ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইশরাকের নামায হল সেই নামায যা সূর্যোদয়ের পর পড়া হয়ে থাকে।
ইশরাকের নামাযই কি দোহার নামায?এ সম্পর্কে মতবেদ রয়েছে।কেউ কেউ উভয়টিকে একই নামায হিসেবে গণ্য করে থাকেন।আবার কেউ কেউ উভয়টিকে পৃথক পৃথক নামায হিসেবে গণ্য করে থাকেন।(বিস্তারিত জানুন,আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৭/২২১) ইশরাক এবং দোহার নামাযের রাকাত সংখ্যা ও সময় সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-১৯২৯
হযরত আনাস রাযি,থেকে বর্ণিত
(مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ ، كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ ، وَعُمْرَةٍ ، تَامَّةٍ ، تَامَّةٍ ، تَامَّةٍ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজরের নামায পড়বে,অতঃপর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত থাকবে,তারপর দু'রাকাত নামায পড়বে,তাহলে সে একটি হজ্ব ও একটি উমরার সওয়াব পাবে।এরপর তিনি তাকিদ করে বলেন,হ্যা পূর্ণ হজ্ব ও উমরার সওয়াব সে পাবে।(সুনানু তিরমিযি-৫৮৬)
এই হাদীস সম্পর্কে মতবেদ রয়েছে।কেউ কেউ দুর্বল বলেছেন।আবার কেউ কেউ হাসান বলেছেন।
আলবানি রাহ এ হাদীসকে হাসান বলেছেন।
( أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا صَلَّى الْفَجْرَ جَلَسَ فِي مُصَلَّاهُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ حَسَنًا )
রাসূলুল্লাহ সাঃ ফযরের নামাযের পর পপরিপূর্ণ সূর্যোদয়ের পর্যন্ত মুসল্লায় বসে থাকতেন।(সহীহ মুসলিম-৬৭০)উক্ত হাদীসে নামায পড়ার কথা বর্ণিত হয়নি।
হাদীসের ভাষ্যমতে উক্ত ফযিলত ঐ ব্যক্তির সাথেই খাস মনে হচ্ছে, যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাতের সাথে পরে মসজিদে বসে থেকে সূর্যোদয়ের পর ইশরাকের নামায পড়বে।
তবে যদি কোথাও ফরয নামায পরবর্তী মসজিদের দরজা বন্ধ হয়ে যায়,বা যদি কেউ ফরয নামায পরবর্তী নামায মসজিদে বসার সুযোগ না পায়,তাহলে এমতাবস্থায় সে যদি বাড়িতেই ই নামায পড়ে নেয়।তাহলে আশা রাখা যায় যে, কে ব্যক্তি হাদীসে বর্ণিত সওয়া পাবে।তবে নিয়মিত এমনটা করা যাবে না, আর করলে সে সওয়াব পাবে না ।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফজর ও ইশরাকের সালাতের মধ্যবর্তী সময়ে জায়নামাযে বসে যিকিরের আ’মলই করতে হবে। এটাই সওয়াব পাওয়ার জন্য জরুরী।
( ফজরের সালাত যে স্থানে আদায় করা হবে সে স্থান পরিবর্তন না করাই উত্তম। তবে মসজিদের ভিতর হলে স্থান পরিবর্তন করা যাবে।
এটা জামাতের সাথে নির্দিষ্ট। জামাত চায় মসজিদে হোক বা বাড়িতে হোক।