আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
260 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম ।শায়খ আপনাদের ওয়েবসাইট আমাকে অনেক সাহায্য করে ।তাই বার বার শরণাপন্ন হই।আল্লাহ আপনাদের কবুল করুক।

আমার একটি মুসাল্লা আছে জাতে হারাম শারিফের ছবি আছে ।আমি একদিন একে বারের মনের ভুলে , নেক নিয়াতে নামাজের জন্য দাঁড়ানোর সময় আমার পা পরে জায় ছবি তে ।আমি এ বিষয়টি মনে পরলেই বার বার তাউবা করি। আমার জতবার এ ভুল মনে পরে আমি কষ্ট পাই।


~শাইখ আমি কি এ ভুলের কারণে আল্লাহর ক্রোধের কারণ হয়ে দাঁড়াবো ,আমার কি গুনাহ হবে  ?


শায়খ আমি ১০ম শ্রেণির একজন ছাত্র। মন থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন যথাযথ দিন পালন করতে পারি।কিছু নাসিহাত করবেন। জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রাণীহীন ফটো নাজায়েয নয়।সুতরাং মানুষ্যবিহীন পবিত্র স্থান সমূহের ফটো দুষণীয় নয়। নাজায়েয হবে না।তবে নামাযি ব্যক্তির জন্য কখনো উচিৎ হবে না যে,তার সামনে বা জায়নামাযে কোনো কিছুর ফটো থাকবে।কেননা এতে তার মনযোগে ব্যাঘাত ঘটবে। ফুকাহায়ে কিরাম একে মাকরুহে তানযিহি বলে থাকেন।

হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺻَﻠَّﻰ ﻓِﻲ ﺧَﻤِﻴﺼَﺔٍ ﻟَﻬَﺎ ﺃَﻋْﻠَﺎﻡٌ ﻓَﻨَﻈَﺮَ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﻋْﻠَﺎﻣِﻬَﺎ ﻧَﻈْﺮَﺓً ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺍﻧْﺼَﺮَﻑَ ﻗَﺎﻝَ ﺍﺫْﻫَﺒُﻮﺍ ﺑِﺨَﻤِﻴﺼَﺘِﻲ ﻫَﺬِﻩِ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﺑِﻲ ﺟَﻬْﻢٍ ﻭَﺃْﺗُﻮﻧِﻲ ﺑِﺄَﻧْﺒِﺠَﺎﻧِﻴَّﺔِ ﺃَﺑِﻲ ﺟَﻬْﻢٍ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﺃَﻟْﻬَﺘْﻨِﻲ ﺁﻧِﻔًﺎ ﻋَﻦْ ﺻَﻠَﺎﺗِﻲ ﻭَﻗَﺎﻝَ ﻫِﺸَﺎﻡُ ﺑْﻦُ ﻋُﺮْﻭَﺓَ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛُﻨْﺖُ ﺃَﻧْﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻰ ﻋَﻠَﻤِﻬَﺎ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻓَﺄَﺧَﺎﻑُ ﺃَﻥْ ﺗَﻔْﺘِﻨَﻨِﻲ
রাসূলুল্লাহ সাঃ একবার রেশম বা পশমের এমন কাপড়ে যাতে নকশা এবং কারুকার্য বিদ্যমান ছিলো,তাতে  নামায পড়তেছিলেন। হঠাৎ নামাযের মধ্যেই সেই কারুকার্যের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ হল।যখন রাসূল সাঃ নামায থেকে সালাম ফিরালেন।তখন বললেন,উক্ত কারুকার্যময় কাপড়কে নিয়ে তোমরা আবু-জাহমের নিকট যাও এবং তাকে দিয়ে আসো।সাথে সাথে আবু-জাহমের কারুকার্যহীন চাদর-কে আমার নিকট নিয়ে আসো।কেননা উক্ত কারুকার্য আমাকে কিছু সময়ের জন্য নামায থেকে গাফিল করে রেখেছিলো।

অন্য বর্ণনায় এসেছে,রাসূল সাঃ বলেন,আমি নামাযে থাকা অবস্থায়-ই উক্ত কারুকার্যের দিকে আমার দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো। আমার ভয় হল যে,না জানি কি আমি ফিতনায় পড়ে যাই। (সহীহ বুখারী-৩৭৩,সহীহ মুসলিম- ৫৫৬)

কা'বা ঘরের ফটো অঙ্কিত জায়নামাজ অপছন্দনীয়(মাকরুহ)। তাতে নামায পড়াও অপছন্দনীয়(মাকরুহ) । কারণ হল,তাতে মনযোগ বিনষ্ট হতে পারে বা হবেই। তবে ক'বা ঘরকে পদপৃষ্ঠ করার অাশংকা থেকে উক্ত জায়নামাজ কে ব্যবহার করা মাকরুহ বলাটাও আপাতত যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে না।কেননা সাধারণত কেউ ইচ্ছা করে কা'বা ঘরের ফটোকে পৃষ্ঠ করবেনা।তারপরও পদপৃষ্ঠ হওয়ার একটা আশংকা থেকেই যায়।সর্বাবস্থায় মনযোগে ব্যাঘাত ঘটবেই। সুতরাং কা'বা ঘরের ফটো সংবলিত জায়নামাযে নামায পড়া কখনো উচিৎ হবে না।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ابن عباس عن رسول الله أنَّه قال: "إنَّ اللهَ تجاوَز عنْ أُمَّتي الخطأَ والنِّسيانَ وما استُكرِهوا عليه"
رواه ابن حبان ، في صحيح ابن حبان، عن عبد الله بن عباس، الصفحة أو الرقم:7219، أخرجه في صحيحه.
উম্মতের ভুলত্রুটি মাফ। যেমন সহীত ইবনে হিব্বানে ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, আমার উম্মত থেকে ভূল ত্রুতি এবং অপারগতা বশত কাজকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। (সহীহ ইবনে হিব্বান-৭২১৯)

সুতরাং ভুলে বা অসতর্কতাবশত কেউ কা’বার ছবিতে পা রেখে দিলে গোনাহ হবে না। তাছাড়া বাস্তব আর ফটোর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। হ্যা কেউ অসম্মাণ প্রদর্শনের জন্য যদি এমনটা করে থাকে, তাহলে তার অবশ্যই গোনাহ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 195 views
...