আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
876 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি একজায়গায় দেখছি যে এক লোক তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সাথে সাথে একবার সুবহানাল্লাহ আরেকবার মাশাল্লাহ বলছে,ফলে মুফতি সাহেব বলছেন সেটা কার্যকর হইনি,এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি

১ঃ- ইনশাআল্লাহ,সুবহানাল্লাহ,মাশাল্লাহ যুক্ত করে তালাক কি কার্যকর হয়?

২ঃ-কেউ যদি মনে মনে তালাকের কথা ভাবার সাথে সাথে সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ জিকিরের ন্যায় বলে তাহলে কি তা কার্যকর হবে?

৩ঃ- কেউ যদি এভাবে বলে যে"যদি কখনো আমি স্ত্রীর সাথে ঝগরা করে তাকে তালাক বলে দেই(আংশকা বুজাতে)"সাথে সুবহানাল্লাহ পরে আলহামদুলিল্লাহ বলে তাহলে কি তা কার্যকর হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,380 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
ইনশাআল্লাহ বলে তালাক দিলে তালাক হয় না। কারণ ইনশাআল্লাহ মানে হলো, আল্লাহ যদি চান। আর আল্লাহর ইচ্ছা সম্পর্কে কেউ অবগত নয়। তাই তালাক হবে না।

হাদিস শরিফে এসেছে,
عن إبراهيم قال: إذا حلف الرجل، فقال: إن لم يفعل كذا وكذا فامرأته طالق إن شاء الله فحنث، لم تطلق امرأته

‘ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি কসম করে যে, সে অমুক কাজ না করলে ইনশাআল্লাহ তার স্ত্রী তালাক। এরপর সে যদি কসম ভঙ্গ করে তাহলে তার স্ত্রী তালাক হবে না।’ [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদিস: ১১৩২৭]
,
তালাকের সাথে ইনশাআল্লাহ বললে তালাককে আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার সাথে শর্তযুক্ত করা হয়। তাই ইনশাআল্লাহ বলে তালাক দেওয়ার অর্থ হল আল্লাহ যদি চান তাহলে স্ত্রী তালাক। এই শর্তটি পাওয়া যাওয়ার বিষয়ে যেহেতু নিশ্চিত হওয়া যায় না তাই ইনশাআল্লাহ বলে তালাক দিলে তালাক কার্যকর হয় না।
ইমাম মুহাম্মাদ রাহ. তার কিতাবুল আছারে ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. থেকে বর্ণনা করেন যে, কোনো ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে বলে ইনশাআল্লাহ তুমি তিন তালাক। তার এ কথার দ্বারা স্ত্রীর উপর কোনো তালাক পতিত হবে না। -কিতাবুল আছার ৫১১

তালাক বলার সাথে সাথে যদি “সুবহানাল্লাহ” ও “মাশাআল্লাহ” বলা হয়ে থাকে, তাহলে কোন তালাক পতিত হয়নি।

আর যদি কিছুক্ষণ পর বলা হয়ে থাকে, তাহলে তিন তালাক পতিত হয়ে গেছে।

وَلَوْ قَالَ: أَنْتِ طَالِقٌ مَا شَاءَ اللَّهُ كَانَ وَكَذَا لَوْ قَالَ: أَنْتِ طَالِقٌ إلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ لَا يَقَعُ شَيْءٌ كَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ. (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الْفَصْلُ الرَّابِعُ فِي الِاسْتِثْنَاءِ فِي الطَّلَاق-1/454)
ومن الاستثناء: أنت طالق لولا أبوك، أو لولا حسنك، أو لولا أني أحبك لم يقع خانية، ومنه: سبحان الله ذكره ابن الهمام في فتواه (الدر المختار مع رد المحتار، كتاب الطلاق، باب التعليق-4/630
সারমর্মঃ
সুবহানাল্লাহ,মাশাআল্লাহ এগুলো ইস্তেছনার শব্দ।
এতে তালাক হয়না।
,
তালাকের সাথে মাশাআল্লাহ যুক্ত করে বলার কারণে তালাক পতিত হবে না। কারণ, মাশাআল্লাহ মানে হল, আল্লাহ তাআলা যা ইচ্ছা করেছেন। আর আল্লাহর ইচ্ছা সম্পর্কে আমরা কেউই অবগত নই।
,
তালাকের সাথে সুবহানাল্লাহ যুক্ত করে তালাক দিলে তালাক পতিত হয় না। কিন্তু আগে যদি তালাক দেয় তারপর কিছুটা বিরতি নিয়ে সুবহানাল্লাহ বলে তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
সুতরাং উক্ত ব্যক্তি যদি তালাকের সাথে সুবহানাল্লাহ যুক্ত করে বলে থাকে তাহলে তার তালাক পতিত হবে না। আর যদি কিছূটা বিরতি দিয়ে বলে থাকে তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদিস: ১১৩২৭; রদ্দুল মুহতার ৪/৬৩০।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি তালাক দেওয়ার সাথে সাথে ইনশাআল্লাহ/মাশাআল্লাহ /সুবহানাল্লাহ বলে,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
উপরোক্ত মুফতী সাহেবের ফতোয়া পুরোপুরি সঠিক।
,
(০২)
এতে তালাক  কার্যকর হবেনা।
,
(০৩)
এতে তালাক  কার্যকর হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
কিছু বিরতি বলতে কতক্ষণ 
1সেকেন্ড পরে বললে হবে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...