আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,076 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহ্। আমার এলাকায় যে মসজিদ আছে তার সামনে সারি সারি কবর রয়েছে। ঐ কবরগুলো আর মসজিদের আড়াল হচ্ছে মসজিদের দেয়াল।  আমার প্রশ্ন হলো এই মসজিদে কি নামাজ পড়া যাবে? মসজিদের দেয়ালটা কি আড়াল হিসেবে যথেষ্ট?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে কবরস্থানে বা কবরকে সামনে রেখে নামায পড়া নিষেধ।  
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم - وَقَالَ مُوسَى فِي حَدِيثِهِ فِيمَا يَحْسَبُ عَمْرٌو أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " الأَرْضُ كُلُّهَا مَسْجِدٌ إِلَّا الْحَمَّامَ وَالْمَقْبُرَةَ "

আবূ সাঈদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেবলমাত্র গোসলখানা ও ক্ববরস্থান ছাড়া সমগ্র জমিনই মাসজিদ (তথা সলাতের স্থান হিসেবে গণ্য)।
(আবু দাউদ ৪৯২.তিরমিযী (অধ্যায়ঃ সালাত অনুঃ কবরস্থান ও গোসলখানা ব্যতীত সমগ্র পৃথিবীই সালাত আদায় করার স্থান, হাঃ ৩১৭), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ মাসাজিদ ও জামা‘আত, অনুঃ যেসব স্থানে সালাত আদায় মাকরূহ, হাঃ ৭৪৫), দারিমী (১৩৯৯), আহমাদ (৩/৮৩, ৯৬) ইবনু খুযাইমাহ (৭৯১) 
,
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ جَبِيرَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يُصَلَّى فِي سَبْعَةِ مَوَاطِنَ فِي الْمَزْبَلَةِ وَالْمَجْزَرَةِ وَالْمَقْبُرَةِ وَقَارِعَةِ الطَّرِيقِ وَفِي الْحَمَّامِ وَفِي مَعَاطِنِ الإِبِلِ وَفَوْقَ ظَهْرِ بَيْتِ اللَّهِ " .
ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাতটি জায়গায় নামায আদায় করতে নিষেধ করেছেনঃ ময়লা রাখার স্থানে, কসাইখানায়, কবরস্থানে, পথিমধ্যে, গোসলখানায়, উট (পশু)-শালায় এবং বাইতুল্লাহর (কাবা ঘরের) ছাদে।
(তিরমিজি ৩৪৬, ইবনে মাজাহ (৭৪৬)

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ دَاوُدَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الْحُسَيْنِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " سَبْعُ مَوَاطِنَ لاَ تَجُوزُ فِيهَا الصَّلاَةُ ظَاهِرُ بَيْتِ اللَّهِ وَالْمَقْبَرَةُ وَالْمَزْبَلَةُ وَالْمَجْزَرَةُ وَالْحَمَّامُ وَعَطَنُ الإِبِلِ وَمَحَجَّةُ الطَّرِيقِ " .

উমার উবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সাত জায়গায় সালাত পড়া জায়েয নয়ঃ কাবা ঘরের ছাদে, কবরস্থানে, ময়লা ফেলার স্থানে, কসাই খানায়, গোসলখানায়, উটের খোঁয়াড়ে ও রাস্তার মাঝখানে।

তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: তিরমিযী ৩৪৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফাহ ৩২৩৫, ইরওয়াহ ২৮৭, মিশকাত ৭৩৮।

★তবে মসজিদের দেয়াল থাকা অবস্থায় দেয়ালের বাহিরে কবর থাকলেও উক্ত মসজিদে বা উক্ত জায়গায় নামায পড়তে কোন সমস্যা নেই। 
জায়েজ আছে।
,
قَالَ مُحَمَّدٌ – رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى -: أَكْرَهُ أَنْ تَكُونَ قِبْلَةُ الْمَسْجِدِ إلَى الْمَخْرَجِ وَالْحَمَّامِ وَالْقَبْرِ،……. وَهَذَا كُلُّهُ إذَا لَمْ يَكُنْ بَيْنَ الْمُصَلِّي وَبَيْنَ هَذِهِ الْمَوَاضِعِ حَائِطٌ أَوْ سُتْرَةٌ، أَمَّا إذَا كَانَ لَا يُكْرَهُ وَيَصِيرُ الْحَائِطُ فَاصِلًا، وَإِذَا لَمْ يَكُنْ بَيْنَ الْمُصَلِّي وَبَيْنَ هَذِهِ الْمَوَاضِعِ سُتْرَةٌ فَإِنَّمَا يُكْرَهُ اسْتِقْبَالُ هَذِهِ الْمَوَاضِعِ فِي مَسْجِدِ الْجَمَاعَاتِ، فَأَمَّا فِي مَسْجِدِ الْبُيُوتِ فَلَا يُكْرَهُ، كَذَا فِي الْمُحِيطِ. (الفتاوى الهندية،كتاب الكراهية، الْبَاب الْخَامِس فِي آدَاب الْمَسْجِد وَالْقِبْلَة وَالْمُصْحَف وَمَا كَتَبَ فِيهِ شَيْء مِنْ الْقُرْآن -5/319

যার সারমর্ম হলো যদি নামাজী আর কবরের মাঝে দেওয়াল থাকে,তাহলে নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা নেই। 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মসজিদে যেহেতু কবর আর মসজিদের মাঝে দেওয়াল দেওয়া আছে,তাই সেই মসজিদে নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।    
,
আরো জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...