আপনার বিস্তারিত উত্তর পেতে কিছুটা সময় লাগবে।
সংক্ষেপে বলছি...
(১)
যে যুবক আলহামদুলিল্লাহ পাচ ওয়াক্ত সালাত পড়ে কিন্তু কিছু কাবিরা গুনা করে ফেলে বা হারাম রিলেশন করে, সে তাওবাহ করলে সে ও আরশের ছায়ার নিচে জায়গা পাবে।
(২)
বিয়েতে দু'জন পুরুষ সাক্ষী অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষী থাকতে হবে,নতুবা বিয়েই হবে না।পুরুষ ব্যতীত শুধামাত্র মহিলাদের সাক্ষ্য দ্বারা বিয়ে সংগঠিত হবে না।হিজড়া সাক্ষী হিসেবে থাকতে পারবে।তবে তারা মহিলাদের মত দু'জন একজন পুরুষের সমকক্ষ হবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
لما في الفتاوى الهندية -ج:١،ص:٢٦٧(نسخة شاملة)
كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ وَيُشْتَرَطُ الْعَدَدُ فَلَا يَنْعَقِدُ النِّكَاحُ بِشَاهِدٍ وَاحِدٍ هَكَذَا فِي الْبَدَائِعِ وَلَا يُشْتَرَطُ وَصْفُ الذُّكُورَةِ حَتَّى يَنْعَقِدُ بِحُضُورِ رَجُلٍ وَامْرَأَتَيْنِ، كَذَا فِي الْهِدَايَةِ وَلَا يَنْعَقِدُ بِشَهَادَةِ الْمَرْأَتَيْنِ بِغَيْرِ رَجُلٍ وَكَذَا الْخُنْثَيَيْنِ إذَا لَمْ يَكُنْ مَعَهُمَا رَجُلٌ هَكَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ.
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য বর-কনের ইজাব এবং কবুলকে সাক্ষীদের জন্য শ্রবণ করাই যথেষ্ট।পরবর্তীতে সাক্ষ্য প্রদাণের কোনো প্রয়োজন নেই।
যেমন, পিতামাতার পক্ষে সন্তানদের সাক্ষ্য শরয়ী কোর্টে গ্রহণযোগ্য নয়।কিন্তু তারা আবার নিজ পিতা মাতার বিয়ের সাক্ষী হতে পারে।যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে-
وينعقد بحضور من لا تقبل شهادته له أصلا كما إذا تزوج امرأة بشهادة ابنيه منها وكذا إذا تزوج بشهادة ابنيه لا منها أو ابنيها لا منه هكذا في البدائع
এমন কারো উপস্থিতিতেও বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে, যাদের সাক্ষ্য উক্ত বর বা কনের ব্যাপারে শরিয়ত গ্রহণ করে না।যেমন,কেউ কোনো মহিলাকে তালাক দেয়ার পর তাদেরই নিজ সন্তানদের সামনে দ্বিতয়বার বিয়ে করে নিল,বা বর তার সন্তানদের সামনে বা কনে তার সন্তানদের সামনে বিয়ে করে নিল,তাহলে ঐ সব বিয়ে বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৭)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় আরো বর্ণিত রয়েছে,
وهل يشترط فهم الشاهدين العقد ذكر في الفتاوى أن المعتبر السماع دون الفهم حتى لو تزوج بشهادة الأعجميين جاز قال الظهير: والظاهر أنه يشترط الفهم أيضا، كذا في السراج الوهاج وهو الصحيح، كذا في الجوهرة النيرة
বিবাহ অনুষ্টানের আলাপ-আলোচনাকে বুঝা শর্ত নাকি শুধুমাত্র শ্রবণই যথেষ্ট?
এ সম্পর্কে ফাতাওয়ার কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,শ্রবণই শর্ত, বুঝা শর্ত নয়।এমনকি কেউ যদি কোন ভিন্নভাষী দু'জন সাক্ষীর সামনে বিয়ে করে নেয়,তাহলে সে বিয়ে বিশুদ্ধ হয়ে যাবে। ফকিহ যাহির রাহ বলেন,সাক্ষীদের জন্য বর-কনের কথা বুঝা ও শর্ত।
ولو تزوج امرأة بحضرة السكارى وهم عرفوا أمر النكاح غير أنهم لا يذكرونه بعد ما صحوا انعقد النكاح هكذا في خزانة المفتين وفي فتاوى أبي الليث
যদি কেউ কোনো মহিলাকে একদল মাতালদের সামনে বিয়ে করে নেয়।যারা মাতাল হলেও তাদের বিয়ের জ্ঞান লোপ পায়নি।তবে তারা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবার পর বিয়ের কথাকে স্বরণ করতে পারছে না।এমন পরিস্থিতেও বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮)