আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,349 views
in সাওম (Fasting) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম,  আমি এমন অনেককেই করতে দেখি যে সেহরির খাওয়ার পরে আজান হয়ে যাওয়ার পর বা আজান হচ্ছে এমন সময় ও পানাহার করছে, নিষেধ করা সত্যেও শুনেনা। এই সময়ে পানাহার করলে কি সাওম শুদ্ধ হবে?

আজান এর কত মিনিট আগে সকল পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ফজরের আযানের সাথে সেহরী খাওয়া বন্ধ করা ও রোযা রাখার কোন সম্পর্কই নেই।
রোযার সম্পর্ক হল, সুবহে সাদিকের আগে সেহরী খাওয়া শেষ করল কি না?
যদিও ফজরের আজানেরও সম্পর্ক সেহরীর সময় শেষ হবার সাথে। অর্থাৎ সুবহে সাদিক হলেই কেবল ফজরের আজান দেবার ওয়াক্ত হয়। এরপর ফজরের আজান দেয়া যায়।
আর সুবহে সাদিকের আগেই সেহরীর খানা শেষ করতে হয়। সুবহে সাদিকের পরও সেহরী খেলে রোযা হবে না। আগেই শেষ করতে হবে।
সুতরাং প্রশ্নটিই অবান্তর হয়ে যাচ্ছে।
সুবহে সাদিক বলতে আমরা সেহরীর শেষ সময় বলতে যা বুঝে থাকি, সেটিকেই বুঝানো হয়েছে। তাই আপনি কখন খানা শেষ করলেন, সেটির উপর নির্ভরশীল আপনার রোযা হল? নাকি ভেঙ্গে গেল?
যদি সেহরীর সময় শেষ হবার আগে সেহরী শেষ করে থাকেন, তাহলে আপনার রোযা হয়েছে। আর যদি সময় শেষ হবার পরেও খেয়ে থাকেন, তাহলে রোযা হয়নি। পরে কাযা করতে হবে।

আর আজান সেহরীর সময় শেষ হবার পরই দেয়া হয়। কারণ আজান দেবার সময় সেহরীর শেষ হলেই হয়ে থাকে। সেই হিসেবে বলা যায়, ফজরের আজানের সময় খানা সেহরী খেলে রোযা হবে না।
বাকি কথা মনে রাখতে হবে। আজানের সাথে রোযা হওয়া ও না হওয়ার সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক হল, সুবহে সাদিকের সাথে। সুবহে সাদিক তথা সেহরীর সময় শেষ হবার আগে খেলে রোযা হয়েছে। পরে খেলে হয়নি।
وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ [٢:١٨٧]
আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। [সূরা বাকারা-১৮৭](সংগৃহিত)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...