আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
580 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (52 points)
১। আমি তওবা করলেও চোখ দিয়ে পানি ঝরে না খুব চেষ্টা করেও না আমার তওবা কি হচ্ছে মাঝে মাঝে মনে হয় যে আমার তওবা আরো ভালো করে করতে হবে কিন্তু চেষ্টার পরও মনের সান্তনা দিতে পারিনা তওবা র মাধ্যমে কি শিরক ও ক্ষমা হবে যুদি কোন মুসলিম করে থাকে ?

২। বর্তমানে অনেক সিনেমা আর অনেক গেম এ শিরক এর বিষয় বস্তু থাকে ওগুলো দেখলে বা খেললে কি শিরক করা হবে ?

৩। সব মুনাফিক কি চির জাহান্নামী হবে ?

৪। হাসান আর হুসেইন সহ আরো অনেক কে ইমাম কেন বলা হয় ?

৫। আল্লাহ সর্বশক্তিমান সেই ক্ষেত্রে জুদি এই রকম আকিদা রাখি যে আল্লাহর শক্তি  সারা সব শক্তি  শেষ হয়ে যাবে সেটা কি ভাল হবে ?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
তাওবার জন্য চোখের পানি বের হওয়া শর্ত নয়।বরং তাওবাহর শর্ত হল,অতীত কাজের উপর লজ্জিত হওয়া,বর্তমানে পরিত্যাগ করা,ভবিষ্যতে না  করার দৃঢ় পরিকল্পনা থাকা।এই তিনটি শর্ত পাওয়া গেলেই ধরে নেওয়া হবে,উক্ত তাওবাহ কবুল হয়েছে।

(২)
1982 নং ফাতাওয়ায় বর্ণিত  মূলনীতির আলোকে বলা যায় যে,.......
পূজা দেখে উপভোগ করার অর্থ যদি এমন হয় যে,এটা আমাদের ধর্ম থেকে উত্তম প্রার্থনা পদ্ধতি, আমিও এমন করতে চাই,বা আমাদের ধর্মে কেন এমন হলনা?তাহলে ঈমান চলে যাবে। আর যদি এমন না হয়, বরং পুজায় সংগঠিত ঘটনা বা তৎসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে উপভোগ করা হয় কিন্তু অন্তরে পুজাকে ঠিকই গৃনা করা হয় বা পুজাকে নিজের জন্য অপছন্দ করা হয়,তাহলে তার আসল(ত্রুতিপূর্ণ)  ঈমান অবশ্যই বাকী থাকবে,যদিও তার মধ্যে কামিল ঈমানের লেশমাত্রও বিদ্যমান থাকবে না।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

(৩)
নেফাক্ব-نفاق  দু-প্রকার।
যথাঃ-
(ক)নেফাক্ব ফিল এ'তেক্বাদ-نفاق في الاعتقاد অর্থ্যাৎ যার অন্তরে ইসলামও মুসলমানদের প্রতি অবিশ্বাস সহ মুসলমানদের ক্ষতিসাধনের ইচ্ছা রয়েছে।সে এ'তেক্বাদী মুনাফিক,তার শেষ আশ্রয়স্থল হবে চিরস্থায়ী জাহান্নাম।

(খ)নেফাক্ব ফিল আমল,نفاق في العمل. অর্থ্যাৎ যার অন্তর ঠিকই ইসলাম এবং মুসলমানদের প্রতি আশ্বস্ত রয়েছে।তবে তার কর্মের মধ্যে ত্রুটি রয়েছে।তার আ'মলে কমতির ধরুণ সে শাস্তি উপভোগ করবে।কিন্তু সে মু'মিনদের কাতারেই গণ্য হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/8709

(৪) 
«عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الحَسَنُ وَالحُسَيْنُ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الجَنَّةِ.» - «سنن الترمذي ت بشار» (6/ 117)
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল-হাসান ও আল-হুসাইন (রাযিঃ) প্রত্যেকেই জান্নাতী যুবকদের সরদার। (সুনানে তিরমিযি-৩৭৬৮)

হয়তো উনারা জান্নাতের সর্দার হবেন, এজন্য তাদেরকে ইমাম বলা হয়, অথবা তাদের মাধ্যমে হযরত আলী রাযি থেকে  তাসাউফের সনদ  সারা পৃথিবী ব্যাপী বিস্তূত হয়েছে, এজন্য তারা দুনু ভাইকে ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন বলা হয়। ( এ সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু খুজে পাইনি)

(৫) আল্লাহর শক্তি  ছাড়া সব শক্তি শেষ হয়ে যাবে এমন আকিদা বিশ্বাস বিশুদ্ধ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...