বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
তাওবার জন্য চোখের পানি বের হওয়া শর্ত নয়।বরং তাওবাহর শর্ত হল,অতীত কাজের উপর লজ্জিত হওয়া,বর্তমানে পরিত্যাগ করা,ভবিষ্যতে না করার দৃঢ় পরিকল্পনা থাকা।এই তিনটি শর্ত পাওয়া গেলেই ধরে নেওয়া হবে,উক্ত তাওবাহ কবুল হয়েছে।
(২)
1982 নং ফাতাওয়ায় বর্ণিত মূলনীতির আলোকে বলা যায় যে,.......
পূজা দেখে উপভোগ করার অর্থ যদি এমন হয় যে,এটা আমাদের ধর্ম থেকে উত্তম প্রার্থনা পদ্ধতি, আমিও এমন করতে চাই,বা আমাদের ধর্মে কেন এমন হলনা?তাহলে ঈমান চলে যাবে। আর যদি এমন না হয়, বরং পুজায় সংগঠিত ঘটনা বা তৎসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে উপভোগ করা হয় কিন্তু অন্তরে পুজাকে ঠিকই গৃনা করা হয় বা পুজাকে নিজের জন্য অপছন্দ করা হয়,তাহলে তার আসল(ত্রুতিপূর্ণ) ঈমান অবশ্যই বাকী থাকবে,যদিও তার মধ্যে কামিল ঈমানের লেশমাত্রও বিদ্যমান থাকবে না।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
(৩)
নেফাক্ব-نفاق দু-প্রকার।
যথাঃ-
(ক)নেফাক্ব ফিল এ'তেক্বাদ-نفاق في الاعتقاد অর্থ্যাৎ যার অন্তরে ইসলামও মুসলমানদের প্রতি অবিশ্বাস সহ মুসলমানদের ক্ষতিসাধনের ইচ্ছা রয়েছে।সে এ'তেক্বাদী মুনাফিক,তার শেষ আশ্রয়স্থল হবে চিরস্থায়ী জাহান্নাম।
(খ)নেফাক্ব ফিল আমল,نفاق في العمل. অর্থ্যাৎ যার অন্তর ঠিকই ইসলাম এবং মুসলমানদের প্রতি আশ্বস্ত রয়েছে।তবে তার কর্মের মধ্যে ত্রুটি রয়েছে।তার আ'মলে কমতির ধরুণ সে শাস্তি উপভোগ করবে।কিন্তু সে মু'মিনদের কাতারেই গণ্য হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/8709
(৪)
«عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الحَسَنُ وَالحُسَيْنُ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الجَنَّةِ.» - «سنن الترمذي ت بشار» (6/ 117)
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল-হাসান ও আল-হুসাইন (রাযিঃ) প্রত্যেকেই জান্নাতী যুবকদের সরদার। (সুনানে তিরমিযি-৩৭৬৮)
হয়তো উনারা জান্নাতের সর্দার হবেন, এজন্য তাদেরকে ইমাম বলা হয়, অথবা তাদের মাধ্যমে হযরত আলী রাযি থেকে তাসাউফের সনদ সারা পৃথিবী ব্যাপী বিস্তূত হয়েছে, এজন্য তারা দুনু ভাইকে ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন বলা হয়। ( এ সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু খুজে পাইনি)
(৫) আল্লাহর শক্তি ছাড়া সব শক্তি শেষ হয়ে যাবে এমন আকিদা বিশ্বাস বিশুদ্ধ।