আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
229 views
in সালাত(Prayer) by (3 points)

বেশীর ভাগ মুসল্লী ২ জন হাফেয সাহেবের পিছনে ঈশার পরে ২৭ দিনে খতম তারাবী পড়েন। কিন্তু কিছু মুসল্লী জামাতের সাথে ঈশার নামাজ পড়ে বাড়ী চলে যান। পরে মধ্যরাতে ভিন্ন ২ জন হাফেয সাহেবের পিছনে তারা তারাবী ও বিতর পড়েন। তারা প্রতিদিন ২ পারা করে পড়েন। এভাবে রমাজানে ২ খতম করতে চান। একই মসজিদে এই ২য় সুরত যায়েজ হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
জবাব
মসজিদে দ্বিতীয় জামাত।
ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﺤﺐ ﺃﻥ ﺗﻜﻮﻥ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ ﻭﺍﺣﺪﺓ "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,মু'মিনদের জামাত যেন একটাই হয়।(সহীহ ইবনে খুযাইমাহ- সুনানু আবি দাউদ-)

ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺭﺟﻊ ﻣﻦ ﻧﺎﺣﻴﺔ ﻣﻦ ﻧﻮﺍﺣﻲ ﺍﻟﻤﺪﻳﻨﺔ ﻭﻣﺠﻤﻮﻋﺔ ﻣﻦ ﺃﺻﺤﺎﺑﻪ، ﻭﻭﺟﺪ ﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔ ﻗﺪ ﺍﻧﺘﻬﺖ ﻓﻘﻔﻠﻮﺍ ﺇﻟﻰ ﺑﻴﻮﺗﻬﻢ ﻭﺻﻠﻮﺍ ﻓﻲ ﺑﻴﻮﺗﻬﻢ ﻓﺮﺍﺩﻯ، ﻭﻣﺎ ﺻﻠﻮﺍ ﺟﻤﺎﻋﺔ ﺛﺎﻧﻴﺔ 
রাসূলুল্লাহ সাঃ একবার মদিনার দূর থেকে আসতেছিলের,সাথে সাহাবাবর্গ ও ছিলেন।মদিনায় এসে দেখলেন যে,জামাত সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।তখন তারা যার যার ঘরে গিয়ে নামায আদায় করলেন।কিন্তু দ্বিতীয়বার জামাতে নামায পড়েননি।(মু'জামে তাবারানি)

এজন্য উলামায়ে কেরাম বলেন,যে মসজিদের ইমাম মু'আজ্জিন নির্ধারিত আছেন,সেই মসজিদে দ্বিতীয় জামাত মাকরুহে তাহরীমি। তবে বিষয়টা মতবেদ র্পূর্ণ। উলামাদের মতপার্থক্য এতে বিদ্যমান রয়েছে।
আর যদি কোনো মসজিদ এমন থাকে,যেখানের ইমাম মু'আজ্জিন নির্ধারিত নয়, তাহলে সেই মসজিদে জামাতের জন্য আহবান করা ব্যতীত তথা তিন/চার জন মিলে দ্বিতীয় জামাত পড়া যাবে। রুখসত রয়েছে।

(b) নন মসজিদে দ্বিতীয় জামাত করা যাবে। 

(c) এই হাদীসের ব্যখ্যা হল, মুসলমানদের জামাত একটাই হবে। এবং ঐ জামাতে সময়মত সবাইকে শরীক হতে হবে। সময়মত মসজিদের জামাতে শরীক হওয়ার জন্যই রাসূলুল্লাহ সাঃ এমনটা বলেছেন। দ্বিতীয় জামাতের সুযোগ হয়ে গেলে লোকজন এক জামাতে একত্রিত হবে না। এবং বিশৃংখা দেখা দিবে। লোকদের মধ্যে অলসতা চলে আসবে। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এভাবে মসজিদে দ্বিতীয় জামাত মাকরুহে তাহরিমী। যদি কেউ দুই পারা করে পড়তে চায়,তাহলে সে যেন,বাড়িতে পড়ে নেয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 138 views
...