ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রথমে আমরা ফরয নামায পরবর্তী দু’আর বিধান জেনে নেই--
নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাত সম্পর্কে ফুকাহায়ে কিরামের ভিন্ন রকম পরস্পর বিরোধী মতামত পাওয়া যায়।
অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম প্রচলিত পদ্ধতির মুনাজাতকে বিদ'আত আখ্যায়িত করেছেন।
(আহসানুল ফাতাওয়া , ৩য় খন্ড , পৃঃ ৬৯৮)অন্যদিকে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কিরাম এটাকে মুস্তাহাব বলেছেন।(ইমদাদুল ফাতাওয়া-১ /৬৪৫ -৬৬৬)
সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য কথা হল,
যদি অাক্বিদা বিশুদ্ধ থাকে তথা এমন থাকে যে,নামাযের পর প্রচলিত মুনাজাত পদ্ধতি জরুরী কোনো বিষয় নয়,বরং ইচ্ছাধীন,তাহলে মুনাজাত বৈধ বা জায়েয।বিদ'আত ও নয় আবার মুস্তাহাব ও নয় বরং জায়েয তথা মুবাহ,করাও যেতে পারে আবার নাও করা যেতে পারে।
এই মুনাজাতের উপর পুরুস্কার-তিরস্কার কিছুই আসবে না।
এজন্য ইমাম সাহেব কর্তৃক মুসাল্লিদেরকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া উচিৎ,যাতে করে তাদের আক্বিদা- বিশ্বাস বিশুদ্ধ থাকে।মাঝেমধ্যে সম্মিলিত মুনাজাত পরিত্যাগ করাও উচিৎ,যাতে করে জনসাধারণের মনে এ ধারণা বদ্ধমূল হয় যে,প্রচলিত পদ্ধতির মুনাজাত (বিধান হিসেবে)ফরয বা ওয়াজিব নয়।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জানাযার নামায মূলত একটির দুআর নাম। কেননা তাতে রুকু সিজদা নাই। জানাযার নামাযের পর দুআর কোনো প্রমাণ কুরআন হাদীস এবং সালাফে সালেহীন থেকে পাওয়া যায়না। এ জন্য আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলব, দুআ একটি ভালো জিনিষ। সে হিসেবে জানাযার নামাযের পর দুআ করতে কোনো অসুবিধে নাই। তবে এ দুআকে জরুরী মনে করা যাবে না। জরুরী মনে করলে বিদআত হয়ে যাবে। এবং সর্বদাও করা যাবে না। বরং যদি কেউ করতে চায়, তাহলে মাঝে মধ্যে করত পারবে। এর জন্য এটাও ঠিক করা উচিৎ হবে না যে, নামাযের পরপরই দুআ করতে হবে, বরং দাফনের পরও করা যাবে এবং সালাম ফিরানোর অনেক পরও দুআ করা যাবে।