لَيْسَ بِرُكْنٍ وَلَا شَرْطٍ، بحث القيام-2/131-132، طحطاوى على مراقى الفلاح، كتاب الصلاة، فصل فى صلاة النفل جالسا-402

হযরত ইমরান বিন হুসাইন রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এক ব্যক্তির বসে নামায পড়া বিষয়ে প্রশ্ন করলে জবাবে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামায পড়ে সে উত্তম। বসে যে নামায পড়ে, সে দাড়িয়ে নামায আদায়কারীর তুলনায় অর্ধেক সওয়াব পায়। আর যে ব্যক্তি শুয়ে নামায পড়ে, সে বসে নামায আদায়কারীর তুলনায় অর্ধেক সওয়াব পায়। [বুখারী, হাদীস নং-১১১৬]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
এশার সালাতের পর সুন্নাত বিতর পড়ে বসে নফল আদায়ের বিষয়টি রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে প্রমাণিত।     

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْها أن النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كان يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ بعد الوتر وَهُوَ جَالِسٌ .

তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বিতিরের পর বসে বসে দুই রা'কাত নামায পড়েছেন।(সহীহ মুসলিম-৭৩৮)

হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘তিনি বসে ক্বিরাআত করতেন। অতঃপর রুকূ করার ইচ্ছা করলে উঠে দাঁড়িয়ে যেতেন।’ (মুসলিম, সহীহ ৭৩১নং)

আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘রাতের নামাযে আমি নবী (সাঃ)-কে বসে ক্বিরাআত করতে দেখিনি। অতঃপর তিনি যখন বার্ধক্যে উপনীত হলেন, তখন তিনি বসে ক্বিরাআত করতেন। পরিশেষে যখন ৪০ বা ৩০ আয়াত বাকী থাকত, তখন তিনি খাড়া হয়ে তা পাঠ করতেন। অতঃপর (রুকূ) সিজদা করতেন।’ (মুসলিম, সহীহ ৭৩১নং, আহমাদ, মুসনাদ, সুনানু আরবাআহ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ্)
,

★বসে নামাজ পড়াতে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পূর্ণ ছওয়াব মিলতো।
কিন্তু আমাদের অর্ধেক ছওয়াব মিলবে।
(ফাতাওয়ায়ে শামি ২/৪৮৪)
,
তবে কেহ যদি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর আনুগত্য স্বরুপ বিতরের নামাজের পর বসে নফল পড়ে,তাহলে সে দুটিই ছওয়াব পাবে।
নফলের অর্ধেক ছওয়াব।
রাসুল সাঃ এর আনুগত্যের ছওয়াব।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (26 points)
আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
by (0 points)
হুজুর ফরজ নামাজের পরে কি ভাবে এলান দিতে হয়। আমাদের দেশে তাবলিগের ভাইয়েরা ফরজ নামাজ শেষে (আলহামদুলিল্লাহ বাকি নামাজ শেষে দিনের কতা হবে ইনশাআল্লাহ) বলে কথাটা কতটুকু ছহি দয়া করে জানাবেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 317 views
...