আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
১. কোনো ব্যক্তি নিজেকে মনে মনে কাফের মনে করলে কি সে কাফের হয়ে যাবে?

২. হারাম কাজকে কোনো মুসলমান উৎসাহিত করলে সে কি কাফের হয়ে যাবে? যেমনঃ কোথাও গান-বাজনা চলছে এমন জায়গায় একজন মুসলমান গিয়ে বললো, "খুব সুন্দর হচ্ছে তোমাদের গান। আরো কিছু গান গাও।" এই কর্মকান্ডের জন্য কি ঐ মুসলমান কাফের হয়ে যাবে?

৩. ধরুন একজন কাফের কাফের থাকা অবস্থায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে গালি দিল। এরপর যদি সেই ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে গালি দেওয়ার জন্য তওবা করে এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে  তবে কি তার তওবা কবুল হবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে গালি দেওয়ার জন্য যে শাস্তি রয়েছে তা কি মাফ হয়ে যাবে? অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষদের ক্ষেত্রেও কি একই নিয়ম প্রযোজ্য? অর্থাৎ, কোনো খ্রিষ্টান, কোনো হিন্দু, কোনো ইহুদি যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে গালি দেয় এবং এরপর যদি সেই ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে গালি দেওয়ার জন্য তওবা করে এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তবে কি তার তওবা কবুল হবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে গালি দেওয়ার জন্য যে শাস্তি রয়েছে তা কি মাফ হয়ে যাবে?

আল্লাহ আপনার এ কষ্টের উত্তম প্রতিদান দিক।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) কোনো ব্যক্তি নিজেকে মনে মনে কাফের মনে করলে এবং নিজের কাফের হওয়ার ব্যাপারে ইয়াকিন বিশ্বাস থাকলে, সে কাফির হয়ে যাবে। 
(২)হারাম কাজকে কোনো মুসলমান উৎসাহিত করলে সে কাফির হবে না। তবে গোনাহগার অবশ্যই সে হবে। 
(৩)শাতিমে রাসূল কে হত্যা করা ওয়াজিব।শাতিমের রাসূল সাঃ এর অপরাধ মুরতাদের মত নাকি তারচেয়ে বেশী? মুরতাদের মত শাতিমের তাওবাহ কবুল হবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।ইমাম মালিক রাহ ও ইমাম আহমদ রাহ, বলেন,তাওবাহ কবুল হবে না।ইমাম আবু হানিফা রাহ ও ইমাম শা'ফেয়ী রাহ এর মতে মুরতাদের মত শাতিমের তাওবাহ ও কবুল হবে।

মুরতাদ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,
إن قتله إنسان قبل الاستتابة يكره له ذلك ولا شيء عليه لزوال عصمته بالردة
যদি ঘটনাক্রমে কেউ মুরতাদকে তওবা করার পূর্বেই হত্যা করে ফেলে, তাহলে কাজটি মাকরূহ হবে। তবে   হত্যাকারীর উপর কোন কেসাস বা দিয়ত কিছুই ওয়াজিব হবে না।কেননা মুরতাদ হওয়ার দরুণ তার রক্ত মূল্যহীন হয়ে গেছে।{বাদায়ে সানায়ে-৭/১৩৪}

শাতিমে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধান হল,এই শাতিম কে হত্যা করা ওয়াজিব।
রাষ্ট্রর দায়িত্ব।জনগণ নিজের হাতে শরয়ী বিধি-বিধান বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিতে পারবে না।ইসলামী হুকুমত সম্বলিত কোনো রাষ্ট্রের জনগণ যদি হত্যা করে ফেলে,তাহলে এই হত্যা মাকরুহ হবে।তবে যেখানে ইসলামী হুকুমত নেই, সেখানকার জনগণের জন্য শাতিমকে হত্যা করা কখনো জায়েয হবে না।বরং এই শাতিমের ফাসির জন্য যথাসাধ্য আন্দোলন করতে হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2689


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...