আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
542 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
কালো ছাড়া অন্য কোনো কালারের হাত মোজা পড়লে কি পর্দার হক আদায়ে কোন সমস্যা হবে?  কারণ ইদানিং অনেক মেয়েরাই ব্যবহার করছে, ফলশ্রুতিতে আমিও ব্যবহার করেছি। এ বিষয়ে সহীহ মতামত আশা করছি। কালারের মধ্যে খয়েরী, অ্যাশ, পার্পেল, লাইট পার্পেল, কফি কালার  উল্লেখযোগ্য।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পর্দার পোশাক কি কালো রঙের এবং সাধাসিধা জরুরি? এমন এক প্রশ্নের জবাবে https://www.ifatwa.info/8570 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

পর্দার পোশাক অর্থাৎ হিজাবের অন্তর্ভুক্ত পোশাকগুলো কি কালো রঙের এবং সাধাসিধা জরুরি নাকি বিভিন্ন রঙের (যা আকর্ষণীয়) এবং ফ্যাশনেবল হওয়া যথেষ্ট?

পর্দার তিনটি স্থর নিয়ে।
প্রথম স্থরঃ 
মহিলা সর্বাবস্থায় ঘরে বসে থাকবে,অর্থাৎ ঘরের ভিতর থাকার মাধ্যমে ব্যক্তি পর্দা করবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ 
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺳَﺄَﻟْﺘُﻤُﻮﻫُﻦَّ ﻣَﺘَﺎﻋًﺎ ﻓَﺎﺳْﺄَﻟُﻮﻫُﻦَّ ﻣِﻦ ﻭَﺭَﺍﺀ ﺣِﺠَﺎﺏٍ ﺫَﻟِﻜُﻢْ ﺃَﻃْﻬَﺮُ ﻟِﻘُﻠُﻮﺑِﻜُﻢْ ﻭَﻗُﻠُﻮﺑِﻬِﻦَّ
তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ।
{সূরা আহযাব-৫৩}
ﻭَﻗَﺮْﻥَ ﻓِﻲ ﺑُﻴُﻮﺗِﻜُﻦَّ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺒَﺮَّﺟْﻦَ ﺗَﺒَﺮُّﺝَ ﺍﻟْﺠَﺎﻫِﻠِﻴَّﺔِ ﺍﻟْﺄُﻭﻟَﻰ ﻭَﺃَﻗِﻤْﻦَ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﺁﺗِﻴﻦَ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓَ ﻭَﺃَﻃِﻌْﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟَﻪُ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻴُﺬْﻫِﺐَ ﻋَﻨﻜُﻢُ ﺍﻟﺮِّﺟْﺲَ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟْﺒَﻴْﺖِ ﻭَﻳُﻄَﻬِّﺮَﻛُﻢْ ﺗَﻄْﻬِﻴﺮًﺍ
তরজমাঃ
তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে। (সূরা-আহযাব-৩৩)

দ্বিতীয় স্থরঃ
প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে,এক্ষেত্রে এক বা উভয়  চক্ষু খোলা রেখে সমস্ত শরীর ঢেকে রাখতে হবে।
যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﻗُﻞ ﻟِّﺄَﺯْﻭَﺍﺟِﻚَ ﻭَﺑَﻨَﺎﺗِﻚَ ﻭَﻧِﺴَﺎﺀ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳُﺪْﻧِﻴﻦَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻦَّ ﻣِﻦ ﺟَﻠَﺎﺑِﻴﺒِﻬِﻦَّ ﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺩْﻧَﻰ ﺃَﻥ ﻳُﻌْﺮَﻓْﻦَ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﺆْﺫَﻳْﻦَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔُﻮﺭًﺍ ﺭَّﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব-৫৯)

তৃতীয় স্থরঃ
মহিলাদের সমস্ত দেহ আবৃত থাকবে কিন্তু ফিতনার আশংকা না থাকলে মুখমণ্ডল ও হাতের তালু খোলা রাখা যাবে।এ স্থর নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।তবে সর্বাবস্থায় ফিতনার আশংকা না থাকাই লক্ষণীয়।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/572

পর্দার পোশাক অর্থাৎ হিজাবের অন্তর্ভুক্ত পোশাকগুলো কালো রঙের হওয়া জরুরী নয়।বরং যেকোনো কালারের পোষাক মহিলারা পড়তে পারবে।তবে শর্ত হল,আকর্ষণীয় হতে পারবে না,বরং সাধাসিধে হতে হবে।উত্তম এটাই যে,কালো বা এমন কোনো রঙের বোরখা হওয়া,যা আকর্ষণীয় নয়।

আকর্ষনীয় হয় যা ফিতনাকে সম্ভাবনাময় করে তুলে,এমন পোষাক বা বোরখাকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।যদি পুরপুরুষের সামনে যাওয়ার প্রয়োজন হয়,তাহলে এমন ফিতনা সম্ভলিত পোষাক পরিধান করে মহিলা যেতে পারবে না।

মোটকথাঃ
আকর্ষণীয় পোষাক দ্বারা পর্দা রক্ষা হবে না।


পর্দার অর্থ হল,
এমন ঢিলেঢালা কাপড় পরিধান করা যাতেকরে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ অঙ্গ সমূহ জনসম্মুখে প্রকাশিত না হয়।

সব কিছু এক কালার হোক বা না হোক এতে কোনো সমস্যা নেই। বোরকা ঢিলেঢালা হলে তাতে কারুকার্য থাকতেও কোরো বাধা নেই।

আজকাল সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য অনেকে টাইটপিট আঠালো বোরকা পরিধান করেন।
যাদ্বারা বোরকার ফরযিয়্যাত আদায় হয় না।
পর পুরুষ বা জনসম্মুখে সৌন্দর্য ঢেকে রাখতেই ঢিলেঢালা পোষাকের বিধান শরীয়ত দিয়েছে।

তাই শরীয়তের উদ্দেশ্যর প্রতি সংহতি রেখেই পর্দাপুশিদা করা উচিৎ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...