আসসালামু আলাইকুম উস্তায।
১)আমি একজন ডিভোর্সী মেয়ে এবং আমার বাবা একজন হতদরিদ্র মানুষ। আমি বিয়ের জন্য বায়োডাটা দিয়েছি আহলিয়াতে। যতদিন আমার বিয়ে না হচ্ছে ততদিন নিজের খরচ নিজেকে বহন করতে হবে। সরকারিভাবে কারিগরি প্রশিক্ষণ সেন্টারগুলোয় বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং ভাতা প্রদান করে থাকে। কিন্তু সমস্যা হলো সেখানে ছেলে-মেয়ে একসাথে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে এবং পুরুষ প্রশিক্ষক থাকে। এখন কাজ শিখতে হলে সেখানে কথা বলতে হবে এবং হাত মোজা খোলা লাগতে পারে। এতে তো আমার পর্দা লঙ্ঘন হবে। ওখান থেকে যে টাকা আসবে সেটা কী আমার জন্য হালাল হবে? এভাবে পুরুষদের সাথে একত্রে কাজ করা কী উচিত হবে? নাকি আমি ধৈর্য্য ধারন করবো উত্তম কিছুর জন্য?
২) উস্তায আমি আমার প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে না বুঝে কিছু অন্যায় করেছিলাম, তখন বয়স বেশি ছিল না, অকারণে রাগ করতাম, এতে করে তার সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এগুলো অনেক পূর্বের কথা, কিন্তু তিনি আমাকে রাগের বশবর্তী হয়ে তালাক দিয়ে ফেলেছিল, আমাদের কারও ইচ্ছা ছিল না তালাকের। তিনি আরেকটা বিয়ে করেছিল, আর আমার হক আদায় করতো না। এটা নিয়ে একদিন ঝামেলা হয় এবং তালাক দিয়ে দেন।এখন বর্তমান যিনি আমার স্বামী হবেন তাকে কী বলা জরুরি যে আমি আগে আমার স্বামীর সাথে রাগারাগি করতাম? নাকি রাগের মাথায় তালাক বলে ফেলেছে শুধু এইটা বললেই যথেষ্ট হবে?আমার স্বামীর সাথে আমার পূর্বের করা গুনাহ বর্তমান স্বামীকে কী জানানো জরুরি?