বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
স্বামী স্ত্রী উভয় জান্নাতী হলে, জান্নাতেও তারা স্বামী -স্ত্রী হিসেবে থাকবে।যদি একজন জান্নাতি হয় এবং অন্যজন জাহান্নামি হয়,তাহলে তারা জান্নাতে একত্রিত হবে না।
কোনো মহিলার একাধিক বিয়ে হলে সর্বশেষ যার সাথে বিয়ে হয়েছে,তার সাথেই পরকালে তার সংসার হবে।এটাই বিশুদ্ধ মত।
অবিবাহিত পুরুষ-মহিলা যারা মারা যাবেন,জান্নাতে তাদেরকে হয়তো পরস্পর বিয়ে দেয়া হবে নতুবা জান্নাতী পুরুষ-মহিলাকে বিয়ে করার জন্য তাদেরকে সুযোগ দেয়া হবে।
জান্নাতে আল্লাহ তা'আলা জান্নাতীদের সকল আবদার ও মনের কামনাবাসনাকে উত্তমরূপে পূর্ণ করবেন।
যদি আপনার বান্ধবী আল্লাহকে রাজী এবং খুশী করার জন্যই হারাম সম্পর্ককে পরিত্যাগ করে থাকেন।এবং খালিছ নিয়তে অতীতের পাপের জন্য তাওবাহ করেন।এবং যদি উনি অবিবাহিত অবস্থায় মারা যান এবং জান্নাতে যান,এবং ঐ ছেলেটাও জান্নাতে যায়,এবং জান্নাতে তারা পরস্পর পরস্পরকে বিয়ে করতে চায়,তাহলে আল্লাহ চাহে তো অবশ্যই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন।
তবে এটা নিশ্চিত নয় যে,দুনিয়াতে মানুষ যা চাইতেছে সেটাই যে আখেরাতে চাইবে,বরং হয়তো তখন মনের অবস্থা সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তনও হয়ে যেতে পারে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কারো জন্য নিজের জীবনকে আটকিয়ে রাখা উচিৎ নয়।কারো জন্য অপেক্ষা করাও উচিৎ নয়।বরং ধারাবাহিক গতিতে নিজের জীবনকে অন্য দশ জনের মত পরিচালনা করাই উচিৎ এবং উত্তম।
সুতরাং নিজের ঈমান-আমল কে হেফাজত করার স্বার্থে আপনার বান্ধবীর জন্য উচিৎ হবে,এমন অপেক্ষার মনোভাব পরিহার করে কোথাও দ্বীনদ্বার কোনো পাত্র দেখে বিয়ে করে নেয়া।কেননা এই দুনিয়ার মনোভাব আখেরাতে নাও থাকতে পারে।যদি আখেরাতে ঐ ছেলে বা আপনা বান্ধবী বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়,তখন আপনার বান্ধবী বা ঐ ছেলের কি হবে?
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.