ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বিতির নামায সম্পর্কে পাকিস্তানের বিশিষ্ট গবেষক আলেম মাওলানা মুহাম্মাদ ইউসুফ লুধিয়ানভী রাহ.
'হাদীস ও আছারের আলোকে বিতর নামায'
শীর্ষক একটি ফেকহী মাক্বালা লিখেছেন- যা মাসিক আল-কাউছারে প্রকাশ করা হয়েছে।উনি এ সম্পর্কিয় যাবতীয় বিষয়বস্তুকে একজায়গায় একত্র করেছেন।তাই এ বিষয়ে নতুন করে লিখার কোনো প্রয়োজন নাই।
নিম্নে উনার মাক্বালাকে উপস্থাপন করছি-
প্রশ্ন : বিতরের নামাযে দুই রাকাতের পর আত্তাহিয়্যাতুর জন্য বসা এবং তৃতীয় রাকাতে ফাতিহা-কিরাতের পর আল্লাহু আকবার বলে দুই হাত কান পর্যন্ত ওঠানো অতঃপর হাত বেঁধে কুনূত পাঠ করা কি দলীল দ্বারা প্রমাণিত?
অথচ হযরত আয়েশা রা.-এর বিশুদ্ধ বিবরণে আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তিন রাকাত, পাঁচ রাকাত বা সাত রাকাত বিত্র পড়তেন তখন দুই রাকাতের পর আত্তাহিয়্যাতুর জন্য বসতেন না। তদ্রূপ বিতর নামায এক রাকাত পড়াও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার করবেন। পাশাপাশি আরো জানতে চাই যে, কুনূত পাঠের সময় দুই হাত দোয়ার মতো ওঠাবে, না নামাযের মতো হাত বেঁধে রাখবে?
(২)
জিবরাইল আঃ আল্লাহর কথা শুনেছেন। আল্লাহর কাছ থেকে সরাসরি শুনেছেন।
ইমাম তাবারানি রাহ একটি হাদীস বর্ণনা করেন,
إذا تكلم الله بالوحي أخذت السماء رجفة شديدة من خوف الله، فإذا سمع أهل السماء بذلك صعقوا وخروا سجدا، فيكون أولهم يرفع رأسه جبريل، فيكلمه الله من وحيه بما أراد، فينتهي به على الملائكة، كلما مر بسماء سأله أهله ماذا قال ربنا، قال الحق، فينتهي به حيث أمر
যখন আল্লাহ তা’আলা ওহী দ্বারা কথা বলার ইচ্ছা করেন, তখন আল্লাহর ভয়ে আসমানে একটি কম্পন সৃষ্টি হয়, যখন আসমানের অধিবাসী এটা শুনে, তখন তারা বেহুশ হয়ে যমিনে সেজদায় পড়ে যায়, তাদের মধ্য থেকে প্রথম জিবরাইল আঃ মাথাকে উত্তোলন করেন, তখন আল্লাহ তা’আলা যা ইচ্ছা কথা বলেন, এবং এই আদেশ নিষেধ শেষ পর্যন্ত সমস্ত ফিরিস্তাদের নিকটে পৌছে। যখন জিবরাইল আঃ কোনো আসমানে সেই আসমানের অধিবাসীদের নিকট দিয়ে গমন করেন, তখন তারা বলে, আমাদের রব কি বলেছেন? তখন জিবরাইল আঃ বলেন, সত্য তথা এই এই । এভাবে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর বিধান সবার নিকট গিয়ে পৌছে।
(৩)এ জন্য আল্লাহর কাছে কান্না করা উচিৎ। তাছাড়া কোনো নেককার বুজুর্গের সাথে কিছুদিন অবস্থান করা উচিৎ।
(৪) যদি তাদের এছাড়া আর কোনো ইনকামের ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে তাদের ওখানে দাওয়াত খাওয়া যাবে না।