আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম।

একজন কাছের আত্মীয়ের সাথে মনোমালিন্য হবার পর, তার সাথে কথা বললেও সে কথা বলতে চায় না এবং এড়িয়ে যায়, কথা বলতে গেলেই খারাপ ব্যবহার করে। মিটমাট করতে চায়না। এমনকি তার বাসায় গেলে দরজায় তালা লাগিয়ে রাখবে বলেছে। এতে করে আমিও তার সাথে আর কথা বলার চেষ্টা করিনা। যেহেতু আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে যাবেনা। এক্ষেত্রে কি আমি গুণাহগার হবো? আমার কি করণীয় এ ব্যাপারে??

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

জবাব
https://www.ifatwa.info/1577 নং ফাতাওয়ায় আমরা লিখেছি যে,

আত্মীয়তার সম্পর্ক দুই প্রকারঃ-
الرَّحِمُ نَوْعَانِ:
رَحِمٌ مَحْرَمٌ، وَرَحِمُ غَيْرُ مَحْرَمٍ.
وَضَابِطُ الرَّحِمِ الْمَحْرَمِ: كُل شَخْصَيْنِ بَيْنَهُمَا قَرَابَةُ لَوْ فُرِضَ أَحَدُهُمَا ذَكَرًا وَالآْخَرُ أُنْثَى لَمْ يَحِل لَهُمَا أَنْ يَتَنَاكَحَا
(ক)এমন আত্মীয় যাদেরকে বিয়ে করা হারাম।(খ)এমন আত্মীয় যাদেরকে বিয়ে করা হারাম নয়।
ভিন্ন লিঙ্গের মধ্য পরিচয় লাভ করা তো সহজ।যেমন আমরা সাধারণত পরিচয় লাভ করে থাকি।
তবে সমলিঙ্গ দু'জনের মধ্যে মাহরাম আত্মীয়ের 
পরিচয় লাভের পদ্ধতি কি?এ সম্পর্কে বলা যায় যে,
আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে, এমন দু'জন পরুষ বা মহিলার মধ্য থেকে কোনো একজনকে পুরুষ এবং অন্যজনকে মহিলা নির্ধারণ করলে যদি তাদের মধ্যকার পরস্পর বিয়ে শাদী হারাম বলে পরিগণিত হয়, তাহলে বুঝতে হবে যে,এদের মধ্যকার সম্পর্ক হলো,আত্মীয় মাহরাম।যেমন, ফুফু-বাইজ্বি,চাচা-ভাতিজ্বা,ইত্যাদি।তাদের মধ্যে একজনকে পুরুষ নির্ধারণ করলে পরস্পর পরস্পরে বিয়ে শাদি হারাম বলে গরিগণিত হবে।(৩/৮২)

কুরআন-হাদীসে বর্ণিত সিলাহ-রেহমি তথা উত্তম ব্যবহারের আশা কার কাছ থেকে করা হবে।অন্যকথায় বললে বলা যায় যে, কার কাছ থেকে সিলাহ রেহমি তথা আত্মীয়তার সম্পর্কের উঞ্চতাকে অনুভূত করা হবে?

এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরাম থেকে দু'টি বর্ণনা পাওয়া যায়।যথাঃ- 
لِلْعُلَمَاءِ فِي الرَّحِمِ الَّتِي يُطْلَبُ وَصْلُهَا رَأْيَانِ
الأَْوَّل: أَنَّ الصِّلَةَ خَاصَّةٌ بِالرَّحِمِ الْمَحْرَمِ دُونَ غَيْرِهِ، وَهُوَ قَوْلٌ لِلْحَنَفِيَّةِ، وَغَيْرُ الْمَشْهُورِ عِنْدَ الْمَالِكِيَّةِ، وَهُوَ قَوْل أَبِي الْخَطَّابِ مِنَ الْحَنَابِلَةِ (١) ،. قَالُوا: لأَِنَّهَا لَوْ وَجَبَتْ لِجَمِيعِ الأَْقَارِبِ لَوَجَبَ صِلَةُ جَمِيعِ بَنِي آدَمَ، وَذَلِكَ مُتَعَذِّرٌ، فَلَمْ يَكُنْ بُدٌّ مِنْ ضَبْطِ ذَلِكَ بِقَرَابَةٍ تَجِبُ صِلَتُهَا وَإِكْرَامُهَا وَيَحْرُمُ قَطْعُهَا، وَتِلْكَ قَرَابَةُ الرَّحِمِ الْمَحْرَمِ.
وَقَدْ قَال رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لاَ تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ عَلَى عَمَّتِهَا وَلاَ عَلَى خَالَتِهَا وَلاَ عَلَى بِنْتِ أَخِيهَا وَأُخْتِهَا، فَإِنَّكُمْ إِذَا فَعَلْتُمْ ذَلِكَ قَطَعْتُمْ أَرْحَامَكُمْ. (٢)
(ক)কুরআন হাদীসে বর্ণিত সিলাহ রেহমি দ্বারা মাহরাম আত্মীয় উদ্দেশ্য।অন্য কেউ উদ্দেশ্য নয়।এটা হানাফি মাযহাবের একটি সিদ্ধান্ত।মালিকি মাযহাব থেকে অপ্রসিদ্ধ একটি উক্তি।এবং আবুল খাত্তাব হাম্বলী রাহ থেকেও এমন একটি অভিমত পাওয়া যায়। তাদের বক্তব্যর সারমর্ম হলো,যদি মাহরাম আত্মীয় ছাড়া অন্যদের ব্যাপারেও সিলাহ রেহমি সিদ্ধান্ত দেয়া হয়,তাহলে সমস্ত মানবজাতি এর মধ্যে ঢুকে যাবে।আর এটা অসম্ভব একটা বিষয়।সুতরাং সীমিত পরিসরে এমন একটা আত্মীয়তার সম্পর্ককে উল্লেখ করা যেতে পারে,যে সম্পর্ক-কে অটুট রাখা, এবং বিচ্ছিন্ন না করার নির্দেশ প্রদাণ করা হবে।আর এটাকে মাহরাম আত্মীয় হিসেবেই নির্ধারণ করা হবে।রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,মহিলাকে তার ফুফুর সাথে একত্র করে বিয়ে করা যাবে না।এবং তার খালার সাথেও বিয়ে করা যাবে না।এবং তার ভাই বা বোনের মেয়ের সাথেও বিয়ে করা যাবে না।যদি তোমরা এমনটা করো তাহলে তোমরা আত্মীয়তার সম্পর্ককে বিচ্ছিন্ন কারী হিসেবে গণ্য হবে।


সু্প্রিয় প্রশ্সকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যেহেতু যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন,তাই অাত্মীয়তার সম্পর্ক বিনষ্ট করার গোনাহ আপনার উপর আপতিত হবে না।





(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...