হায়েজ ও নিফাছ অবস্থায় মেয়েদের জন্য ওয়াজিব হল রোযা বর্জন করা। এ অবস্থায় সালাত ও সিয়াম কোনটাই আদায় করা জায়েয হবে না। সুস্থতার পর তাদের সিয়াম কাজা আদায় করতে হবে। সালাতের কাজা আদায় করতে হবে না।
,
দিনের বেলা হায়েজ নেফাস শেষ হলে তার পরের দিনের রোযা অবশ্যই রাখতে হবে।
রাতে হায়েজ নেফাস শেষ হলে সেই রাতেই সেহরী খেয়ে রোযা রাখতে হবে।
যদি ফজরের ওয়াক্তে বা তারপরে হায়েজ নেফাস শেষ হয়,তাহলে সে উক্ত দিনের রোযা রাখবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছে :
عن عائشة رضي الله عنها أنها سئلت : هل تقضي الحائض الصوم والصلاة؟ فقالت : كنا نؤمر بقضاء الصوم ولا نؤمر بقضاء الصلاة. متفق عليه.
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত যে, তাকে জিজ্ঞেস করা হল হায়েজ থেকে পবিত্রতার পর মহিলারা কি সালাত ও সাওমের কাজা আদায় করবে? তিনি বললেন : ‘‘এ অবস্থায় আমাদের সিয়ামের কাজা আদায় করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সালাতের নয়।’’ [বুখারী ও মুসলিম]
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
دَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ قَالَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لاَ أَطْهُرُ، أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَ بِالْحَيْضَةِ، فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَاتْرُكِي الصَّلاَةَ، فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي ".
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ ফাতিমা বিনতু আবূ হুবায়শ (রাঃ) আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি কখনও পবিত্র হই না। এমতাবস্থায় আমি কি সালাত ছেড়ে দেব? আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ হলো এক ধরনের বিশেষ রক্ত, হায়েযের রক্ত নয়। যখন তোমার হায়েয শুরু হয় তখন তুমি সালাত ছেড়ে দাও। আর হায়েয শেষ হলে রক্ত ধুয়ে সালাত আদায় কর। (বুখারী ৩০৬.২২৮) (আ.প্র. ২৯৫, ই.ফা. ৩০০)
আরো জানুনঃ
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু সেহরীর শেষ সময়ের ১৫ মিনিট আগেই আপনার মাসিকের রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে,এর পর আর রক্ত আসেনি,তাই আপনাকে এই রোযা রাখতেই হবে।