ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)নামাজের ফরয ১৩ টি
[৭ টি নামাজের বাহিরে ]
১/ শরীর পাক
২/কাপড় পাক
৩/ নামাজের জায়গা পাক
৪/ সতর ডাকা
৫/ কেবলামুখী হওয়া
৬/ নামাজের ওয়াক্ত চেনা
৭/ নিয়্যাত করা
[ ৬ টি নামাজের ভিতরে ]
১/ তাকবীরে তাহরিমা বা আল্লাহু আকবার বলা
২/ দাঁড়াইয়া নামাজ পড়া
৩/ কেরাত পড়া
৪/ রুকু করা
৫/ সেজদা করা
৬/ শেষ বৈঠক
নামাযে দুনু সেজদা ফরয। আর কোনো ফরয তরক হলে, সেই ফরয কে আবার নামাযের মধ্যেই আদায় করে নিতে হবে এবং শেষে সাহু সিজদা দিতে হবে,তাহলে নামায হয়ে যাবে। তবে ছুটে যাওয়া সিজদা আদায় না করে, শুধুমাত্র সাহু সিজদা দিলে নামায হবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/14643
(২)আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي أَنَسٍ مَوْلَى التَّيْمِيِّينَ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ وَسُلْسِلَتْ الشَّيَاطِينُ
তিনি বলতেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমাযান আসলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানগুলোকে শিকলবন্দী করে দেয়া হয়। (সহীহ বুখারী-১৮৯৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৭৫ )
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শয়তান শৃংখলাবদ্ধ থাকার পরও কেন মানুষ গোনাহের কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে, এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, ১১ মাস ব্যপি শয়তান দ্বারা মানুষ প্রতারিত হওয়ার দরুণ সেই প্রতারণার প্রভাবেই রমজান মাসে মানুষ শয়তানের লক্ষ্যর দিকে অগ্রসর হয়ে থাকে, যদিও এ মাসে শয়তান কোনো প্রকার প্রতারণার দেয় না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/14742
(৩)উমরি কাযা শেষরাতে একবারে ৫ ওয়াক্তের কাযা আদায় করা যাবে ।তবে বিনা প্রয়োজনে ফরযের মত বসে আদায় করা যাবে না।
(৪)আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَقُولُ الرَّبُّ عَزَّ وَجَلَّ مَنْ شَغَلَهُ الْقُرْآنُ وَذِكْرِي عَنْ مَسْأَلَتِي أَعْطَيْتُهُ أَفْضَلَ مَا أُعْطِي السَّائِلِينَ وَفَضْلُ كَلاَمِ اللَّهِ عَلَى سَائِرِ الْكَلاَمِ كَفَضْلِ اللَّهِ عَلَى خَلْقِهِ "
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান রাব্বুল ইজ্জাত বলেন, কুরআন (চর্চার ব্যস্ততা) ও আমার যিকির যাকে আমার নিকটে কিছু আবেদন করা হতে নিবৃত্ত রেখেছে আমি তাকে আমার কাছে যারা চায় তাদের চাইতে অনেক উত্তম বখশিশ দিব। সব কালামের উপর আল্লাহ্ তা'আলার কালামের গৌরব এত বেশি যত বেশি আল্লাহ তা'আলার সম্মান তার সকল সৃষ্টির উপর।( সূনানে তিরমিযি-২৯২৬)
জ্বী, মুহতারাম , এই ফরযে আইন নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে একজন চেয়ে যা পাবে, এর চেয়ে উত্তম জিনিষ আপনাকে দেওয়া হবে।