ওজুর পরে যেই পানি আমাদের শরীর থেকে ঝরে, তা পাক।
তবে সেটি অন্যকে পাক করতে পারেনা,অর্থাৎ এই ঝরে যাওয়া পানি দ্বারা অযু করা যাবেনা।
এটাকে ব্যবহৃত পানি বলা হয়।
,
ব্যবহৃত পানি বলা হয় এমন পানিকে, যা ‘হাদাস’ (অপবিত্রতা দূর করা বা সওয়াব অর্জনের জন্য অজু ও গোসলে ব্যবহৃত হয়েছে।
ব্যবহারকারীর শরীর থেকে আলাদা হওয়ার পর সেই পানি ব্যবহৃত পানি বলে গণ্য হবে।
হাদিসের স্পষ্ট বর্ণনার কারণে ব্যবহৃত পানি পবিত্র। তবে হাদিসের ভাষ্য মতে, এই পানি দ্বারা অজু হবে না। (বুখারি, হাদিস : ৫২৪৪)
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
أو بماء استعمل لأجل قربۃ أي ثواب ولو مع رفع حدث أو غسل میت۔ قال الشامي: قولہ أو غسل میت معطوف علی رفع حدث وکون غسالتہ مستعملۃ ہو الأصح۔ (شامی کراچی ۱؍۱۹۸، درمختار مع الشامي زکریا ۱؍۳۴۸- ۳۴۹)
ব্যবহৃত পানি বলা হয় এমন পানিকে, যা ‘হাদাস’ (অপবিত্রতা দূর করা বা সওয়াব অর্জনের জন্য অজু ও গোসলে ব্যবহৃত হয়েছে।
,
আরো জানুনঃ
(০২)
যদি এতে বীর্য বের হয়,তাহলে গোসল ফরজ হবে,অন্যথায় নয়।
وَمَنِيُّ الرَّجُلِ خَاثِرٌ أَبْيَضُ رَائِحَتُهُ كَرَائِحَةِ الطَّلْعِ فِيهِ لُزُوجَةٌ يَنْكَسِرُ الذَّكَرُ عِنْدَ خُرُوجِهِ، وَمَنِيُّ الْمَرْأَةِ رَقِيقٌ أَصْفَر
পুরুষের মনি বা বীর্য হলঃ-যা সাদা গাঢ় একপ্রকার গন্ধমাখা পিচ্ছিল পানি যা উত্তেজনার সাথে আটকিয়ে আটকিয়ে বের হয়,এবং বের হওয়ার সাথে সাথে পুঃলিঙ্গ নেতিয়ে পড়ে,আর মহিলার বীর্য হল,পাতলা প্রায় হলুদ বর্ণের ।
আরো জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু সাদা স্রাব দেখতে পেয়েছে,তাই এটি বীর্য নয়।
এতে গোসল ফরজ হবেনা।
,
হ্যাঁ যদি বীর্যের কিছু দেখতে পায় যেটাকে মহিলাদের বীর্য বলা হয়,তাহলে গোসল ফরজ হবে।
(০৩)
ইসলামি শরীয়াহ মতে মেঝেতে কোন নাপাকি পড়লে তা সরিয়ে মেঝে মুছে ফেলতে হবে। তারপর তা শুকিয়ে গেলে ও নাপাকির প্রভাব নিঃশ্চিহ্ন হয়ে গেলে সেই মেঝে নাপাকি থেকে পাক হয়ে যাবে। তারপর খালি পায়ে বা ভেজা পায়ে ঐ জায়গায় চলাচলে কোন অসুবিধা নেই।
মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা ১/৪৩১; ইলাউস সুনান ১/৩৯৬; নাসবুর রায়া ১/২৭৭; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৫; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৪২
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সিমেন্টের ফ্লোর আর টাইলস করা ফ্লোরে প্রস্রাব থাকলে,পানি ঢালা জরুরী নয়।বরং উক্ত স্থান শুকিয়ে গেলেই পবিত্র হয়ে যাবে।
,
হ্যাঁ যদি দৃশ্যমান কোনো নাপাকি লাগে,তাহলে তা সরিয়ে মেঝে মুছে ফেলতে হবে। তারপর তা শুকিয়ে গেলে ও নাপাকির প্রভাব নিঃশ্চিহ্ন হয়ে গেলে সেই স্থান নাপাকি থেকে পাক হয়ে যাবে।
আরো জানুনঃ