এ যাবৎকাল আপনি অনেক কষ্ট করে নামায ইবাদত করেছন।আল্লাহ আপনার ইবাদতকে কবুল করুক।আমীন।
আপনি এক কাজ করবেন।
একটু কষ্টকরে নামাযের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ওয়াক্ত আছর কিংবা ফজরের ওয়াক্তে একদিন পরীক্ষা করবেন যে,এই সংক্ষিপ্ত ওয়াক্তে আপনি ধারাবাহিক পেশাব নির্গত হওয়া ব্যতীত কি ফরয দু'রাকাত বা চার রা'কাত নামায পড়তে পারছেন।
যদি আপনি পেশাব নির্গত হওয়া ব্যতীত ফরয আদায় করতে না পারেন,তাহলে আপনাকে মা'যুর হিসেবে গণ্য করা হবে।আর যদি আপনি নামায পড়ে নিতে সক্ষম হয়ে যান,তাহলে আপনাকে মা'যুর গণ্য করা হবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে কষ্ট করে নামায পড়তে হবে।
আপনি মা'যুর হলে প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার অযু করবেন,এই অযু দিয়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
(যদি অন্য কোনো অযু ভঙ্গকারী কিছু না পাওয়া যায়।)
,
পরবর্তী ওয়াক্তে আবার অযু করবেন।
,
আর যদি আপনার ওযরটি এমন না হয়,তাহলে আপনি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
মা'যুরের বিধান ইস্তেহাজা ওয়ালা মহিলার ন্যায়।
আবু দাউদ শরীফের ১৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ
উরওয়াহ আল-মুযানী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান এক ব্যক্তিকে এ মর্মে আদেশ দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দু’টি বর্ণনা কর। অর্থাৎ আ‘মাশের হাদীস এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিনী’’ সম্পর্কে বর্ণিত তার ঐ হাদীস যাতে রয়েছে, ‘ইস্তিহাযা রোগিনী প্রত্যেক সলাতের জন্যই অযু করবে।’
আরো জানুনঃ
আপনি তারাবিহ নামাজ একাকী বাসায় পড়বেন,নামাজের অনেক আগেই পেশাব করে নিবেন,যাতে নামাজে সমস্যা যেনো না হয়।
নামাজের মধ্যে মাঝে মাঝে চেক করবেন,তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনার পবিত্রতার অবস্থা আপনি জানতে পারবেন।