আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
541 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ..
 হাঁচি দিলে "আলহামদুলিল্লাহ " কি জোরে বলতে হবে যাতে পাশে থাকা ব্যক্তি শুনেন? নাকি মনে মনে বলতে হবে?আর শুনার পর উত্তরে "ইয়ারহামুকুল্লহ" কি জোরে বলতে হবে  নাকি মনে মনে বললে হবে? সুন্নাহ অনুযায়ী কোনটি সহীহ?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْعُطَاسَ، وَيَكْرَهُ التَّثَاؤُبَ، فَإِذَا عَطَسَ فَحَمِدَ اللَّهَ فَحَقٌّ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ سَمِعَهُ أَنْ يُشَمِّتَهُ، وَأَمَّا التَّثَاؤُبُ فَإِنَّمَا هُوَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَرُدَّهُ مَا اسْتَطَاعَ، فَإِذَا قَالَ: هَاهْ، ضَحِكَ مِنْهُ الشَّيْطَانُ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ হাঁচি পছন্দ করেন কিন্তু হাই তোলা অপছন্দ করেন। অতএব কোন ব্যক্তি হাঁচি দেয়ার পর আল্লাহর প্রশংসা করলে এবং যে কোন মুসলিম তা শোনতে পেলে হাঁচির জবাব দেয়া তার কর্তব্য। আর হাই উঠে শয়তানের পক্ষ থেকে। অতএব কেউ তা যেন যথাসাধ্য প্রতিহত করে। কোন ব্যক্তি হাই তুলে ‘হা’ (মুখ গহব্বর ফাঁক) করলে তাতে শয়তান (আনন্দে) অট্টহাসি দেয়। (আল আদাবুল মুফরাদ ৯২৭,বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসাঈ, আহমাদ, হাকিম, ইবনে হিব্বান, ইবনে খুজাইমাহ)

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: إِذَا عَطَسَ فَلْيَقُلِ: الْحَمْدُ لِلَّهِ، فَإِذَا قَالَ فَلْيَقُلْ لَهُ أَخُوهُ أَوْ صَاحِبُهُ: يَرْحَمُكَ اللَّهُ، فَإِذَا قَالَ لَهُ: يَرْحَمُكَ اللَّهُ فَلْيَقُلْ: يَهْدِيكَ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكَ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কেউ হাঁচি দিয়ে যেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে। সে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বললে তার অপর (মুসলিম) ভাই বা সংগী যেন ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলে। সে তার জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বললে (শুকরিয়াস্বরূপ) সে যেন বলে, ‘ইয়াহদিকাল্লাহু ওয়া ইউসলিহু বালাকা’ (আল্লাহ তোমায় সৎপথে চালিত করুন এবং তোমার অবস্থার সংশোধন করুন)। 
(আল আদাবুল মুফরাদ ৯২৯.বুখারী, আবু দাউদ)

দারুল উলুম দেওবন্দ এর 10380 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে যদি হাঁচি দাতার জবাব (আলহামদুলিল্লাহ)  না শোনা যায়,তাহলে يرحمك الله বলা ওয়াজিব নয়।
.
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
হাঁচি দিলে "আলহামদুলিল্লাহ " জোড়ে বলা জরুরী নয়,বরং আস্তে আওয়াজে বললেও কোনো সমস্যা নেই।
পাশের ব্যাক্তি হাঁচির না শুনতে পেলে কোনো সমস্যা নেই।
তার উপর তখন يرحمك الله বলা ওয়াজিব নয়।
.
তবে মনে মনে হাঁচি দাতা আলহামদুলিল্লাহ বলবেনা,মুখে উচ্চারণ করে পড়তে হবে।
নতুবা পড়ার হক আদায় হবেনা।
,
আলহামদুলিল্লাহ শোনার পর উত্তরে "ইয়ারহামুকাল্লাহ"  জোড়ে বলা ওয়াজিব নয়।
আস্তেও পড়তে পারে 
তবে মনে মনে বলা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...