ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অমুসলিমের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ককে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَّ يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاء مِن دُوْنِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللّهِ فِي شَيْءٍ إِلاَّ أَن تَتَّقُواْ مِنْهُمْ تُقَاةً وَيُحَذِّرُكُمُ اللّهُ نَفْسَهُ وَإِلَى اللّهِ الْمَصِيرُ
মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।(সূরা আলে ইমরান-২৮)
কোনো অমুসলিমকে ইসলামের দিকে দীক্ষিত করতে,বা কোনো প্রভাবশালী অমুসলিমের ক্ষতি থেকে নিজেকে হেফাজত করতে তার সাথে বাহ্যিক বন্ধুত্ব রাখা যায়,তবে আন্তরিক বন্ধুত্ব স্থাপন কখনো জায়েয হবে না।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুসলিম অমুসলিম এক সাথে না থাকাই মূলত শরীয়তের বিধান। হ্যা অপারগতা বশত অমুসলিমের সাথে থাকলে কোনো সমস্যা নেই যদি তার সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক না থাকে,এবং ঈমান- আকিদা সুদৃঢ় থাকার পূর্ণ ইয়াক্বিন-বিশ্বাস থাকে। অমুসলিমের সাথে থাকলে গোনাহ হবে না ঠিক। তবে ভবিষ্যৎ নিরাপদ নয়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/277 যদি আপনি তাকে দ্বীনের দাওয়াত না দিতে পারেন, তাহলে তার সাথে আন্তরিকতা দেখানো আপনার জন্য জায়েয হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কাফির কখনো মুসলমানের ভাই হতে পারে না। এটা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। হ্যা তাদের প্রতি দয়া ইহসান মুসলামনের মতই করা যাবে। এতে কোনো বিধি-নিষেধ নাই। তবে তারা কখনো মুসলামনের ভাই হতে পারে না।