আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
441 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
"প্রিয় বোনেরা,

পিরিয়ড শেষ হওয়া আমরা কিভাবে বুঝি?

টিস্যু দিয়ে দেখলে হয় সাদা স্রাব দেখা যাবে। অর্থাৎ টিস্যতে কিছু লাগলেও সেটা সাদা।
অথবা

টিস্যু তে কিছুই লাগেনি, সম্পূর্ণ শুষ্ক। কোনো রং নেই।
অনেকে প্যাড এ কোন রক্ত না দেখেই ধরে নেন গোসল করতে হবে। এটা ঠিক না। প্যাড এ না লাগলেও লাল বা খয়েরী রং কিছু সময় থাকে, অনেকের ক্ষেত্রে দু তিন দিন ও থাকে। তাই বিষয়টি অনুগ্রহ করে খেয়াল করবেন।
আর যেহেতু রামাদান, কেউ যদি ফজরের আগেই দেখেন যে পিরিয়ড শেষ হয়েছে, নিয়ত করবেন। সেহরি করবেন। গোসল তক্ষুণি করা জরূরী না। ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পরও গোসল করতে পারেন। একই পদ্ধতি জানাবার গোসলের ক্ষেত্রেও।"

এখানে উপরের লিখাটায় বলছে যে একদম কোনো রক্ত যাবে না। বাট আমার পিরিয়ড হলে দেখা যায় যে যেদিন ব্লাড যায় তার আগের দিন জমাট কালো রক্ত যায়। এবং দেখা যায় যে এটা সারাদিনের ১/২ বার যায়। তো আমি পায়জামা চেঞ্জ করে করে নামাজ বা অন্য সব করি। কারণ আমি ধরি নিই যে এটা পিরিয়ডের ব্লাড না। সেইম শেষ যেদিন হয় সেদিন ব্লাড যাওয়া একদম বন্ধ হয়ে যায়। জমাট কালো রক্ত যায়। ওরকমই ২/৩ বারের বেশি না। তাও অনেক্ষন পর পর। তো ওই দিন আমি ফরজ গোসল করে নিই।

তো আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি কি ওই জমাট কালো রক্তকে পিরিয়ডের ব্লাড হিসেবে ধরে নিবো? উপরের লিখাটা পড়ে কনফিউজড হয়ে গেছি।

1 Answer

0 votes
by (567,630 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 



শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুরুর ঐ জমাট কালো রক্তকে পিরিয়ডের ব্লাড হিসেবে ধরে নিবেন।
তবে শেষের দিকে যে আবার সেই কালো ব্লাড আসে,এটা যদি দশদিনের মধ্যেই আসে,তাহলে সেটাকেও  পিরিয়ডের ব্লাড হিসেবে ধরে নিবেন।
যদি দশদিন অতিক্রম করে,তাহলে ১১ তম দিন থেকে সেটাকে অসুস্থতার ব্লাড হিসেবে ধরে নিবেন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আমার পিরিয়ড ভালো হয়ছে ৬ দিন আজকপ হঠাৎ  কালো একটু রক্ত জমাট দেখা দিয়েছে এখন কি নামাজ পরতে পারব

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...