আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
416 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আমি প্রায় আমার বান্ধবীদের দেখি একজন আরেকজনকে Babe, জান ইত্যাদি বলে ডাকে। এগুলো কি ইসলাম সমর্থন করে?


আমি প্রায় আমার বান্ধবীদের দেখি একজন আরেকজনকে Babe, জান ইত্যাদি বলে ডাকে। এগুলো কি ইসলাম সমর্থন করে?

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো  কোন মুসলমানকে গালি দেওয়া জায়েজ নয়। এটি ফাসেকী।

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে সতর্ক করেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا یَسْخَرْ قَوْمٌ مِّنْ قَوْمٍ عَسٰۤی اَنْ یَّكُوْنُوْا خَیْرًا مِّنْهُمْ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنْ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنْ یَّكُنَّ خَیْرًا مِّنْهُنَّ وَ لَا تَلْمِزُوْا اَنْفُسَكُمْ وَ لَا تَنَابَزُوْا بِالْاَلْقَابِ بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوْقُ بَعْدَ الْاِیْمَانِ وَ مَنْ لَّمْ یَتُبْ فَاُولٰٓىِٕكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ.

হে মুমিনগণ! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পর মন্দ নাম অতি মন্দ। যারা এসব থেকে বিরত না হবে তারাই যালেম। -সূরা হুজুরাত (৪৯) : ১১

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سِبَابُ المُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী। আর তাকে হত্যা করা কুফরী। {বুখারী, হাদীস নং-৬০৪৪] 

★প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য দ্বারা কোনো গালি নয়,বরং আদর-সোহাগ ও ভালোবাসা প্রকাশার্থেই এমন বাক্য বলে ডাকা হয়,যাহা স্বামী স্ত্রী রাও পরস্পরে ডেকে থাকে,সুতরাং এটা জায়েজ আছে।
কোনো সমস্যা নেই।   
শর্ত হলো কারো মনে কষ্ট দেওয়া যেনো উদ্দেশ্য না হয়। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
  
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপন স্ত্রী আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে মাঝে মাঝে ‘হুমাইরা’ (লালবর্ণের সুন্দরী) নামে ডাকতেন। আয়িশা বলেন, ‘কিছু হাবশি বালক মসজিদে খেলাধুলা করছিল। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে ডেকে বললেন, ‘ও হুমাইরা, তুমি কি তাদের খেলাধুলা দেখতে চাও?’ আমি উত্তর দিলাম, ‘হ্যাঁ’। [বাইহাকি, আসসুনানুল কুবরা : ৮৯৫১]

কাজি ইয়াজ বলেন, ‘আদর-সোহাগ ও ভালোবাসা প্রকাশার্থেই তিনি হুমাইরা নামে ডেকেছিলেন তাকে।’ [মাশারিকুল আনওয়ার, ১/৭০২]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...