ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইসলামি সরকার ব্যবস্থার তিনটি পদ্ধতি শরীয়তে রয়েছে।যথা-
- (১)আবু-বকর রাযি কে খলিফা নির্বাচন পদ্ধতি কে অনুসরণ করা।জনসাধারণের রায়ের উপর আবু বকর রাযি খলিফা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
- (২)উমর রাযি কে খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতি কে নির্বাচন করা।পূর্ববর্তী খলিফা কর্তৃক নাম ঘোষণার মাধ্যমে উমর রাযি খলিফা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
- (৩)উসমান রাযি কে খলিফা নির্বাচন পদ্ধতি পদ্ধতিকে খলিফা নির্বাচন করা।পূর্ববর্তী খলিফা কর্তৃক কয়েকজনের একটি ঘোষিত কমিটির নিকট খেলাফত হস্তান্তর।অতঃপর কমিটির সবার মতামতে কাউকে খলিফা নির্বাচন।যেমন হযরত উসমান রাযি হয়েছিলেন।
এ তিন পদ্ধতির যে কোনো একটি পদ্ধতির দ্বারা খলিফা বা মুসলমানদের সরকার প্রদান নির্বাচন করা যায়।কিন্তু পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেয়া গণতন্ত্রে প্রথম পদ্ধতির সামান্য কিছু পাওয়া গেলেও সবটুকু পাওয়া যায়নি।যেমন বর্তমান গণতন্ত্রে অধিকাংশের ভিত্তিতে পাশ-ফেইল নির্বাচন করা হয়।যেখানে একজন মুফতী,মাওলানা,প্রভাষক,র্রাষ্টবিজ্ঞানি এবং একজন পাগলের ভোটের মূল্য প্রায় সমান।
হক্ব না নাহক্ব তালাশ না করে শুধুমাত্র অধিকাংশের ভিত্তিতে কারো মতামতকে গ্রহণ করতে রাসূলুল্লাহ সাঃ কে অনুৎসাহিত করা হয়েছে।
যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﺇِﻥ ﺗُﻄِﻊْ ﺃَﻛْﺜَﺮَ ﻣَﻦ ﻓِﻲ ﺍﻷَﺭْﺽِ ﻳُﻀِﻠُّﻮﻙَ ﻋَﻦ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﺇِﻥ ﻳَﺘَّﺒِﻌُﻮﻥَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻈَّﻦَّ ﻭَﺇِﻥْ ﻫُﻢْ ﺇِﻻَّ ﻳَﺨْﺮُﺻُﻮﻥَ
আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী করে দেবে। তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে।(সূরা আল-আন'আম-১১৬)
ইসলাম বুদ্ধিমানদের মতামতকে অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়।
ﻗُﻞْ ﻫَﻞْ ﻳَﺴْﺘَﻮِﻱ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳَﺘَﺬَﻛَّﺮُ ﺃُﻭْﻟُﻮﺍ ﺍﻟْﺄَﻟْﺒَﺎﺏِ
বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।
গণতন্ত্র কে ইসলামী ধাচে সাজানো যায়।কিন্তু বর্তমানে প্রচলিত পশ্চিমা গণতন্ত্র প্রায় অনেকটাই ইসলাম সাংঘর্ষিক।তবে কিছু বিষয় ইসলামের অনুকূলে রয়েছে।
যাই হোক,
এই পশ্চিমা গণতন্ত্রে প্রতিষ্টিত কোনো সরকার যদি সংসদে কোনো বিল পাশ করে,এবং তা কোরআন হাদীসের বিধি-বিধানের অনুকূলে থাকে তাহলো তো ভালো।এবং একে ভালো মনে করা দূষের কিছু নয়। কিন্তু যদি সংসদ কুরআন-হাদীস বিরুধী কোনো বিল পাশ করে।এবং কেউ এ ব্যপারে এই ধারণা করে যে,সংসদের রায়-ই হক্ব বা যথাযোগ্য। তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।(নাউযু বিল্লাহ)(ফাতাওয়ায়ে উসমানি-৩/৫০৭)ইসলামি সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে ভালো মনে করা চরম পর্যায়ের গুমরাহি ও পথভ্রষ্টতা।এবং ক্ষেত্রবিশেষ ঈমান হারা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/626
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পশ্চিমা গণতন্ত্রের রুপরেখাকে বদলিয়ে কিছূ রদবদল করে পুরোপুরি্ ইসলামি বানানো যাবে, আগমির মুসলমানরা এমনটাই করুক। বা খলিফা পদ্ধতির শাসনব্যবস্থা ফিরে আসুক। এটাই আপাতত কামনা করছি।