বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সমাধানঃ-
দিবস পালন করা নাজায়েয ও হারাম।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
জন্মদিন পালন করা অমুসলিদের রীতিনীতি ও তাদের আবিস্কৃত বিষয়।সুতরাং জন্মদিন পালন করা কখনো জায়েয হবে না।
যদি কারো জন্মদিন উপলক্ষ্যে কিছু করতেই হয়, তাহলে সে যেন প্রতি সাপ্তাহের ঐ দিনে রোযা রাখে।
কেননা হাদীস শরীফে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ সোমবারে উনার জন্ম হিসেবে এবং সর্বপ্রথম কুরআন নাযিল হয় হিসেবে এবং এ দিন আল্লাহর সামনে বান্দাদের আ'মলসমূহ পেশ হয় হিসেবে এবং এ দিনে নবুওত প্রাপ্ত হয়েছেন হিসেবে রোযা রাখতেন।শুধু এদিন নয় বরং আ'মল পেশ হয় হিসেবে বৃহস্পতিবারে ও রোযা রাখতেন।
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সোমবারে রোযা রাখাকে কেন্দ্র করে জন্মদিন পালনের কোনো সুযোগ নেই।কেননা শুধু জন্ম হয়েছেন হিসেবে সেদিন রাসূলুল্লাহ সাঃ রোযা রাখেন নি।বরং অনেকগুলো কারণে সেদিন রোযা রেখেছিলেন।
বিজাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে জন্মদিন পালনের কোনো সুযোগ নেই।এবং এ হিসেবে কোনো অনুষ্টান মাহফিলেরও কোনো সুযোগ নেই।
এবং সে রকম অনুষ্টানে শরীক হওয়া ও জায়েয হবে না। তবে দিন তারিখ ঠিক না করে ঈসালে সওয়াব হিসেবে কারো জন্য কেউ কোনো দু'আর আয়োজন করলে সেটা মন্দ হবে না।
এক মুসলমানের জন্য অন্য মুসলমানের অবশ্যই দু'আ করা উচিৎ এবং এটাই কাম্য।বিস্তারিত জানুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সোমবারে রোযা সম্পর্কে বিভিন্ন হাদীসে বিভিন্ন বক্তব্য এসেছে।কোনো হাদীসে এসেছে যে,এদিন যেহেতু বান্দার আ'মল আল্লাহর নিকট পেশ করা হয়,তাই রাসূলুল্লাহ এ দিন রোযা রাখতেন,যাতেকরে রোযা অবস্থায় আল্লাহর নিকট আ'মল পেশ হয়।
সুতরাং সোমবারের রোযাকে কেন্দ্র করে জন্মদিন পালন বা এ দিনে শুভেচ্ছা জানানোর কোনো সুযোগ নেই।
সুপ্রি প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জন্মদিন পালন করা এ উপলক্ষ্যে খাবার দাবারের আয়োজন করা বা কারো জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো স্পষ্টই নাজায়েয ও হারাম। সুতরাং আপনি ঐ ইফতার মাহফিলে সংযুক্ত হবেননা
তবে যদি সে কিছু পাঠিয়ে দেয়,তাহলে তা গ্রহণ করার রুখসত থাকবে।