আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
669 views
in পবিত্রতা (Purity) by (9 points)
এখন এমন সময় যখন প্রতিটি মানুষের যৌন চাহিদা মিটানোর জন্য হস্থমৈথুন করে থাকে। এটা শরীয়াতের দিক দিয়ে কতটা অপরাধ। এ থেকে বাচার উপাই কি। আর কেউ যদি এ কাজে অভ্যস্থ থাকে বা জেনা থেকে বাচতে এ কাজ করে তা কি গুনাহ হবে?

1 Answer

+1 vote
by (589,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত কথার ব্যখ্যায় লিখেন,
(قوله: ولو خاف الزنى إلخ) الظاهر أنه غير قيد بل لو تعين الخلاص من الزنى به وجب؛ لأنه أخف وعبارة الفتح فإن غلبته الشهوة ففعل إرادة تسكينها به فالرجاء أن لا يعاقب اهـ زاد في معراج الدراية وعن أحمد والشافعي في القديم الترخص فيه وفي الجديد يحرم ويجوز أن يستمني بيد زوجته وخادمته اهـ وسيذكر الشارح في الحدود عن الجوهرة أنه يكره ولعل المراد به كراهة التنزيه فلا ينافي قول المعراج يجوز تأمل وفي السراج إن أراد بذلك تسكين الشهوة المفرطة الشاغلة للقلب وكان عزبا لا زوجة له ولا أمة أو كان إلا أنه لا يقدر على الوصول إليها لعذر قال أبو الليث أرجو أن لا وبال عليه وأما إذا فعله لاستجلاب الشهوة فهو آثم اهـ
যদি হস্তমৈথুন ব্যতীত কামপ্রবৃত্তি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার বৈধ কোনো সুযোগ থাকে,তাহলে সেটা করা ওয়াজিব।হ্যা কারো যদি কামপ্রবৃত্তি চড়াও হয়ে যায়,এবং সে এত্থেকে বাঁচতে হস্তমৈথুন করে নেয়,তাহলে আশা করা যায়,তাকে শাস্তি দেয়া হবে না।ইমাম আহমদ ও ইমাম শা'ফেয়ী রাহ থেকে মে'রাজুদ-দেরায়া কিতাবে বর্ণিত রয়েছে যে,পূর্ববর্তী যুগে অনুমতি থাকলেও বর্তমানে এর অনুমোদন নাই।হ্যা স্ত্রী বা বাদীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুনের অনুমোদন রয়েছে।কোনো কোনো কিতাবে হস্তমৈথুনকে মাকরুহ বলা হয়েছে।আস-সিরাজ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,যদি কেউ হস্তমৈথুন দ্বারা নিজ অন্তরকে কামপ্রবৃত্তির অশান্তি থেকে প্রশান্ত করতে চায়,এমতাবস্থায় যে সে অবিবাহিত এবং তার কোনো বাদীও নাই বা সে বিবাহিত কিন্তু সহবাস করা তার জন্য অসম্ভব,তাহলে এমন পরিস্থিতিতে ইমাম আবুল লেইস সমরবন্দি রাহ মনে করেন,আশা করা যায়,এমতাবস্থায় তাকে শাস্তি দেয়া হবে না।তবে কেউ নিজ কামপ্রবৃত্তিকে উপভোগ করার নিমিত্তে এমনটা করলে, তার অবশ্যই অবশ্যই গোনাহ হবে।(রদ্দুল মুহতার-২/৩৯৯)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
হস্তমৈথুন হারাম ও কবিরাহ গুনাহ।
কারো বিবাহ করার সামর্থ না থাকলে(যদিও আজকাল এমন মানুষ পাওয়া দুস্কর) এবং লাগাতার রোজা রাখার পরও যদি কারো যৌনচাহিদা এমন পর্যায়ের থাকে যে, যেকোনো মুহুর্তে হারামে লিপ্ত থাকার প্রবল আশংকা থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় কেউ কেউ অনুমতি দিয়ে থাকেন।সুতরাং প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে এমন কাজ সম্পাদন না করাই কাম্য। মোটকথাঃ সাধারণত হস্তমৈথুন কবিরাহ গোনাহ।কবিরা গোনাহ করলে তাওবাহ ব্যতীত মাফ হবে না।উপরে বর্ণিত পরিস্থিতিতে কেউ কেউ ক্ষমাযোগ্য অপরাধ বলেছেন।তবে অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম সর্বাবস্থায়ই হারাম এবং কবিরা গোনাহ বলেছেন।সুতরাং তাওবাহ ব্যতীত মাফ হবে না।হুর পাওয়া যাবে না।এমন কোনো বর্ণনা সহীহ সনদে বর্ণিত হয়নি। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4344

হস্তমৈথুন থেকে বাঁচতে যত দ্রুত সম্ভব বিয়ে করে  নিবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...