জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ الْمُلاَئِيُّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ الْحَاجَةَ لَمْ يَرْفَعْ ثَوْبَهُ حَتَّى يَدْنُوَ مِنَ الأَرْضِ .
কুবায়বা (রহঃ) ...... আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, পেশাব-পায়খানার সময় ভূমির নিকটবর্তী না হওয়া পর্যন্ত রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাপড় তুলতেন না।
আবু দাউদ ১১, সহিহাহ ১০৭১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪ সহীহুল জামি‘ ৪৬৫২। [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পেশাব বা পায়খানা করার জন্য বসার ইচ্ছা করতেন তখন লজ্জাস্থান উন্মুক্ত হওয়ার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনার্থে জমিনের নিকটবর্তী না হওয়া পর্যন্ত স্বীয় কাপড় উপরে উত্তোলন করতেন না।
‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ এটি পেশাব-পায়খানার একটি অন্যতম শিষ্টাচার যা প্রাচীরবিশিষ্ট টয়লেট এবং খোলা ময়দানের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য। কারণ পরিধেয় কাপড় উপরে তুললে লজ্জাস্থান উন্মুক্ত হয়ে পড়ে, যা প্রয়োজন ছাড়া বৈধ নয়। আর জমিনের নিকটবর্তী না হয়ে কাপড় উপরে তোলার প্রয়োজনও নেই।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ইস্তেঞ্জার সময়ে বসার নিকটবর্তী হয়ে সতর খুলবে।
এ সময় বদ্ধ বাথরুমে সম্পূর্ণ সতর খোলা নাজায়েজ নয়।
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা হাটুর উপরে উঠলে কোনো সমস্যা হবেনা।
,
তবে আদব হলো নিচের দিকে খোলা রেখে উপরের দিকে হাটু পর্যন্ত ঢেকে রাখবে।