আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ।
(১) কোন মহিলাকে যদি বিয়ের সময় তালাকের অনুমতি দেয়া হয়।  তাহলে স্ত্রী ঝগড়ার সময় রেগে গিয়ে যদি নিজের উপর নিজের তালাক নেয় মৌখিকভাবে তখন কি সেটা তালাক বলে গণ্য হবে? যদি হয় সেটা কয়‌ তালাক হবে? নাকি মহিলাদের তালাক দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট শর্ত এবং সাক্ষী প্রয়োজন?
(২)‌ যেহেতু বিয়ের সময় মেয়ের অনুমতি ছাড়াই 18 নং অনুচ্ছেদে মেয়েকে তালাকের অনুমতি দেয়া হয়। ‌ এখন মেয়ে কি চাইলে এই অনুমতি বাতিল করতে পারে? কারণ হুটহাট রাগের কারণে অথবা শয়তানের ধোঁকায় পড়ে এসব চিন্তা যেহেতু মাথায় আসে তাই এখন কি কোন উপায়ে এই অনুমতি বাতিল করার সুযোগ আছে?
(৩) যদি বাতিল করা যায় তাহলে বাতিল করার ক্ষেত্রে কি পুনরায় সাক্ষী‌ প্রয়োজন?
(৪) বাতিল করা গেলে সেটা কিভাবে করা যেতে পারে? বাতিল করা  উচিত কিনা?
(৫) হাজব্যান্ড যদি মিথ্যা কথা বলে এবং স্ত্রী সত্যি জানার পর রেগে গিয়ে বলে যদি আর কোনদিন মিথ্যা বলে তাহলে আল্লাহর কসম ডিভোর্স দিয়ে চলে যাব। ‌ পরবর্তীতে হাজবেন্ড বিভিন্ন কারণে মিথ্যা কথা বলে কিন্তু স্ত্রী ডিভোর্স দেয় না। ‌ এখানে যে আল্লাহর নামে কসম করা‌ হলো এখন করনীয় কি? কাফফারা আদায় করতে হবে কি?

1 Answer

0 votes
ago by (724,500 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

(১) কোন মহিলাকে যদি বিয়ের সময় তালাকের অনুমতি দেয়া হয়। এখন  স্ত্রী ঝগড়ার সময় রেগে গিয়ে যদি নিজের উপর মৌখিকভাবে তালাক নিলে সেটা তালাক বলে গণ্য হবে। কয় তালাক হবে? তা অধীকার দেয়ার সময় আলোচনার উপর নির্ভর কবে। মহিলাদের তালাক দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট শর্ত প্রয়োজন যদি শর্তযুক্ত অধীকার থাকে। এক্ষেত্রে সাক্ষীর কোনো প্রয়োজনীয়তা নাই।

(২) যেহেতু বিয়ের সময় মেয়ের অনুমতি ছাড়াই 18 নং অনুচ্ছেদে মেয়েকে তালাকের অনুমতি দেয়া হয়। এখন এটা বাতিল করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নাই। কেননা প্রশ্নের বিবরণমতে স্ত্রী তালাকে  অধিকারই পাবে না। 

(৩) তাফবীযে তালাক অরাজিতই হবে না।

(৪) তালাকের অধিকারই স্ত্রী পাবে না।

(৫) আল্লাহর কসম ডিভোর্স দিয়ে চলে যাব। এদ্বারা তালাক হবে না। কসম হবে। কসমের কাফফারা ওয়াজিব হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...