সুতরাং এর থেকে বুঝা যায় যে জীনে আক্রান্ত ব্যাক্তির সামনে সুরা বাকারা পড়া হলে এক রকম বুঝা যাবে যে আসলেই সে আক্রান্ত কিনা?
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এর সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ নেই। যারা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ রয়েছে, তারা আলোচনার মধ্যে এগুলো উপলব্ধি করতে পারে। আমি একটা নির্দিষ্ট লক্ষণ বলে দিলাম আর আপনি ভাবলেন, এটাই মনে হয় লক্ষণ, বিষয়টি এমন নয়।
কিছু বিশেষজ্ঞ লক্ষন হিসেবে কিছু বিষয় বলেছেনঃ
ঘুম সংক্রান্ত লক্ষণ সমূহঃ
১। নিদ্রাহীনতা: যার জন্য সারারাত শুধু বিশ্রাম নেয়াই হয়, ঘুম হয়না।
২। উদ্বিগ্নতা: যেজন্য রাতে বার বার ঘুম ভেঙে যাওয়া।
৩। বোবায়ধরা: ঘুমের সময় কেউ চেপে ধরেছে, নড়াচড়া করতে পারছে না। প্রায়ই এমন হওয়া।
৪। ঘুমের মাঝে প্রায়শই চিৎকার করা, গোঙানো, হাসি-কান্না করা।
৫। ঘুমন্ত অবস্থায় হাটাহাটি করা (Sleepwalking)
ঘুম ব্যতীত অন্য সময়ের লক্ষণ
১। দীর্ঘ মাথাব্যথা (চোখ, কান, দাত ইত্যাদি সমস্যার কারণে নয়, এমনিই)
২। ইবাদত বিমুখতা: নামাজ, তিলাওয়াত, যিকির আযকারে আগ্রহ উঠে যাওয়া। মোটকথা, দিনদিন আল্লাহর থেকে দূরে সরে যাওয়া
৩। মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকা, কিছুতেই মন না বসা..
৪। ব্যাপক অলসতা; সবসময় অবসন্নতা ঘিরে রাখা
৫। মৃগীরোগ
৬। শরীরের কোনো অংঙ্গে ব্যাথা কিংবা বিকল হয়ে যাওয়া। ডাক্তাররা যেখানে সমস্যা খুজে পেতে বা চিকিৎসা করতে অপারগ হচ্ছে।
,
আবারও মনে করিয়ে দেই, শারীরিক রোগের কারণেও এসব হয়ে থাকে। তবে যখন দীর্ঘদিন যাবত যখন এসব লক্ষণ দেখা যাবে, তখন ভাববেন কোনো সমস্যা আছে।
★পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।