আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
336 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
1/ দ্বিতীয় বিবাহের অনেক দিন হয়েছে যা প্রথম স্ত্রী জানে না এতে বিবাহ কি বৈধ ? আমার মা বাবা ও জীবিত উনারা ও জানেন না আমি তালাক প্রাপ্তা একজনকে যে বিবাহ করেছি কারণ আমি জানি উনারা তা মেনে নেবেন না।

2/  আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর কেউ নেই মা বাবা ভাই ,,অতএব দুজন আমার বন্ধু পুরুষকে সাক্ষী রেখে আমরা এই শর্তে বিবাহ করেছি যে আমি ওর সমস্ত ধরণের খরচা বহন করব আর মাঝে মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ করবো এবং কোন বাচ্ছা নেব না এতে কি আমার বিবাহ হয়েছে ?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
শরীয়তের বিধান মতে একাধিক স্ত্রীর মাঝে যদি ইনছাফ করতে পারে,তাহলে প্রয়োজনের স্বার্থে একাধিক বিবাহ করতে পারবে।
এক্ষেত্রে ১ম স্ত্রীর অনুমতির প্রয়োজন নেই।   

আল্লাহ তায়ালা বলেন

فانكحوا ما طاب لكم من النساء مثنى وثلاث ورباع 

তোমরা বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমার ভালো লাগে—দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে (বিয়ে করো)...।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩)

এক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা প্রথম স্ত্রী থেকে অনুমতি নিতে হবে বলে শর্ত দেননি।
বরং শর্ত দিয়েছেন যে যদি সকলের মাঝে ইনছাফ করতে পারো।  
.
দ্বিতীয় বিবাহ করার ইসলামী শর্ত বেশ কঠিন অনেক কড়া। 
আগের স্ত্রীর সব ধরনের হক আদায়ের পর নতুন বিয়ের পরেও সমান তালে সব অধিকার পালন করার আত্মবিশ্বাস থাকলেই কেবল যৌক্তিক কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়।

قال اللہ تعالی:فإن خفتم ألا تعدلوا فواحدة الآیة (سورہ نسا، آیت:۳)
 আল্লাহতায়ালা বলেন, একাধিক বিয়ের সুবিধা যাদের আছে, তারা যদি সম অধিকার বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভীত হও, তাহলে এক বিয়ে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাক। 

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ : «إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّه سَاقِطٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُوْ دَاودَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো পুরুষের দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে, তবে সে কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন) অবস্থায় উঠবে।

(সহীহ : তিরমিযী ১১৪১, আবূ দাঊদ ২১৩৩, ইবনু মাজাহ ১৯৬৯, নাসায়ী ৩৯৪২, আহমাদ ৭৯৩৬, সহীহ আল জামি‘ ৭৬১, সহীহ আত্ তারগীব ১৯৪৯।)
,
আরো জানুনঃ  
,
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের বিবাহ বৈধ। 
,
(০২)
উল্লেখিত শর্তেও আপনার বিবাহ ছহীহ হয়েছে।
,
তবে "সন্তান নিবোনা" এই শর্ত পুরোপুরি নাজায়েজ। 
এটি বাতিল।
এহেন শর্ত করা উচিত হয়নি।
"মাঝে মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ করবেন" এহেন শর্তের দ্বারা  সেই স্ত্রীর হক পুরোপুরি আদায় হবেনা।
কারন এতে ইনছাফ হলোনা।
,
এক্ষেত্রে ২য় স্ত্রী অসন্তুষ্ট হলে আপনি গুনাহগার হবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...