(০১)
যদি সে পুনরায় কালেমায়ে শাহাদত পড়ে ইসলাম গ্রহন করে,তাহলে সেটির দ্বারা সে মুসলমান হয়ে যাবে।
,
তার ঈমান আনয়নের কথা তাদেরকে না বললেও ঈমান আনয়ন হবে।
,
আরো জানুনঃ
(০২)
কখন ব্যক্তির ‘রিদ্দা তথা মুরতাদ’ সাব্যস্ত হয়?
যে বিষয়গুলোতে লিপ্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কোন ব্যক্তির ‘রিদ্দা’ সাব্যস্ত হয়-তা চার প্রকার।
১. বিশ্বাসগতভাবে ইসলাম ত্যাগ করা। যেমন- আল্লাহর সাথে শিরক তথা অংশীদার স্থাপন করা, অথবা আল্লাহকে অস্বীকার করা অথবা আল্লাহ তাআলার সাব্যস্ত কোন গুণকে অস্বীকার করা।
২. কোন কথা উচ্চারণ করার মাধ্যমে ইসলাম ত্যাগ। যেমন- আল্লাহ তাআলাকে গালি দেয়া অথবা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গালি দেয়া।
৩. কর্মের মাধ্যমে ধর্মত্যাগ। যেমন-কোন নোংরা স্থানে কুরআন শরিফ নিক্ষেপ করা। এ কাজ আল্লাহর বাণীকে অবমূল্যায়নের নামান্তর। তাই এটি অন্তরে বিশ্বাস না থাকার আলামত। অনুরূপভাবে কোন প্রতিমাকে অথবা সূর্যকে অথবা চন্দ্রকে সিজদা করা।
৪. কোন কর্ম বর্জন করার মাধ্যমে ইসলাম ত্যাগ। যেমন- ইসলামের সকল অনুশাসনকে বর্জন করা এবং এর উপর আমল করা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুখ ফিরিয়ে নেয়া।
,
আরো জানুনঃ
(০৩)
তিরমিজি শরীফের ২৬৪১ নং হাদীসে এসেছেঃ
باب مَا جَاءَ فِي افْتِرَاقِ هَذِهِ الأُمَّةِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ الإِفْرِيقِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيَأْتِيَنَّ عَلَى أُمَّتِي مَا أَتَى عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ حَذْوَ النَّعْلِ بِالنَّعْلِ حَتَّى إِنْ كَانَ مِنْهُمْ مَنْ أَتَى أُمَّهُ عَلاَنِيَةً لَكَانَ فِي أُمَّتِي مَنْ يَصْنَعُ ذَلِكَ وَإِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ تَفَرَّقَتْ عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ مِلَّةً كُلُّهُمْ فِي النَّارِ إِلاَّ مِلَّةً وَاحِدَةً قَالُوا وَمَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ مُفَسَّرٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِثْلَ هَذَا إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
পরিচ্ছেদঃ ১৮. এই উন্মাতের অনৈক্য
২৬৪১। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বনী ইসরাঈল যে অবস্থায় পতিত হয়েছিল, নিঃসন্দেহে আমার উম্মাতও সেই অবস্থার সম্মুখীন হবে, যেমন একজোড়া জুতার একটি আরেকটির মতো হয়ে থাকে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউ যদি প্রকাশ্যে তার মায়ের সাথে ব্যভিচার করে থাকে, তবে আমার উন্মাতের মধ্যেও কেউ তাই করবে। আর বনী ইসরাঈল ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিল। আমার উন্মাত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। শুধু একটি দল ছাড়া তাদের সবাই জাহান্নামী হবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সে দল কোনটি? তিনি বললেনঃ আমি ও আমার সাহাবীগণ যার উপর প্রতিষ্ঠিত।
হাসানঃ মিশকাত, তাহকীক সানী (১৭১), সহীহাহ (১৩৪৮)।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব ও সব্যাখ্যায়িত (মুফাসসার)।
(হাদীসের মান হাসান।)
উলামায়ে কেরাম কুরআন হাদীসের আলোকে সেই নাজাতপ্রাপ্ত দলকে তালাশ করতে কয়েকটি আলামত নির্ধারণ করলেন।মূলত এই আ'লামত গুলোকেই আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আ'লামত বলা হয়।
আরো জানুনঃ
,
সুতরাং উক্ত হাদীসের আলোকে ইসলামী স্কলারগন বলেছেন যে একমাত্র আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদার বিশ্বাসীরা সেই নাজাত প্রাপ্ত দল হবে।
তারা আল্লাহর রহমতে জাহান্নে যাবেনা।
,
বাকী দল গুলো জাহান্নামে যাবে।
,
সহীহ আকীদা পোষনের পর চাই সে হানাফী মাযহাবের হোক বা অন্য কোনো মাযহাবের হোক,জান্নাতে যাওয়া না যাওয়া শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছার অধীনে।
দুনিয়াতে থেকে কোনো আলেমের পক্ষে এটার সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব নয়।