ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যদি ইমাম সাহেব মুক্তাদির দু’আয়ে কুনুত পড়ার পূর্বে রুকুতে চলে যান, তাহলে মুক্তাদি ইমামের রুকু থেকে মাথা উত্তোলেন করার পূর্ব পর্য়ন্ত কুনুত পড়তে পারবে। অর্থাৎ যৎসামান্য বাকী থাকলে মুক্তাদি সম্পূর্ণ করব, নতুবা ইমামের অনুসরণ করে রুকুতে চলে যাবে।
বিতিরের নামাযে কুনুত করা বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিব। কুনুত হচ্ছে,তৃতীয় রা'কাতে কিরাত থেকে ফারিগ হওয়ার পর রাফে ইয়াদাঈন করে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী আবার হাতে বেধে একটি দু'আ পড়া।
وليس في القنوت دعاء مؤقت. كذا في التبيين والأولى أن يقرأ " اللهم إنا نستعينك " ويقرأ بعده " اللهم اهدنا فيمن هديت " ومن لم يحسن القنوت يقول: {ربنا آتنا في الدنيا حسنة وفي الآخرة حسنة وقنا عذاب النار} [البقرة: ٢٠١] . كذا في المحيط أو يقول: اللهم اغفر لنا ويكرر ذلك ثلاثا وهو اختيار أبي الليث. كذا في السراجية.
তবে কোন দু'আ পড়তে হবে সেটা নির্দিষ্ট নয়।(তাবয়ীন)উত্তম হল,"আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাইনুকা"তথা প্রচলিত দু'আ শেষ পর্যন্ত পড়া।এবং শেষে "আল্লাহুম্মাহদিনা ফি মান হাদাইতা"শেষ পর্যন্ত পড়া।অর্থাৎ এই দু'আ পড়া।
اللَّهُمَّ اهْدِنَا فِيمَنْ هَدَيْتَ ، وَعَافِنَا فِيمَنْ عَافَيْتَ ، وَتَوَلَّنَا فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ ، وَبَارِكْ لَنَا فِيمَا أَعْطَيْتَ ، وَقِنَا شَرَّ مَا قَضَيْتَ ، إِنَّكَ تَقْضِى وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ ، إِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ (سنن البيهقى الكبرى، رقم الحديث--2960)
যে ব্যক্তি উপরোক্ত দু'আ গুলোকে ভালভাবে পড়তে জানে না,সে যেন সূরা বাকারা ২০১নং আয়াত "রাব্বা আতিনা " দু'আ শেষ পর্যন্ত পড়ে নেয়।(মুহিত)অথবা 'আল্লাহুম্মাগফির-লানা" তিনবার পড়ে নেয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১১১)আল্লাহ-ই ভালো জানেন। বিতির সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/859
মুক্তাদি ইমামের অনুসরণ কিভাবে এবং কোন পদ্ধতিতে করবে?
والحاصل أن المتابعة في ذاتها ثلاثة أنواع: مقارنة لفعل الإمام مثل أن يقارن إحرامه لإحرام إمامه وركوعه لركوعه وسلامه لسلامه، ويدخل فيها ما لو ركع قبل إمامه ودام حتى أدركه إمامه فيه. ومعاقبة لابتداء فعل إمامه مع المشاركة في باقيه. ومتراخية عنه، فمطلق المتابعة الشامل لهذه الأنواع الثلاثة يكون فرضا في الفرض، وواجبا في الواجب، وسنة في السنة عند عدم المعارض أو عدم لزوم المخالفة كما قدمناه.
মোটকথাঃইমাম সাহেবের অনুসরণ তিনভাবে হতে পারে।(১)ইমাম সাহেবের সাথে সাথেই রুকুন পরিবর্তন করা।(২) ইমাম সাহেবের যৎসামান্য পর রুকুন পরিবর্তন করা।(৩)ইমাম সাহেবের এক রুকুন থেকে পরিপূর্ণরূপে অন্য রুকুনে চলে যাওয়ার পর মুক্তাদির রুকুন পরিবর্তন করা।এই তিন পদ্ধতির সবকটিরই অনুমোদন রয়েছে।রুকুন ফরয হলে ইমাম সাহেবের অনুসরণ করে রুকুন পরিবর্তন করা ফরয।ওয়াজিব হলে ওয়াজিব।এবং সুন্নত হলে সুন্নত।তবে যে সমস্ত স্থানে ইমামের অনুসরণ না করার কথা বর্ণিত রয়েছে,সে গুলো ব্যতীত এ বিধান প্রযোজ্য হবে। (রদ্দুল মুহতার-১/৪৭১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নামায হবে।