আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
253 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম।
https://ifatwa.info/13278/ এ প্রস্ন  থেকে আবার আসা।  আমি একবার আমার একটি মুসাল্লায় কাবা শরিফ এর ছবি আছে। আমার ভুলে তাতে পা পরে যায়। এবং এটির পর আমি অনেক কষ্ট পাই এবং তাওবা করি যে আর জেনে শুনে এমন করব না।
এ ঘটনার এত টুকুই আমার সরনে আছে। আমি তাওবায় আল্লাহ কে ওয়াদা করেছিলাম এবং কসম করে বলেছিলাম নাকি আমার একেবারেই মনে পরছে না। বিশেষ করে কসম করার কথা টি
কিন্তু আজকে আফসস সালাত শেষ করে (আমি উক্ত ঘটনাটির পর আর সে মুসাল্লা ব্যাবহার করি নি)  আবার ওই মুসাল্লার কাবার ছবির উপির মুসাল্লায় পা ঘুরিয়ে বশার সময় একেবারেই মিনের ভুলে, আমি কিছু হয়ার আগে বুঝেই আশে নাই,,,,,, আমার পা কাবা শরিফের ছবি তে লেগে জায়।


১।এক্ষেত্রে আমার আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রতি এবং প্রিয় রাসুল (সা) এর প্রতি যে ইমান,,,,তা কি অক্ষুন্ন থাকবে
?


**বিষয় টি সত্যি বলছি একেবারেই আমি বুঝে শুনে করি নি,  জিনিস টা হয়ে জাওয়ার কিছু খন পর আমার বুঝে আসছে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রাণীহীন ফটো নাজায়েয নয়।সুতরাং মানুষ্যবিহীন পবিত্র স্থান সমূহের ফটো দুষণীয় নয়। নাজায়েয হবে না।তবে নামাযি ব্যক্তির জন্য কখনো উচিৎ হবে না যে,তার সামনে বা জায়নামাযে কোনো কিছুর ফটো থাকবে।কেননা এতে তার মনযোগে ব্যাঘাত ঘটবে। ফুকাহায়ে কিরাম একে মাকরুহে তানযিহি বলে থাকেন।

হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺻَﻠَّﻰ ﻓِﻲ ﺧَﻤِﻴﺼَﺔٍ ﻟَﻬَﺎ ﺃَﻋْﻠَﺎﻡٌ ﻓَﻨَﻈَﺮَ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﻋْﻠَﺎﻣِﻬَﺎ ﻧَﻈْﺮَﺓً ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺍﻧْﺼَﺮَﻑَ ﻗَﺎﻝَ ﺍﺫْﻫَﺒُﻮﺍ ﺑِﺨَﻤِﻴﺼَﺘِﻲ ﻫَﺬِﻩِ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﺑِﻲ ﺟَﻬْﻢٍ ﻭَﺃْﺗُﻮﻧِﻲ ﺑِﺄَﻧْﺒِﺠَﺎﻧِﻴَّﺔِ ﺃَﺑِﻲ ﺟَﻬْﻢٍ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﺃَﻟْﻬَﺘْﻨِﻲ ﺁﻧِﻔًﺎ ﻋَﻦْ ﺻَﻠَﺎﺗِﻲ ﻭَﻗَﺎﻝَ ﻫِﺸَﺎﻡُ ﺑْﻦُ ﻋُﺮْﻭَﺓَ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛُﻨْﺖُ ﺃَﻧْﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻰ ﻋَﻠَﻤِﻬَﺎ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻓَﺄَﺧَﺎﻑُ ﺃَﻥْ ﺗَﻔْﺘِﻨَﻨِﻲ
রাসূলুল্লাহ সাঃ একবার রেশম বা পশমের এমন কাপড়ে যাতে নকশা এবং কারুকার্য বিদ্যমান ছিলো,তাতে  নামায পড়তেছিলেন। হঠাৎ নামাযের মধ্যেই সেই কারুকার্যের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ হল।যখন রাসূল সাঃ নামায থেকে সালাম ফিরালেন।তখন বললেন,উক্ত কারুকার্যময় কাপড়কে নিয়ে তোমরা আবু-জাহমের নিকট যাও এবং তাকে দিয়ে আসো।সাথে সাথে আবু-জাহমের কারুকার্যহীন চাদর-কে আমার নিকট নিয়ে আসো।কেননা উক্ত কারুকার্য আমাকে কিছু সময়ের জন্য নামায থেকে গাফিল করে রেখেছিলো।

অন্য বর্ণনায় এসেছে,রাসূল সাঃ বলেন,আমি নামাযে থাকা অবস্থায়-ই উক্ত কারুকার্যের দিকে আমার দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো। আমার ভয় হল যে,না জানি কি আমি ফিতনায় পড়ে যাই। (সহীহ বুখারী-৩৭৩,সহীহ মুসলিম- ৫৫৬)

কা'বা ঘরের ফটো অঙ্কিত জায়নামাজ অপছন্দনীয়(মাকরুহ)। তাতে নামায পড়াও অপছন্দনীয়(মাকরুহ) । কারণ হল,তাতে মনযোগ বিনষ্ট হতে পারে বা হবেই। তবে ক'বা ঘরকে পদপৃষ্ঠ করার অাশংকা থেকে উক্ত জায়নামাজ কে ব্যবহার করা মাকরুহ বলাটাও আপাতত যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে না।কেননা সাধারণত কেউ ইচ্ছা করে কা'বা ঘরের ফটোকে পৃষ্ঠ করবেনা।তারপরও পদপৃষ্ঠ হওয়ার একটা আশংকা থেকেই যায়।সর্বাবস্থায় মনযোগে ব্যাঘাত ঘটবেই। সুতরাং কা'বা ঘরের ফটো সংবলিত জায়নামাযে নামায পড়া কখনো উচিৎ হবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/358

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি কি কসম করেছিলেন, সেটা পরিস্কার করে বলেননি। 
যেহেতু আপনি অনিচ্ছায় কা’বার ছবিকে পৃষ্ট করেছেন, তাই এতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। এতে কোনো কাফফরাও ওয়াজিব হবে না। এরকম কা’বা সম্ভলিত জায়নামায কে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (27 points)
কসম করার বিষয়টি আমার মনে পরছে না একবারেই। মনে হচ্ছে করেছি। আবার মনে হচ্ছে করি নি।  তবে এটা মনে আছে যে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ওয়াদা ভুক্ত আছি।  কিন্তু এ ঘটনাটি আমার ইচ্চায় হয় নি। আমার একান্ত ভুলে। এমন কি হওয়ার পর সাথে সাথে ও আমি বুঝতে পারি নাই। 

১।আমি আমার ইমান নিয়ে খুব সংশয়ে আছি। আমাকে সাহায্য করুন। 

by (597,330 points)
যদি আপনি কসম করে থাকেন তাহলে কিভাবে করেছেন? কোন শব্দে কোন পদ্ধতিতে করেছেন? সেটা বলুন?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...