আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
559 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম,  সন্তান জন্মের পরে আকিকা সম্পর্কে জানতে চাই,
সন্তান জন্মের পরে যাবতীয় কাজ সম্পর্কে জানতে চাই।  আমি শুনেছি সন্তান জন্মের পরে সপ্তম দিনের দিন যখন মাথা মুন্ডন করা হয় সেই চুল এর ওজন সমপরিমাণ স্বর্ণের অর্থ সদাকা করে দেয়া, এই কথা কতটুকু সত্য?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, 
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْقُطَعِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ عَقَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْحَسَنِ بِشَاةٍ وَقَالَ " يَا فَاطِمَةُ احْلِقِي رَأْسَهُ وَتَصَدَّقِي بِزِنَةِ شَعْرِهِ فِضَّةً " . قَالَ فَوَزَنَتْهُ فَكَانَ وَزْنُهُ دِرْهَمًا أَوْ بَعْضَ دِرْهَمٍ
তিনি বলেন, একটি বকরী দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসানের আকীকা করেন এবং বলেনঃ হে ফাতিমা! তার মাথা নেড়া করে দাও এবং তার চুলের ওজনের অনুরূপ রূপা দান কর। তদানুযায়ী আমি তার চুল ওজন করলাম এবং তার ওজন এক দিরহাম বা তার কাছাকাছি হয়। (সুনানে তিরমিযি-১৫১৯, -আলমুজামুল আওসাত, হাদীস ৫৫৮; মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদীস ৬২০৪; ইলাউস সুনান ১৭/১১৯)

সন্তান জন্মের ৭ম দিনে অভিভাবকের দায়িত্ব হল, সন্তানের আকীকা করা, মাথার চুল মুণ্ডন করা এবং তার সুন্দর নাম রাখা। 

আকিকা করা সুন্নত(সুন্নতে যায়েদা)।আকিকা করলে সওয়াব হবে,তবে ছেড়ে দিলে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে
العقيقة عن الغلام وعن الجارية وهي ذبح شاة في سابع الولادة وضيافة الناس وحلق شعره مباحة لا سنة ولا واجبة كذا في الوجيز للكردري.
ছেলে সন্তান এবং মেয়ে সন্তান উভয়ের পক্ষ্য থেকে সপ্তম দিনে আকিকা করা হবে এবং যিয়াফত করানো হবে ও চুল মুন্ডানো হবে।এটা মুবাহ তথা সুন্নতে যায়েদা।সুন্নতে মু'আক্বাদা বা ওয়াজিব নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৬২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
( مَنْ وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَأَحَبَّ أَنْ يَنْسُكَ عَنْهُ فَلْيَنْسُكْ ، عَنْ الْغُلامِ شَاتَانِ مُكَافِئَتَانِ ، وَعَنْ الْجَارِيَةِ شَاةٌ )
যদি কারো সন্তান জন্ম নেয় এবং সে যদি পছন্দ করে আকিকা দিতে,তাহলে সে যেন বরাবর দুটি ছাগল দ্বারা ছেলের আকিকা করে।এবং একটি ছাগল দ্বারা মেয়ের আকিকা করে।(সুনানু আবু-দাউদ-২৮৪২)
فعلق النبي صلى الله عليه وسلم أمرها على محبة فاعلها، وهذا دليل على أنها مستحبة غير واجبة.
রাসূলুল্লাহ সাঃ উক্ত হাদিসে আকিকাকারীর মহব্বতের উপর বিষয়টাকে ছেড়ে দিয়েছেন।কাজেই বু্ঝা গেল,আকিকা করা সুন্নতে মুসতাহাব্বাহ এর অন্তর্ভুক্ত।ওয়াজিব নয়।করলে সওয়াব ও ফযিলত আছে।না করলে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।(তুহফাতুল মাওলুদ-১৫৭)

ছেলের পক্ষ্য থেকে দুইটি ছাগল দ্বারা আকিকা করা এবং মেয়ের পক্ষ্য থেকে একটি ছাগল দ্বারা আকিকা করা মুস্তাহাব।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1755


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

–1 vote
1 answer 272 views
...