আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
339 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (25 points)
(১) সম্প্রতি আমার দারাজ এপ থেকে ২৭৫ টাকার একটা প্রোডাক্ট অর্ডার করি। প্রোডাক্টটির দাম শপে আরো বেশি ছিল। নতুন একাউন্ট হওয়ায় আমাকে ২৫% ডিস্কাউন্ট প্রোমো কোড দেয়! ২৫ % ডিস্কাউন্টে দারাজের ওই শপ থেকে পন্যটি অর্ডার করি। এই যে আমি ২৫% কম টাকা পেমেন্ট করেছি ওই ২৫% টাকা কি ওই শপের হক ছিল? কারন আমাকে দারাজের ওই শপ থেকে ২৫% টাকা ডিস্কাউন্ট দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছিল দারাজ এপ থেকে, তাদের এপে নতুন একাউন্ট খোলার জন্য। ওই ২৫% টাকা কি ফেরত দিতে হবে?

(২) অর্ডারটি করে বিকাশে পেমেন্ট করি। দারাজে আমার নতুন একাউন্ট হওয়ার কারনে বিকাশ ১০% টাকা (২৭.৫ টাকা ) ফেরত দেয়। এই ২৭.৫ টাকা নেওয়া জায়েয হবে কিনা? দারাজে নতুন একাউন্ট খুলে ১ম বিকাশ পেমেন্ট করায় এই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছিল।

(৩) জুমুআ এর সলাতের রাকআত নিয়ে দ্বিধায় আছি। কেউ কাবলাল জুমুআ ২ রাকআত পড়ছে, কেউ ৪ রাকআত। কেউ বলে কাবলাল জুমুআ নেই। দয়া করা আমাকে জানাবেন জুমুআ এর সলাত কত রাকআত সুন্নত+ওয়াজিব। আগে পরে কত রাকআত।

(৪) ২০২০ সালের জানুয়ারির মাঝ থেকে ফেব্রুয়ারীর মাঝ পর্যন্ত আমি ৪ জন শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়েছিলাম। তারপর করোনা মহামারী শুরু হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। আমি আমার নিজের জেলায় ফিরে যাই আমার বই-খাতা আসবাব সহ। বাসা থেকে আমাকে ঐ ৪ জন শিক্ষকের টাকা ( ৩,৬০০ টাকা) দেওয়া হয়েছিল মহামারীর আগেই। কিন্তু হঠাৎ করে চলে আসায় তাদের টাকা দেওয়া হয়নি। ওই টাকা পরে আমার পরিবার করোনাক্রান্ত হয়ে পড়ার সময় খরচ করে ফেলি। পরবর্তী তে অটোপাশ দেওয়ায় কলেজ যাওয়াও হয়নি। শিক্ষকদের টাকাও দেওয়া হয়নি। বলা যায়, ভুলেই গিয়েছিলাম ।
এখন তাদের টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমার নেই। আর পরিবেশটা এমন হয়ে গিয়েছে যে তাদের সাথে কথা বলার মতো মুখ আমার নেই। তাদের কাছে আমার কোন মন্দ রেকর্ড নেই। পূর্বের সব টাকা সময়মত দিয়েছি। তাদের কাছে আমার ইমেজটা এমন যে, কল দিয়ে টাকা না দেওয়ার জন্য ক্ষমা চাইতে খুবই ইতঃস্তত বোধ হচ্ছে। ওই টাকা যে সদকা করে দিব, সেই সামর্থ্যও আমার নেই। এই অবস্থায় আমি কি করতে পারি? এই অর্থের বোঝা থেকে কিভাবে মুক্ত হতে পারি!!

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم 
  " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন-৩৭৪৭

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি এই অফারের আওতাধীন না থাকেন, তাহলে আপনার জন্য ঐ অফার গ্রহণ করা জায়েয হবে না। আপনাকে ঐ টাকা তাদের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে। 

(২)
জ্বী এটা জায়েয হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/112

(৩)
হযরত ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত আছে যে,
وروي عن عبد الله بن مسعود: أنه كان يصلي قبل الجمعة أربعا، وبعدها أربعا.
ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 523 )
তিনি জুমুআহ এর পূর্বে ও পরে চার রাকাত নামায পড়তেন।(জামে তিরমিযি-৫২৩নং হাদীসের আলোচনায় বর্ণিত)প্রকাশ থাকে যে,ইবনে মাসউদ রাযি এর উক্ত আ'মল নবীজী সা এর কাছ থেকে জেনেই করেছেন,কেননা গায়রে মা'ক্বুল(আ'কল গবেষনার উর্ধে কোনো) বিষয়ে কোনো সাহাবীর আ'মল হাদীসের মারফুর হুকমে হয়।তাই বুঝা গেল,হযরত ইবনে মাসউদ রাযি নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে এ বিষয়টা জেনেই করেছেন।এটা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আ'মল।ইবনে মাসউদ রাযি এর গবেষণা নয় যাতে ভূল ভ্রান্তির সমূহ সম্ভাবনা থাকতে পারে।জুম্মাহর নামাযের আগের ও পরের সুন্নত সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/4666

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জুম্মার নামায দুই রাকাত। এই দুই রাকাতের পূর্বে ও পরে চার রাকাত করে সুন্নত।

(৪)
যে কোনো উপায়ে তাদের টাকা তাদেরকে ফিরিয়ে দিতে হবে। অথবা তাদের নিকট থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। আপনি হাদিয়ার নাম ধরে তাদেরকে তাদের টাকা পৌছিয়ে দিতে পারেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...