আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
239 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। কারো কারো কাছে নীল/অন্য কালার লেন্স্বয়ালা চোখ ভালো লাগে। দেখতেও ভালো লাগে। কেউ চায় তার স্বামী/ স্ত্রী তেমন লেন্স পরবে যাতে তার কাছে তার স্বামী/স্ত্রীকে ভালো লাগে। জানিনা এতে চোখের ক্ষতি হবে কিনা। আমার প্রশ্ন হলো-
কেউ স্বামী যদি চায় তার স্ত্রী নীল/ অন্য কালারের লেন্স পরবে যাতে করে ঐ স্বামীর কাছে তা ভালো লাগে কিংবা কোনো স্ত্রী যদি চায় তার স্বামী তেমন লেন্স পরবে যাতে তার কাছে তার স্বামীকে ভালো লাগবে। তাহলে কি এমন করা যাবে? এখানেতো আল্লাহর সৃষ্টির পরিবর্তন করা হচ্ছেনা। পরিবর্ধন করা হচ্ছে।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


নারীর জন্য কী ধরণের সাজসজ্জা বৈধ হবে-  ইসলাম এক্ষেত্রে কিছু মুলনীতি আরোপ করেছে। মূলনীতিগুলো হচ্ছে এই–

১- কোনো সাজসজ্জা হারাম হওয়ার ব্যাপারে যতক্ষণ পর্যন্ত দলিল পাওয়া যাবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তা বৈধ। আর হারাম হওয়ার দলিল পাওয়া গেলে তা অবৈধ। কেননা, বস্তুর মূল হচ্ছে, বৈধতা। আল্লাহ তাআলা বলেন,

قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللّهِ الَّتِيَ أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالْطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ

আপনি বলুন, আল্লাহর সাজসজ্জাকে, যা তিনি বান্দাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্রবস্তুসমূহকে কে হারাম করেছে? (সূরা আ’রাফ ৩২)

২- সাজসজ্জা করতে গিয়ে নারী পুরুষের বেশ ধারণ করতে পারবে না। যেমন- চুল এত ছোট করে ছাঁটা যার কারণে দূর থেকে দেখে পুরুষ মনে হয়। কেননা, ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ المُتَشَبِّهِينَ مِنَ الرِّجَالِ بِالنِّسَاءِ، وَالمُتَشَبِّهَاتِ مِنَ النِّسَاءِ بِالرِّجَالِ

 রাসূলুল্লাহ ﷺ নারীর বেশ ধারণকারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী মহিলাদেরকে অভিশাপ করেছেন। (বুখারী ৫৮৮৫)

৩- সাজসজ্জার ক্ষেত্রে অমুসলিম কিংবা প্রকাশ্য পাপাচারে লিপ্ত নারীদের অনুকরণ করা যাবে না। এ মর্মে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ

যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে। (আবু দাউদ ৪০৩১)

৪- সাজসজ্জার ক্ষেত্রে ক্ষতিকর বস্তু বা প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, لا ضرر ولا ضرار ক্ষতি ও ক্ষতি সাধনের কোন অনুমতি নেই। (সুনানে দারাকুতনী ৩০৭৯)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
মহিলাদের চোখে নিল বা অন্য কালারের লেন্স পড়ার বিধান সংক্রান্ত উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। 
  
কেহ কেহ বলেছেন যে যাদের চোখে পাওয়ার এর সমস্যা আছে তারা কন্টাক্ট লেন্স ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন। 
এতে কোনো সমস্যা নেই। 
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় কন্টাক্ট লেন্স ব্যাবহার প্রয়োজন।
,
তবে সুস্থ মানুষের জন্য  এটি জায়েজ নেই।
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলার গন বলেছেন যে,   
স্বামীর জন্য চোখে রঙিন লেন্স পরা জায়েয।
কিন্তু পাত্রপক্ষকে দেখানো, নন-মাহরামের মাঝে নিষেধ।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মাসয়ালায় ইসলামী স্কলারদের মতবিরোধ থাকার কারনে  সতর্কতামূলক চোখে লেন্স না পড়াই উচিত।

বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...