আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
293 views
in সালাত(Prayer) by (54 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ্


১. আমার ঘন ঘন সাদাস্রাব হয়, কিন্তু মাযুর নই। এক্ষেত্রে আমি স্বলাত আদায়ের সময় শুধু জরায়ুর বাইরের দিকে চেক করি, স্রাব নির্গত না হলে সেই ওযু দিয়েই স্বলাত কন্টিনিউ করি। জরায়ুর ভিতরে বা আশেপাশে যদি সাদাস্রাব বের হয়ে থাকে কিন্তু বাইরের দিকে বের হয়নি তাহলে কি ওযু ভাঙবে?

২. রাতের বেলা ১০০ আয়াত তিলওয়াতের ফযিলত জানতে চাচ্ছি।


৩. হালকা উত্তেজনায় যদি সাদাস্রাবের মত কিছু বের হয় ( কিন্তু তা বের হবার সময় কোনো অনুভুতি হয়নি) এক্ষেত্রে কিভাবে বুঝবো মনী না মযী? যেহেতু আমার সাদাস্রাবের সমস্যা আছে।

1 Answer

0 votes
by (636,510 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
আপনি জরায়ুর বাইরের দিকে চেক করে, স্রাব নির্গত না পেলে সেই ওযু দিয়েই স্বলাত কন্টিনিউ করবেন।
এতে নামাজ হয়ে যাবে।
তবে নামাজের মধ্যেও যেনো সেটি জরায়ুর বাইরের দিকে নির্গত না হয়।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
তামীম দারী রা. থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

قَالَ مَنْ قَرَأَ مِائَةَ آيَةٍ فِي لَيْلَةٍ كُتِبَ لَهُ قُنُوتُ لَيْلَةٍ

“যে ব্যক্তি এক রাতে একশ’টি আয়াত পাঠ করবে, সে ব্যক্তির আমলনামায় ঐ রাতের ইবাদত বন্দেগী ও নফল নামাযের সওয়াব লিপিবদ্ধ করা হবে।”
(আহমাদ ১৬৯৫৮, নাসাঈ কুবরা ১০৫৫৩, ত্বাবারানী ১২৩৮, দারেমী ৩৪৫০, সিলসিলাহ সহীহাহ ৬৪৪)

 তিনি আরও বলেছেন,.

مَنْ قرأَ في ليلةٍ مِائةَ آيَةٍ لمْ يُكْتَبْ مِنَ الغَافِلِينَ أوْ كُتِبَ مِنَ القَانِتِينَ

“যে ব্যক্তি রাতে ১০০ আয়াত তিলাওয়াত করে তাকে গাফেলদের (অন্যমনস্ক, অমনোযোগীদের) মাঝে লিপিবদ্ধ করা হবে না। অথবা তাকে আল্লাহর আনুগত্যশীল বান্দাদের মাঝে লিপিবদ্ধ করা হবে।”

(ইমাম মুহাম্মদ বিন নাসর আল মারওয়াযী রহ. ক্বিয়ামুল লাইল, পৃ:৬৬; শাইখ আলবানী সিলসিলা সহীহাহ গ্রন্থে বলেন, এ হাদীসে শাইখাইন তথা ইমাম বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ। হা/৬৪৩)

(০৩)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে এসেছেঃ

وَمَنِيُّ الْمَرْأَةِ رَقِيقٌ أَصْفَرُ وَالْمَذْيُ رَقِيقٌ يَضْرِبُ إلَى الْبَيَاضِ يَبْدُو خُرُوجُهُ عِنْدَ الْمُلَاعَبَةِ مَعَ أَهْلِهِ بِالشَّهْوَةِ وَيُقَابِلُهُ مِنْ الْمَرْأَةِ الْقَذْيُ، وَالْوَدْيُ بَوْلٌ غَلِيظٌ وَقِيلَ مَاءٌ يَخْرُجُ بَعْدَ الِاغْتِسَالِ مِنْ الْجِمَاعِ وَبَعْدَ الْبَوْلِ. كَذَا فِي التَّبْيِينِ.

মহিলার বীর্য পাতলা,হলুদ বর্ণাটের হয়,এবং নারীদের মযি পাতলা সাদা বর্ণাটের হয়, মযি সহবাসের সূচনায় পুরুষের লিঙ্গ থেকে বের হয়।সহবাসের সূচনায় মহিলার যোনীপথ থেকে যে পিচ্ছিল পদার্থ বের হয়,সেটার নাম কাযি।ওদি হল,গাঢ় প্রস্রাব কেউ কেউ বলেন,ঐ পানি যা সহবাস পরবর্তী গোসলের পর লিঙ্গ থেকে বের হয়,এবং প্রস্রাবের পর বের হয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১০)

আরো জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত সাদাস্রাব বীর্য নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 356 views
0 votes
1 answer 343 views
0 votes
1 answer 186 views
0 votes
1 answer 174 views
...