★মাইয়্যিতকে গোসল দেওয়া কর্পুর ব্যবহার করার কথা হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَنَّ أَيُّوبَ أَخْبَرَهُ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ سِيرِينَ يَقُولُ جَاءَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ امْرَأَةٌ مِنْ الأَنْصَارِ مِنْ اللاَّتِي بَايَعْنَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدِمَتْ الْبَصْرَةَ تُبَادِرُ ابْنًا لَهَا فَلَمْ تُدْرِكْهُ فَحَدَّثَتْنَا قَالَتْ دَخَلَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نَغْسِلُ ابْنَتَهُ فَقَالَ اغْسِلْنَهَا ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ إِنْ رَأَيْتُنَّ ذَلِكَ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ وَاجْعَلْنَ فِي الآخِرَةِ كَافُورًا فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي قَالَتْ فَلَمَّا فَرَغْنَا أَلْقَى إِلَيْنَا حِقْوَهُ فَقَالَ أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ وَلَمْ يَزِدْ عَلَى ذَلِكَ وَلاَ أَدْرِي أَيُّ بَنَاتِهِ وَزَعَمَ أَنَّ الإِشْعَارَ الْفُفْنَهَا فِيهِ وَكَذَلِكَ كَانَ ابْنُ سِيرِينَ يَأْمُرُ بِالْمَرْأَةِ أَنْ تُشْعَرَ وَلاَ تُؤْزَرَ
আইয়ূব (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু সীরীন (রহ.)-কে বলতে শুনেছি যে, আনসারী মহিলা উম্মু আতিয়্যাহ্ (রাযি.) আগমন করলেন, যিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট বাই‘আতকারীদের একজন। তিনি তাঁর এক ছেলেকে দেখার জন্য সাথে বাসরায় এসেছিলেন, কিন্তু তিনি তাকে পাননি। তখন তিনি আমাদের হাদীস শুনালেন। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট আসলেন, তখন আমরা তাঁর কন্যাকে গোসল দিচ্ছিলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা তাঁকে তিনবার, পাঁচবার অথবা প্রয়োজনে তার চেয়ে অধিকবার বরই পাতাসহ পানি দিয়ে গোসল দাও। আর শেষবারে কর্পুর দাও। তোমরা শেষ করে আমাকে জানাবে। তিনি বলেন, আমরা যখন শেষ করলাম, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চাদর আমাদের দিকে নিক্ষেপ করে বললেনঃ এটা তাঁর শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে দাও। উম্মু আতিয়্যাহ্ (রাযি.)-এর অধিক বর্ণনা করেননি। [আইয়ূব (রহ.) বলেন] আমি জানি না, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কোন কন্যা ছিলেন? তিনি বলেন, أشعار অর্থ শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে দাও। ইবনু সীরীন (রহ.) মহিলা সম্পর্কে এভাবেই আদেশ করতেন যে, ভিতরের কাপড় শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে দিবে, ইজারের মত ব্যবহার করবে না। (বুখারী শরীফ ১২৬১.১৬৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৮৭)
★পুরুষদের কাফনের কাপড় তিনটি।
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كُفِّنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي ثَلاَثَةِ أَثْوَابِ سُحُولٍ كُرْسُفٍ لَيْسَ فِيهَا قَمِيصٌ وَلاَ عِمَامَةٌ
‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তিনখানা সুতী সাদা সাহুলী (ইয়ামানী) কাপড়ে কাফন দেয়া হয়েছিল, তার মধ্যে কামীস এবং পাগড়ী ছিল না। (বুখারী ১২৭১.১২৬৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৯৭)
★দামি কাপড়ে কাফন দেওয়া থেকে অনুৎসাহিত করা হয়েছে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ هَاشِمٍ أَبُو مَالِكٍ الْجَنْبِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ: لَا تُغَالِ لِي فِي كَفَنٍ، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: لَا تَغَالَوْا فِي الْكَفَنِ، فَإِنَّهُ يُسْلَبُهُ سَلْبًا سَرِيعًا
