ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَتَعَاوَنُواْ عَلَى الْبرِّ وَالتَّقْوَى وَلاَ تَعَاوَنُواْ عَلَى الإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না।(সূরা মায়েদা-০২)
দাওয়াত ও তাবলীগ সকল যুগেই ছিল।উম্মতে মুহাম্মাদি এবং পূর্ববর্তী উম্মতের মধ্যেও দাওয়াত ও তাবলীগের দায়িত্ব ছিল।সর্বযুগে দাওয়াত ও তাবলীগ ফরয ছিল,এর একটি প্রমাণ- নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যখ্যায় মুফতী শফী রাহ তাফসীরে মা'রিফুল কুরআনে উল্লেখ করেন,
وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ الَّذِينَ اعْتَدَواْ مِنكُمْ فِي السَّبْتِ فَقُلْنَا لَهُمْ كُونُواْ قِرَدَةً خَاسِئِينَ
তোমরা তাদেরকে ভালরূপে জেনেছ, যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘণ করেছিল। আমি বলেছিলামঃ তোমরা লাঞ্ছিত বানর হয়ে যাও।
فَجَعَلْنَاهَا نَكَالاً لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهَا وَمَا خَلْفَهَا وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ
অতঃপর আমি এ ঘটনাকে তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহভীরুদের জন্য উপদেশ গ্রহণের উপাদান করে দিয়েছি।(সূরা বাকারা-৬৫)
বনি ইসরাঈলের মধ্যে শনিবারের মাছ শিকার নিয়ে কয়েকটা গ্রুপ ছিল,একটা গ্রুপ ছিল,যারা মাছ শিকার করেছে,একটা গ্রুপ ছিল,মাছ শিকার করেনি তবে তারা বাধা দানও করেনি।আরেকটা গ্রুপ ছিল,যারা দুয়েকবার বাধা দান করে শেষ পর্যন্ত আর বাধা দান করেনি।আরেকটা গ্রুপ ছিল,যারা শেষ পর্যন্ত বাধা দান করেছে।প্রথমোক্ত তিন গ্রুপকেই আল্লাহ বানর এবং শুকুর বানিয়েছিলেন।আর চতুর্থ গ্রুপকে অাল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।যেহেতু তারা সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ প্রদানের উপর অটল ছিলো। উক্ত ঘটনা থেকে বুঝা যায় যে,সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ প্রদান ফরয। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/4711
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হারাম কাজে সাহায্য করা হারাম। গোনাহ হবে। আপনার বানানো এ্যপ যদি হারাম কাজের জন্য বানানো হয়ে থাকে, তাহলে এমন এ্যপ বানানো এবং বিক্রি করা কখনো জায়েয হবে না। হ্যা তবে যদি হালাল কাজ বেশী হয়, এবং হারাম কাজ কম হয়, তাহলে রুখসত থাকবে, কিন্তু যেহেতু প্লেয়ার হারাম কাজেই বেশী ব্যবহার হবে, তাই এমন এ্যাপ বানানো কখনো জায়েয হবে না। এবং বিক্রি করাও জায়েয হবে না।এবং ইনকামও হালাল হবে না।