ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَمَن لَّمْ يَسْتَطِعْ مِنكُمْ طَوْلاً أَن يَنكِحَ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ فَمِن مِّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُم مِّن فَتَيَاتِكُمُ الْمُؤْمِنَاتِ وَاللّهُ أَعْلَمُ بِإِيمَانِكُمْ بَعْضُكُم مِّن بَعْضٍ فَانكِحُوهُنَّ بِإِذْنِ أَهْلِهِنَّ وَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ مُحْصَنَاتٍ غَيْرَ مُسَافِحَاتٍ وَلاَ مُتَّخِذَاتِ أَخْدَانٍ فَإِذَا أُحْصِنَّ فَإِنْ أَتَيْنَ بِفَاحِشَةٍ فَعَلَيْهِنَّ نِصْفُ مَا عَلَى الْمُحْصَنَاتِ مِنَ الْعَذَابِ ذَلِكَ لِمَنْ خَشِيَ الْعَنَتَ مِنْكُمْ وَأَن تَصْبِرُواْ خَيْرٌ لَّكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন মুসলমান নারীকে বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না, সে তোমাদের অধিকারভুক্ত মুসলিম ক্রীতদাসীদেরকে বিয়ে করবে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত রয়েছেন। তোমরা পরস্পর এক, অতএব, তাদেরকে তাদের মালিকের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর এমতাবস্থায় যে, তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে-ব্যভিচারিণী কিংবা উপ-পতি গ্রহণকারিণী হবে না। অতঃপর যখন তারা বিবাহ বন্ধনে এসে যায়, তখন যদি কোন অশ্লীল কাজ করে, তবে তাদেরকে স্বাধীন নারীদের অর্ধেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ব্যবস্থা তাদের জন্যে, তোমাদের মধ্যে যারা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে ভয় করে। আর যদি সবর কর, তবে তা তোমাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।(সূরা নিসা-২৫)
حَقِيقَةُ نِكَاحِ السِّرِّ:
গোপন বিয়ের বিধান।
اخْتَلَفَ الْفُقَهَاءُ فِي حَقِيقَةِ نِكَاحِ السِّرِّ:
فَذَهَبَ جُمْهُورُ الْفُقَهَاءِ: الْحَنَفِيَّةُ وَالشَّافِعِيَّةُ وَالْحَنَابِلَةُ إِلَى أَنَّ نِكَاحَ السِّرِّ هُوَ مَا لَمْ يَحْضُرْهُ الشُّهُودُ، أَمَّا مَا حَضَرَهُ شَاهِدَانِ فَهُوَ نِكَاحُ عَلاَنِيَةٍ لاَ نِكَاحَ السِّرِّ، إِذِ السِّرُّ إِذَا جَاوَزَ اثْنَيْنِ خَرَجَ مِنْ أَنْ يَكُونَ سِرًّا، وَاسْتَدَلُّوا عَلَى صِحَّتِهِ بِقَوْل النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بَوْلِيٍّ وَشَاهِدَيْ عَدْلٍ ، مَفْهُومُهُ انْعِقَادُ النِّكَاحِ بِذَلِكَ وَإِنْ لَمْ يُوجَدِ الإِْظْهَارُ، وَلأِنَّهُ عَقْدُ مُعَاوَضَةٍ فَلَمْ يُشْتَرَطْ إِظْهَارُهُ كَالْبَيْعِ
وَأَخْبَارُ الإِْعْلاَنِ عَنْهُ فِي أَحَادِيثَ مِثْل: أَعْلِنُوا هَذَا النِّكَاحَ وَاضْرِبُوا عَلَيْهِ بِالدُّفِّ ، يُرَادُ بِهَا الاِسْتِحْبَابُ،
…………………
وَأَمَّا نَهْيُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ نِكَاحِ السِّرِّ فَالْمُرَادُ بِهِ النِّكَاحُ الَّذِي لَمْ يَشْهَدْهُ الشُّهُودُ بِدَلِيل " أَنَّ سَيِّدَنَا عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أُتِيَ بِنِكَاحٍ لَمْ يَشْهَدْ عَلَيْهِ إِلاَّ رَجُلٌ وَامْرَأَةٌ وَقَال: هَذَا نِكَاحُ السِّرِّ، وَلاَ أُجِيزُهُ، وَلَوْ كُنْتُ تَقَدَّمْتُ فِيهِ لَرَجَمْتُ " (١)
নিকাহে সির তথা গোপন বিয়ে সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, হানাফি,শা'ফেয়ী, হাম্বলী মাযহাবের হুমহুর ফুক্হাদের মাযহাব হল, নিকাহে সিরর, যাতে কোনো সাক্ষী থাকবে না,যদি সাক্ষী থাকে,তাহলে তা নিকাহে সিরর হবে না।তখন সেটা প্রকাশ্য নিকাহ হবে।যখন বিয়ের সংবাদ দুইজন লোককে অতিক্রম করবে, তখন সেটা প্রকাশ্য বিয়ে হয়ে যাবে। এবং সেটা তখন নিকাহে সির থাকবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, ওলী এবং সাক্ষী ব্যতিত কোনো বিয়ে হতে পারে না। মর্মকথা হল, তখন বিয়ে হয়ে যাবে। যদিও তাতে বিয়ের প্রচার প্রসারকে পাওয়া যায়নি। কেননা এটা হল,বিনিময়যোগ্য আকদ। সুতরাং তাতে প্রচার প্রসার থাকা শর্ত নয়। বিয়ের এ’লান যা হাদীসে এসেছে, দফ বাজিয়ে বিয়ের এ’লান করো, এই এ’লান দ্বারা মুস্তাহাব উদ্দেশ্য।
রাসূলুল্লাহ সাঃ গোপন ঐ বিয়েকে নিষেধ করেছেন, যাতে শরয়ী সাক্ষী থাকবে না। যেমন হযরত উমর রাযি এর নিকট এমন একটি বিয়ে আসলে যে বিয়েতে সাক্ষী হিসেবে একজন পুরুষ এবং একজন নারী ছিল, অথচ দুই জন পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা থাকার কথা ছিলো। হযরত উমর রাযি সেই বিবাহ কে গ্রহণ না করে বলেন, এটা গোপন বিয়ে । এ বিয়ের কোনো অনুমোদন আমি দিব না। মালিকি মাযহাব মতে গোপন বিয়ের কিছুটা ব্যাখ্যা সাপেক্ষ্য বিষয়। (আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৪১/৩৫২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দুইজন পুরুষ সাক্ষী অথবা একজন পুরুষ সাক্ষী ও দুইজন মহিলা সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ে হয়ে গেলেই সেই বিয়ে আর গোপন বিয়ে থাকবে না। বরং এতে প্রচার প্রসার সম্ভলিত বিয়ের সিফাত চলে আসবে। হ্যা ব্যাপক প্রচার প্রসার এমনকি প্রয়োজনে এক মুখা দফ বাজিয়ে বিয়ে করা মুস্তাহাব। হযরত উমর রাযি সেই বিয়েকে এজন্য গ্রহণ করেননি, কেননা সেই বিয়েতে সাক্ষীর পূর্ণ সংখ্যা ছিলনা।