আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
409 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (47 points)
edited by
১.'আল্লাহ ইসলামকে শুধু ধর্ম নয় জীবনব্যবস্থা হিসেবে সৃস্টি করছেন' কথাটা এভাবে কি বলা যাবে?যদিও আমি বিশ্বাস করি ইসলাম পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা।

২.মুখ ঢাকলে যদি কপাল আর ভ্রু এর কিছু অংশ দেখ যায় তাহলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে সৃষ্টি করে তাদের জন্য ইসলামকেই একমাত্র দ্বীন হিসাবে মনোনীত করেছেন। তিনি বলেন,
إِنَّ الدِّيْنَ عِنْدَ اللهِ الْإِسْلاَمُ 

 ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকটে একমাত্র মনোনীত দ্বীন হ’ল ইসলাম’ (আলে ইমরান ৩/১৯)। 

আর ইসলামের যাবতীয় বিধি-বিধান অহী মারফত মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর নাযিল করেছেন। সুতরাং অহি-র বিধানই একমাত্র চূড়ান্ত জীবন বিধান এবং তার মধ্যেই নিহিত রয়েছে সকল সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান। আর এই অহি-র মাধ্যমে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর জীবদ্দশাতেই দ্বীন-ইসলাম পূর্ণতা লাভ করেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মৃত্যুর তিন মাস পূর্বে ১০ম হিজরীর ৯ই যিলহজ্জে আরাফাতের ময়দানে ছাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে যখন তিনি বিদায় হজ্জ পালন করেছিলেন তখন আল্লাহ তা‘আলা এই আয়াতটি অবতীর্ণ করেন,
 اَلْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الْإِسْلاَمَ دِيْنًا-
 ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার নে‘মত সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম’ (মায়েদা ৫/৩)।


অত্র আয়াত প্রমাণ করে যে, রাসূলুলল্লাহ (ছাঃ)-এর জীবদ্দশাতেই অহি-র বিধানের মাধ্যমে দ্বীন-ইসলাম পূর্ণতা লাভ করেছে, যাতে মানুষের সার্বিক জীবনের সকল দিক ও বিভাগ পূর্ণাঙ্গরূপে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
 مَا فَرَّطْنَا فِيْ الْكِتَابِ مِنْ شَيْءٍ 
‘আমি এই কিতাবে (কুরআনে) কোন বিষয়ই লিপিবদ্ধ করতে ছাড়িনি’ (আন‘আম ৬/৩৮)।

তিনি অন্যত্র বলেন,
وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ تِبْيَانًا لِكُلِّ شَيْءٍ 

 ‘আর আমরা তোমার উপরে প্রত্যেক বিষয়ের স্পষ্ট ব্যাখ্যা স্বরূপ কিতাব (কুরআন) নাযিল করেছি’ (নাহল ১৬/৮৯)। 

অত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন,لَوْ ضَاعَ لِيْ عِقَالُ بَعِيْرٍ لَوَجَدْتُهُ فِيْ كِتَابِ اللهِ ‘আমার উট বাঁধার একটি দড়িও যদি হারিয়ে যায়, তাহ’লে আমি তা আল্লাহর কিতাবের মধ্যে খুঁজে পাব’।

অতএব বুঝা গেল, মহান আল্লাহ কুরআনকে আমাদের নিকট পূর্ণাঙ্গ  জীবন  বিধান  হিসাবে প্রেরণ করেছেন এবং তাকে বাস্তবে রূপদান করার জন্য মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে নবী ও রাসূল করে পাঠিয়েছেন। আর তিনিও আল্লাহ তা‘আলার বিধানের যথাযথ বাস্তবায়ন করেছেন। এক্ষেত্রে সামান্যতম ত্রুটি করেননি। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

مَا تَرَكْتُ شَيْئًا مِمَّا أَمَرَكُمُ اللهُ بِهِ إِلاَّ وَقَدْ أَمَرْتُكُمْ بِهِ وَلاَ تَرَكْتُ شَيْئًا مِمَّا نَهَاكُمُ اللهُ عَنْهُ إِلاَّ وَقَدْ نَهَيْتُكُمْ عَنْهُ- 

‘আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন এমন কোন জিনিসই আমি (বর্ণনা করতে) ছাড়িনি। আর আমি তার হুকুম তোমাদেরকে অবশ্যই দিয়েছি। আর আমি এমন কোন জিনিসই ছাড়িনি যা আল্লাহ তা‘আলা নিষেধ করেছেন। কিন্তু আমি তোমাদেরকে তা অবশ্যই নিষেধ করেছি’।
সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৮০৩; আস-সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী হা/১৩৮২৫, ইমাম শাফেঈ, কিতাবুর রিসালাহ, পৃঃ ১৫।
.
★★জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্মের বিধান মোতাবেক চালাইতে হবে,তাই মুমিনের পূর্ণাঙ্গ জীবনই ধর্ম অনুযায়ী হবে।
তাই তো ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। 
,
প্রশ্নে উল্লেখিত  বাক্য দ্বারা বুঝা যায় যে ধর্ম আর পূর্ণাঙ্গ জীবন আলাদা,আসলে বিষয়টি এমন নয়।
বরং পূর্ণাঙ্গ জীবনই হলো ধর্ম।
,
তাই উল্লেখিত বাক্য ছহীহ নয়।
,
(০২)
পর্দার দ্বিতীয় স্থরে বলা হয়েছেঃ প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে,এক্ষেত্রে এক বা উভয়  চক্ষু খোলা রেখে সমস্ত শরীর ঢেকে রাখতে হবে।
,
সুতরাং কপাল ভ্রু পূর্ণাঙ্গ ঢাকতে হবে,  
,
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (47 points)
জাযাকাল্লাহু খাইরান।তাহলে আল্লাহ দ্বীন ইসলামকে সৃষ্টি করেছেন এইভাবে বলাটা কি সঠিক হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...