আলী ইবনু তালিব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা বেশি দামী কাফন ব্যবহার করবে না। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা কাফনের জন্য বেশি দামী কাপড় ব্যবহার করো না। কেননা তা শিঘ্রই নষ্ট হয়ে যাবে।
(আবু দাউদ ২৭৬৫)
بَابٌ فِي كَفَنِ الْمَرْأَةِ
মহিলাদের কাফন সম্পর্কে
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي نُوحُ بْنُ حَكِيمٍ الثَّقَفِيُّ - وَكَانَ قَارِئًا لِلْقُرْآنِ - عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي عُرْوَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، يُقَالُ لَهُ: دَاوُدُ، قَدْ وَلَّدَتْهُ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ زَوْجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّ لَيْلَى بِنْتَ قَانِفٍ الثَّقَفِيَّةَ، قَالَتْ: كُنْتُ فِيمَنْ غَسَّلَ أُمَّ كُلْثُومٍ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ وَفَاتِهَا، فَكَانَ أَوَّلُ مَا أَعْطَانَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحِقَاءَ، ثُمَّ الدِّرْعَ، ثُمَّ الْخِمَارَ، ثُمَّ الْمِلْحَفَةَ، ثُمَّ أُدْرِجَتْ بَعْدُ فِي الثَّوْبِ الْآخَرِ، قَالَتْ: وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ عِنْدَ الْبَابِ مَعَهُ كَفَنُهَا يُنَاوِلُنَاهَا ثَوْبًا ثَوْبًا
গাক্বীফ গোত্রের কাফিনের কন্যা লায়লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা উম্মু কুলসুম (রাঃ) মারা গেলে যে মহিলা তাকে গোসল দেয় তার সাথে ‘আমিও ছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে (কাফনের জন্য) প্রথমে তহবন্দ, তারপর কামীস, তারপর ওড়না, তারপর চাদর এবং অন্য একটি কাপড় দিলেন। যা দিয়ে লাশ পেচিয়ে দেয়া হলো। লায়লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাফনের কাপড়সহ দরজার পাশেই বসা ছিলেন। তিনি সেখান থেকে একটি একটি করে কাপড়গুলো আমাদেরকে প্রদান করেন।
(আবু দাউদ ২৭৬৫)
মহিলার কাফন পড়ানোর সুন্নাহ পদ্ধতি-
প্রথমে চাদর বিছাতে হবে। তারপর সিনা বরাবর সিনাবন্দ (খিরকাহ) বিছাতে হবে তারপর ইজার বিছাতে হবে।
তার পর জামা পরিয়ে মৃতের চুল দু’ভাগ করে বা বেনি করে ডানে ও বাঁমে জামার উপর অর্থাৎ বক্ষের উপর রেখে দিবে।
মাথাবন্ধ দিয়ে মাথা পেচিয়ে মুখের উপর রাখবেট. তারপর মৃত ব্যক্তিকে ইজারের উপর শোয়াতে হবে।
ইজার এমনভাবে জড়াতে হবে যেন, ডান পাশ বাম পাশের উপর পড়ে। অনুরূপভাবে সিনাবন্ধ এবং সর্বশেষ চাদর জড়াতে হবে।
,
مراقی الفلاح :
"كفن الرجل سنة" ثلاثة أثواب "قميص من أصل العنق إلى القدمين بلا دخريص وكمين "وإزار" من القرن إلى القدم "و" الثالث "لفافة" تزيد على ما فوق القرن والقدم ليلف بها الميت وتربط من أعلاه وأسفله ... وتزاد المرأة" على ما ذكرناه للرجل "في" كفنها على جهة "السنة خمارا لوجهها" ورأسها "وخرقة" عرضها ما بين الثدي إلى السرة وقيل إلى الركبة كيلاينتشر الكفن بالفخذ وقت المشي بها "لربط ثدييها" فسنة كفنها درع وإزار وخمار وخرقة ولفافة..." الخ ( حاشية الطحطاوي علي المراقي، باب أحكام الجنائز، ص: ٥٧٥ - ٥٧٨)
সারমর্মঃ মহিলাদের কাফনে মোট ৫ টি কাপড় লাগবে।
চাদর,খিরকাহ,ইযার,জামা,মাথা বন্দ।
*কবরের জায়গা যদি আপনাদের কবরস্থানে ক্রয় করতে হয়,তাহলে তাদের থেকে জেনে সেই জায়গার মূল্য যুক্ত করে নিতে হবে।