আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
10 views
ago in ওয়াসওয়াসা by (15 points)
edited ago by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহ

১) কাল ঘুমের মধ্যে আমি ছোট ছোট অনেকগুলো কেটে কুটে রাখা  তেলাপিয়া মাছ ধোঁয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এটা দিয়ে কি বুঝাচ্ছে?
২)আমি ওয়াসওয়াসা রোগী কি না দয়া করে একবার জানাবেন উস্তাদ। আমি খুব পেরেশানি তে আছি আমাকে একটু দয়া করুন।

আমি হুটহাট রেগে গেলে একটা বাজে শব্দ উচ্চারণ করতাম। একদিন পবিত্রতা নিয়ে অন্য দিন নামাজ নিয়ে বলে ফেলেছি। এভাবে বললে যে মানুষ কাফের হয়ে যাবে তা আমি জানতাম না। আর ওগুলো ইচ্ছা কৃত নাকি অনিচ্ছায় বলেছি সেটা আমার মনে নেই কারণ তখন আমি এগুলোর বিষয়ে জানতাম না তাই গুরুত্ব ও দেই নি। একদিন পবিত্রতা নিয়ে যখন বাজে কথা বলে ফেলেছি সেদিন যখন মনে পরে আমি বাজে কথা বলে ফেলেছি পবিত্রতা নিয়ে তখন আল্লাহর কাছে তওবা করি। আমি রাগের বশে বলে ফেলেছি তখন আমার মাথায় চলে আসে স্বামী স্ত্রী কেউ কুফুরি কাজ করলে বিবাহ ভঙ্গ হয়। সেদিন আই ফতোয়া তে এগুলো ঘাটাঘাটি করে আমি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পরেছিলাম এর পর থেকে আমি নিজেকে সংশোধন করার চেষ্টা করছি কিন্তু এখন একটার পর একটা চিন্তা লেগেই থাকে। আল্লাহ, নবীজি, নামাজ সব নিয়ে গালিগালাজ চলে আসে। আমি এখন সর্বোচ্চ চেষ্টা করি আর কোনো বাজে শব্দ যেন না উচ্চারণ করি কিন্তু আমার মাথায় শুধু গালিগালাজ চলে আসে। যখন মাথায় বাজে চিন্তা আসে তখন কিছুক্ষণ পর ভয় পেয়ে যাই এগুলো আমার মনে মনে চলে আসছে নাকি মুখে উচ্চারণ করে ফেলেছি। তখন আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পরি আমি মুখে বলেছি নাকি মনের মধ্যে ওই কথা গুলো সীমাবদ্ধ ছিল তা নির্ণয় করতে পারিনা। এখন কোনো কথা বলতে গেলেই আমি ভয় পাই। বাজে চিন্তা আসলে ঠোঁট একটু খোলা থাকলেই আমার চিন্তা বেড়ে যায়। আমি জানিনা এগুলো সত্যি নাকি ওয়াসওয়াসা। আমাকে একবার বলে দিন প্লিজ আমার মধ্যে ওয়াসওয়াসা সমস্যা আছে কি না?? আমি অজ্ঞ তা বশত নামাজ,পবিত্রতা নিয়ে যে বাজে কথা বলে ফেলেছি এর জন্য আমার ঈমানে সমস্যা হবে কি না??  আমি না জেনে বলে ফেলেছি। একবার দয়া করে আমাকে উত্তর দিয়ে সাহায্য করুন প্লিজ উস্তাদ।

1 Answer

0 votes
ago by (690,390 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الرُّؤْيَا الْحَسَنَةُ مِنَ الرَّجُلِ الصَّالِحِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ ".

আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নেককার লোকের ভাল স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ।
(বুখারী শরীফ ৬৫১২)

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى ـ هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ ـ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الرُّؤْيَا مِنَ اللَّهِ، وَالْحُلْمُ مِنَ الشَّيْطَانِ ".

আহমাদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... আবূ কাতাদা (রাঃ) সূত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে আর অশুভ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে।
(৬৫১৩)

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, যখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর উপর আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি সাধন করবে না।
(বুখারী শরীফ ৬৫১৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
স্বপ্নে মাছ দেখার অর্থ হল, নিয়ামত পাওয়া। 
অর্থাৎ যিনি স্বপ্নে দেখেছেন, তিনি নিয়ামত পাবেন। 
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নের দরুন আপনি নিয়ামাত প্রাপ্তা হবেন,ইনশাআল্লাহ। 

আরো জানুনঃ- 

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার মধ্যে ওয়াসওয়াসা জনিত সমস্যা আছে বলেই মনে হচ্ছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 121 views
...