জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
যাকাত ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রুকন। ঈমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ইবাদত হল সালাত ও যাকাত।
আয়াতে ইরশাদ হয়েছে-
وَ اَقِیْمُوا الصَّلٰوةَ وَ اٰتُوا الزَّكٰوةَ ؕ وَ مَا تُقَدِّمُوْا لِاَنْفُسِكُمْ مِّنْ خَیْرٍ تَجِدُوْهُ عِنْدَ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِیْرٌ۱۱۰
‘তোমরা সালাত আদায় কর এবং যাকাত প্রদান কর। তোমরা যে উত্তম কাজ নিজেদের জন্য অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহর নিকটে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখছেন। -সূরা বাকারা : ১১০
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে-
وَ اَقِیْمُوا الصَّلٰوةَ وَ اٰتُوا الزَّكٰوةَ وَ اَطِیْعُوا الرَّسُوْلَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ۵۶
‘তোমরা সালাত আদায় কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পার।’-সূরা নূর : ৫৬
হাদীছ শরীফে এসেছে,
عَنْ أَبِىْ ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا مِنْ رَجُلٍ تَكُوْنُ لَهُ إِبِلٌ أَوْ بَقَرٌ أَوْ غَنَمٌ لاَ يُؤَدِّى حَقَّهَا إِلاَّ أُتِىَ بِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْظَمَ مَا تَكُوْنُ وَأَسْمَنَهُ، تَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا، وَتَنْطَحُهُ بِقُرُوْنِهَا، كُلَّمَا جَازَتْ أُخْرَاهَا رُدَّتْ عَلَيْهِ أُوْلاَهَا، حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ-
আবূ যার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক উট, গরু ও ছাগলের অধিকারী ব্যক্তি যে তার যাকাত আদায় করবে না, নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিন তাদেরকে আনা হবে বিরাটকায় ও অতি মোটাতাজা অবস্থায়। তারা দলে দলে তাকে মাড়াতে থাকবে তাদের ক্ষুর দ্বারা এবং মারতে থাকবে তাদের শিং দ্বারা। যখনই তাদের শেষ দল অতিক্রম করবে, পুনরায় প্রথম দল এসে তার সাথে এরূপ করতে থাকবে, যাবৎ না মানুষের বিচার ফায়ছালা শেষ হয়ে যায়।
(বুখারী হা/১৪৬০; মুসলিম হা/৯৯০; মিশকাত হা/১৭৭৫।)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এগুলোর মালিক কে?
আপনার বাবা? নাকি আপনি?
,
যেই মালিক হোক,তার উপর যাকাত ফরজ হবে।
,
এক্ষেত্রে সেই ১২ আনা স্বর্ণ আর ৮ আনা রৌপ্য বাজারে বিক্রয় করতে গেলে যেই দাম আসবে,সেই টাকা ধরুন।
৪৭ হাজার টাকা ধরতে হবে।
উক্ত গরুর বর্তমান বাজার মূল্য কত হতে পারে,আনুমানিক ভাবে একটি রেট ধরুন।
,
এবার স্বর্ন ও রুপার মূল্য + ৪৭ হাজার টাকা+ গরুর বর্তমান বাজার মূল্য = কত টাকা আসে?
সেটার শতকরা আড়াই পার্সেন্ট তথা চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত দিতে হবে।
,
আর অন্যের কাছে যে ৫০ হাজার টাকা ধার দেওয়া আছে,সেই টাকা হস্তগত হওয়ার পর সেটির যাকাত আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে যদি কয়েকবছর অতিক্রম হয়ে যায়,তাই সেই টাকা হস্তগত হওয়ার পর বিগত বছর গুলোরও যাকাত দিতে হবে।
তবে এগুলোর মালিক যদি আলাদা আলাদা ব্যাক্তি হয়,সেক্ষেত্রে সকলের উপর যাকাত ফরজ হবেনা।
যার মালিকানায় যে সম্পদ রয়েছে,সেটি যদি নেসাব পরিমান হয়,আর এই মালিকানার একবছর পূর্ণ হয়, তবেই তার উপর যাকাত ফরজ হবে।