আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
402 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
reshown by

*প্রসংগ খুব-ই আর্জেন্ট* 

আমার মন খুব-ই উদাসীন।

আমার খুব ঘনিষ্ঠ আপন আত্নীয়। উনি শরীয়াহ সম্পর্কে একবারে অজ্ঞ। বলতে এমনটা, মুসলিম ঠিকই,নামাজ রোযা সবকিছু আদায় করেন। অনেকটা মূর্খ টাইপের, বললেও বুজেন না। কোনটা কুফর কোনটা শির্ক এ সম্পর্কে তেমন জ্ঞান হয়ত নাই। স্কুলে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়েছেন

উনার কুফরি কথা বলার জন্য আমার এই ঘটনা প্রধান উদ্দেশ্য-ই ছিলো তাই বলতে হচ্ছে,

★"তো আমি আমার বাড়ি থেকে আমার নানা বাড়ীতে যাবো। সেখানে আমার মামাত ভাইকে ঘরের বাইরে খেলতে পেলাম। তারপর সে আমাকে দেখে (ও বয়সে ছোট কথা বলতে জানে না ২ বছর) তার জন্য কোনো চকলেট আনছি কিনা এজন্য ছুটে চলে আসে আমি বাড়িতে উঠতে সময়। 

এই বাচ্চাটার এরুপ আকুতি সম্পূর্ন ঘটনা আমি আমার বাড়ীতে এসে এক মহিলাকে (৪৩) বল্লাম,উত্তরে ওই মহিলা বললেন,

"আমার ভাইপু (বাচ্চাটা) বুজেছে তুমি নানা বাড়ি যাবে"। 

এই কথার প্রতিউত্তর এখনো দেই নাই আমি। কথা বলার সাথে সাথেই আমার মনে হলো, ইনি মুখ দিয়ে যা বাক্য বলেছেন তা সরাসরি শির্ক/কুফর কথা। কারন ওই বাচ্চাটা তো গায়েব জানে না। গায়েব তো একমাত্র আল্লাহ্-ই জানেন।

 

প্রশ্ন হলো: ওই অজ্ঞ মহিলা নিজের অজান্তে করেছে,অজ্ঞতার কারনে (উপরে ব্যক্তি কিরুপ তা বর্নিত)। এমনকি বিবাহিত। প্রশ্ন হলো, এই কথার কারনে (যেহেতু অজ্ঞ ব্যক্তি) উনি ইসলাম থেকে বাহির হয়ে যাবেন কি না এবং বিবাহ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে,,?

এই ঘটনার আবার পরের ওয়াক্ত যে সময় তাতে নামাজ ও পড়ে জিকির করেছেন। কিন্তু ওই কথার কারনে তাওবা করবেন কি না জানি না।  এ সম্পর্কে ইসলামী শরীয়াহ কি বলে? 

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


গায়েবের খবর একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালাই জানেন,অন্য কেউ তাহা জানেননা।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
قُلْ لَا يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ

অর্থ: (হে নবী) আপনি বলুন! আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া আসমান-যমীনে অন্য কেউ অদৃশ্যের জ্ঞান রাখেনা। এবং তারা জানে না কখন তারা উত্থিত হবে। (সূরা নামল, আয়াত-৬৫)

قُلْ لَا أَقُولُ لَكُمْ عِنْدِي خَزَائِنُ اللَّهِ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَا أَقُولُ لَكُمْ إِنِّي مَلَكٌ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ

অর্থ: (হে নবী) আপনি বলুন! আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার নিকট আল্লাহর ধন-ভান্ডার রয়েছে। এবং আমি গায়েব জানি না, এবং আমি তোমাদের এটাও বলিনা যে, আমি একজন ফেরেশতা। আমার নিকট যা প্রত্যাদেশ হয় আমি কেবল তারই অনুসরন করি। (সুরা আন‘আম, আয়াত- ৫০)

إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ

অর্থ: কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহরই রয়েছে। তিনি বারি বর্ষণ করেন, এবং তিনি জানেন জরায়ুতে কী রয়েছে। কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন করবে। এবং কেউ জানে না কোন স্থানে তার মৃত্যু ঘটবে। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবগত । (সুরা আন‘আম, আয়াত- ৩৪)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
عن عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «وَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ يَعْلَمُ الغَيْبَ، فَقَدْ كَذَبَ، وَهُوَ يَقُولُ: لاَ يَعْلَمُ الغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ»

অর্থ: হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তোমাকে বলে নবীজি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গায়েব জানেন, সে মিথ্যাবাদী। কারণ নবীজি (স.) নিজেই বলতেন, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কেউ গায়েব জানে না। (সহীহ বুখারী-৭৩৮০)

★সুতরাং কেহ যদি গায়েবের বিষয় রাসুলুল্লাহ সাঃ জানেন,বা অন্য কেহ জানেন বলে, বা এমন আকীদা পোষন করে,তাহলে এটি শিরকি আকীদা বলে গন্য হবে,তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের  অন্তর্ভুক্ত থাকবেনা।
তবে তিনি কাফের হবেননা,তার ঈমান ভেঙ্গে যাবেনা,বিবাহ বিচ্ছেদ হবেনা।
তাকে তওবা করতে হবে।
,
আরো জানুনঃ 
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলার বাক্য ""আমার ভাইপু (বাচ্চাটা) বুঝেছে,তুমি নানা বাড়ি যাবে""
এটি গায়েব জানা নয়, এটি সাধারণত মানুষ কাহারো অবস্থা দেখে আন্দাজা করে বলে,একটি সম্ভাবনার স্থান থেকে এহেন বাক্য বলা হয়,কোনোরকম একীন তথা অগাধ বিশ্বাস করা হয়না।
,
এই বাক্য বলাতে উক্ত মহিলার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা,তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের থেকে খারিজও হবেননা।       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...