আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
13 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম শায়খ, (এক বোনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন)

১.আমি গত ২ বছর ধরে ছাত্রী সংস্থায় যুক্ত আছি।শুরু থেকে খুব একটা জানাশোনা না থাকায় অন্ধভক্ত টাইপ ছিলাম।সবকিছু ভাল লাগত।উপর থেকে যা শুনতাম,বলতেন সবই মেনে নিতাম।যা বলত সব ঠিক,এরকম মনে হত।কিন্তু ইদানীং অনেক কিছু নেগেটিভ লাগে।কথা এবং কাজে কিছু কিছু অমিল লাগে।আমি ছাত্রী সংস্থা করি অথচ আমার বাসায় মা বাবা কিংবা বড় ভাই কেউই জানেন না।এমনকি জানলেও এসবে থাকতে দিবেন না ওনারা জানি।এখানে যুক্ত থাকায় দাওয়াতী কাজের জন্য দেখা যায় বেশ কয়েকবার কলেজ হোস্টেল থেকে বেরিয়ে শহরে বা গ্রামে গিয়ে মানুষের বাড়ির দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে মেয়ে খুঁজতে হয়েছে।আমি যতদুর জানি অভিভাবক এর অনুমতি ছাড়া এভাবে বাইরে যাওয়া নাকি উচিত না।কিন্তু আপুদের জিগ্যেস করলে বলে যে "এটা তো ভাল কাজ,অনুমতি নিতে গিয়ে যদি দাওয়াতী কাজ বন্ধ হয় তার থেকে বাড়িতে না জানানোই ভাল।এবং পাল্টা উত্তরে এটাও বলে যে তুমি তো মাহরাম ছাড়াই দূরে থেকে পড়াশোনা করতেছো,এখানে তো তোমার সাথে মাহরাম থাকে না কেউ,এটা তাহলে কেন করতেছো!"

আমার বাড়ির লোকজন তো জানেন যে আমার সীমা কতটুকু! যেহেতু কলেজ আর হোস্টেল একসাথে, আমি ছাত্রী হোস্টেল থেকে বাজার কিংবা বাজার থেকে হোস্টেল এতটুকুতেই থাকব,কারণ হোস্টেলে থাকতে গেলে টুকটাক খরচ কিনতে লাগে।এটা তো ওনারা জানেই এবং অনুমতিও আছে।তবুও কি গুনাহ হবে?
আর অনুমতি ছাড়া মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মেয়ে খুঁজে দাওয়াত দেয়ার কাজ করতে গুনাহ হবে না?
২. সংগঠনে যুক্ত থাকা যদি ফরজ না হয়,তাহলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে একজন মেয়ে কি কি উপায়ে দাওয়াতী কাজ করে যেতে পারে? যেহেতু দাওয়াতী কাজটা ফরজ।

৪. এছাড়াও দেখা যাচ্ছে, সংগঠন থেকে বোনেরা বিভিন্ন ভার্সিটি তে ডাকসু রাকসু করেছে,জিতেছে।এখানে টকশো করতে হয়েছে, মিডিয়ার সামনে গিয়ে কথা বলেছে,ভোটের প্রচার প্রচারনায় ছবি সহ ছিল।এখানে কি পর্দার বিষয় লঙ্ঘন হয়নি?।যেহেতু তারা দাবি করে ইসলামী সংগঠন,দ্বীন কায়েমই উদ্দেশ্যই।আর ইসলামে রাজনীতির সংজ্ঞা টা আসলে কি? মেয়েদের জন্য কলেজ বা ভার্সিটি তে গিয়ে রাজনীতি করা কতটুকু জায়েজ?

৫. মেয়েদের প্রধান দায়িত্ব এবং ফরজ কাজ কি? এখানে যদি ঘরের মানুষদের ইসলামের আলোয় গঠন করাটা প্রধান দায়িত্ব হয়ে থাকে,তাহলে এই যে সংগঠনে থেকে কলেজ/ভার্সিটি তে এসে মেয়েদের দাওয়াত করা হচ্ছে, অথচ নিজের বাড়ির মানুষকে এখনো ইসলামপ্রিয় বানাতে পারিনি,তাদের তালিম দেইনা।এখানে কি বাইরের মেয়েদের থেকে বাড়ির মানুষের হক বেশি বা আগে না? তাদের হক নষ্ট হচ্ছে কিনা এখানে? আখিরাতে জবাবদিহি করতে হবে।যদি হক নষ্ট হয়,তাহলে কি আমার এখানে যুক্ত থাকা উচিত হবে কিনা?

৬. কুরআন তিলওয়াত, হাদিস অধ্যয়ন যেহেতু নফল ইবাদত।সংগঠনের ব্যক্তিগত মাসিক একটা রিপোর্ট থাকে,যেটাতে প্রতিদিন কুরআন তিলওয়াত হাদিস পড়তে হয় এবং টিক দিতে হয়।দেখা যায় যে,জনশক্তি রা বেশিরভাগেরই চিন্তা টা এমন তৈরি হয়ে যায় শুরু থেকে যে, রিপোর্ট নিয়মিত রাখতে হবে, আপু রিপোর্ট দেখবে, তাই প্রতিদিন কুরআন হাদিস পড়ে।কিন্তু কুরআন তো তাদাব্বুর করে পড়া উচিত।যদি কুরআন থেকে শেখার জন্যই মানসিকতা না থাকে,সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে বাস্তব জীবনে প্রতিফলিত না করি,তাহলে প্রতিদিন এই কুরআন তিলওয়াত করে আদৌ লাভ আছে? রিপোর্ট নিয়মিত দেখাতে হবে জন্য পড়লাম,এটা একপ্রকার রিয়া হলো না? বা আমার আমলের হিসাব আরেকজন কেনই বা নিবে?

Please log in or register to answer this question.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...