আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
304 views
in সাওম (Fasting) by (4 points)
আমার রমজানে কোভিড টিকাকরণ এর ডেট পড়েছে, সরকারি হাসপাতালে সকালে টিকা নিতে পারবো কি??????

.......…....................................

....

..............................

.........................

....................

...............

.........

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/13998 নং ফাতাওয়ায় আমরা লিখেছি যে, রোযা রেখে ইঞ্জেকশন গ্রহণ করা যাবে। এতে রোযা নষ্ট হবে না। 
ইনজেকশনের শরয়ী হুকুম বুঝতে হলে প্রথমে দু’টি বিষয় বুঝতে হবে। যথা-
১-ইনজেকশনের পদ্ধতিটি কি রোযায় কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে কি না?
২-কোন উদ্দেশ্যে ইনজেকশন দেয়া হচ্ছে? মাকসাদের ভিন্নতার কারণে ইনজেকশনের হুকুমে কোন ভিন্নতা আসবে কি না?

ইনজেকশনের পদ্ধতি
বিজ্ঞ ডাক্তারদের বক্তব্য ও বাস্তব অভিজ্ঞতার দ্বারা একথাই প্রমাণিত যে, ইনজেকশন কয়েকভাবে দেয়া হয়। যেমন-
ক-গোস্তে ইনজেকশন দেয়া।
খ-চামড়া ও গোস্তের মাঝামাঝি ইনজেকশন দেয়া।
গ-সরাসরি পেটে।
ঘ-অধিকাংশ সময় রগের মাঝে দেয়া হয়।

এবার ভাবার বিষয় হল-এ চার ধরণের ইনজেকশনের হুকুম কি?
এর সহজ জবাব হল-ইনজেকশন চাই রগে দেয়া হোক, যেমন সাধারণত রোগীদের দেয়া হয়, বা চামড়া বা গোস্তে দেয়া হোক, বা পেটে দেয়া হোক যেমন কুকুর কামড়ালে পেটে ইনজেকশন দেয়া হয়, এ সকল সুরতে হুকুম হল এসব কারণে রোযা ভঙ্গ হবে না।ইনজেকশনের ব্যাপারে জমহুর ওলামাদের রায় এটাই যে, এর দ্বারা রোযা ভঙ্গ হয় না। যারা এ মতের উপর ফাতওয়া দিয়েছেন তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা
১-ইমদাদুল ফাতওয়া-২/১৪৪-১৪৭
২-ফাতওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ-৬/৪০-৪০৯
৩-ফাতওয়া রহিমিয়া-৭/২৫৭
৪-আহসানুল ফাতওয়া-৪/৪২২
৫-কিফায়াতুল মুফতী-৪/২৫৩
৬-ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-১৫/১৭৩-১৭৯
৭-ফাতওয়ায়ে হক্কানী-৪/১৬২-১৬৩
৮-আপকি মাসায়িল আওর উনকা হল্ল-৩/২১২
৯-জাদিদ ফিক্বহী মাসায়িল-১/১২২-১২৪
১০-ফাতওয়া মুফতী মাহমুদ-৩/৪৮৮-৪৮৯
১১-কিতাবুল ফাতওয়া-৩/৩৯১-৩৯২
১২-ফাতওয়া উসমানী-২/১৮১-১৮৬
১৩-ইমদাদুল ফাতওয়া-৩/১৩৩-১৩৪
১৪-খাইরুল ফাতওয়া-৪/৭৪

ইনজেকশন দ্বারা রোযা না ভাঙ্গার কারণ
খানা খাওয়ার দ্বারা মূলত রোযা ভেঙ্গে যায়। কারণ কুরআনে পাকে খানা খাওয়াকে রোযা ভঙ্গের কারণ সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে-
وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ ۚ [٢:١٨٧]
আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। {সূরা বাকারা-১৮৭}

এ আয়াত থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, রোযা ভেঙ্গে যাবে খাদ্য গ্রহণ করলে। আর খাদ্য নালী দিয়ে পাকস্থলীতে খানা প্রবিষ্ট করালেই উক্ত বস্তুকে খাদ্য বলে। খাদ্য নালী ছাড়া অন্য স্থান দিয়ে পেটে বা শরীরের কোন অংশে কোন কিছু প্রবিষ্ট করালে এটাকে কেউ খাদ্য বলে না।
এ কারণে ফুক্বাহায়ে কেরাম খাদ্য নালী ছাড়া কোন কিছু পেটে বা শরীরে প্রবিষ্ট হলে এর দ্বারা রোযা ভাঙ্গবে না বলে ফাতওয়া দিয়েছেন।
শরীরে কোন কিছু ঢুকলেই যদি রোযা ভেঙ্গে যেত, তাহলে ভুলবশতঃ পেট ভরে খানা খেলেও কেন রোযা ভাঙ্গে না?
এর দ্বারা বুঝা যায়, শুধুমাত্র কোন কিছু শরীরে ঢুকালেই রোযা ভেঙ্গে যায় না, বরং আল্লাহ তাআলার নির্দিষ্ট নিষিদ্ধ পদ্ধতি লংঘন করলে তার দ্বারা রোযা ভঙ্গ হয়। নতুবা রোযা ভঙ্গ হবে না।
আর আমরা জানি ইনজেকশন দ্বারা যেসব ওষুধ প্রবিষ্ট করানো হয়, এটা খাদ্য নালী দিয়ে প্রবিষ্ট করানো হয় না, ভিতরে ঢুকার পর খাদ্য নালী দিয়ে তা পেটেও যায় না, যদি পেটে যায়ও, তবে সেটা খাদ্য নালী দিয়ে নয়, বরং অন্য রগ দিয়ে তা ঢুকে থাকে। তাই ইনজেকশন দ্বারা রোযা ভাঙ্গা বলাটা রোযা ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে অজ্ঞতারই পরিচায়ক।
শরীরে কোন কিছু ঢুকলেই রোযা ভেঙ্গে যায় একথাটি একটি ভুল কথা। এরকম অনেক উদাহরণ আছে, যাতে শরীরে বাহির থেকে কিছু প্রবেশ করানো হয়েছে, অথচ এ কারণে রোযা ভেঙ্গে গেছে বলে ফুক্বাহারা মত দেন নি। যেমন-ফুক্বাহায়ে কেরাম চোখে সুরমা দেয়াকে রোযা অবস্থায় জায়েজ বলেছেন। সেই সাথে যদি সুরমার প্রতিক্রিয়া হলকে অনুভূত হয়, তবুও এটা রোযা ভঙ্গের কারণ নয় বলে ফুক্বাহায়ে কেরাম মত দিয়েছেন।কারণ চোখ থেকে সুরমাটি হলকে খাদ্য নালি দিয়ে পৌঁছেনি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 210 views
0 votes
1 answer 308 views
...