ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(1)
আল্লাহ তা’আলার বানী
سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى
আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামের পবিত্রতা বর্ণনা করুন
ي خَلَقَ فَسَوَّى
যিনি সৃষ্টি করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন।
وَالَّذِي قَدَّرَ فَهَدَى
এবং যিনি সুপরিমিত করেছেন ও পথ প্রদর্শন করেছেন
وَالَّذِي أَخْرَجَ الْمَرْعَى
এবং যিনি তৃণাদি উৎপন্ন করেছেন,
فَجَعَلَهُ غُثَاء أَحْوَى
অতঃপর করেছেন তাকে কাল আবর্জনা। ( সূরা আ’লা-১-৫)
সূরা ফাতেহার পর বড় এক আয়াত কিংবা ছোট তিন আয়াত পড়ে নিলেই সূরা মিলানোর ওয়াজিব আদায় হয়ে যায়। সে হিসেবে ফরজ নামাজে সুরা ফাতিহা পড়ার পর ৮৭ নং সূরা আ'লা এর ১ থেকে ৫ আয়াত পড়ে নিলেই নামাজ বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।
(২)
«وَأَسَاسُ الْمَسْأَلَةِ عِنْدَ الْحَنَفِيَّةِ: أَنَّ الإِْنْسَانَ إِذَا أَنْبَأَ غَيْرَهُ بِأَنَّهُ سَيَفْعَل أَمْرًا فِي الْمُسْتَقْبَل مَرْغُوبًا لَهُ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ الأَْمْرُ غَيْرَ وَاجِبٍ عَلَيْهِ، فَإِنَّهُ لَا يَلْزَمُهُ بِمُجَرَّدِ الْوَعْدِ؛ لأَِنَّ الْوَعْدَ لَا يُغَيِّرُ الأُْمُورَ الاِخْتِيَارِيَّةَ إِلَى الْوُجُوبِ وَاللُّزُومِ.» - «الموسوعة الفقهية الكويتية» (44/ 76)
হানাফি ফিকহ অনুযায়ী ওয়াদাকে পূর্ণ করার বিষয়ে মূলনীতি হল, কোনো মানুষ যখন অন্যকে সংবাদ দেয় যে, সে ভবিষ্যতে ঐ কাজটি করবে, যদি ঐ কাজটি তার উপর মূলত ওয়াজিব না হয়ে থাকে, তাহলে ঐ তার উপর ওয়াদাকে পূর্ণ করা অত্যাবশ্যকীয় হবে না। কেননা ওয়াদা ইচ্ছা স্বাধীন বিষয়কে পরিবর্তন করে অত্যবশ্যকীয়র দিকে নিয়ে যায় না। ( আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৪৪/৭৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কাউকে কোন কথা দেয়ার পরে পরবর্তীতে কোন কারণে সে কথা না রাখার মানসিকতা তৈরি হলে কথাকে ফিরিয়ে নেয়া যাবে। তবে পূর্ব থেকে ওযাজিব কোনো বিষয়ের ওয়াদা করে থাকলে, সেই বিষয়ের ওয়াদাকে ফিরিয়ে নেয়া যাবে না।