আসসালামু আলাইকুম। আমার মা একদিন বলতেছিল যে, ব্যাংক থেকে সুদ খাওয়া তো ভালো না৷ কিন্তু তাও মানুষ অনেকেই খায়। আর কি কি যেন নিয়ম আছে, ইসলামী ব্যাংক এর। কিন্তু সুদ খাওয়া ভালো না। আমি বললাম তুমি কি এটা মানো? পরে বলতেছে যে, ----"""হ্যাঁ। মানবো না কেন। কি বলো এগুলা। সুদ খাওয়া তো হালাল হারাম " """""""। ফোনে কথা হইতেছিল মায়ের সাথে। আমি এটাই শুনেছি ফোনে।
আমি বললাম মা তুমি কি বললা এটা? হালাল বললা কেন? আমার মা বলে সে নাকি হালাল বলে নাই। সে নাকি হারাম বলছে। আমি বলছি না তুমি হালাল বলছো। আমি শুনছি। প্রথমে হালাল বলে, পরে হারাম বলছো। তখন আমার মা বলে যে, (আমি এটা যে হারাম এটা মানি, এটাই বলতে চাইছি, আমার মুখ দিয়ে অন্য কিছু বের হয়ে গেছে, কিন্তু আমি হারাম ই বলছি, তুমি হয়তো ভুল শুনছো। আমি তো কোনো লিখিত দলিল দিয়ে বলতেছি না যেটা বের হইছে। আমি হারাম ই বলছি।)
আমার মা কথা বলতে গেলে প্রায়ই এমন উলটা পালটা বলে ফেলে। বাক্য শেষ করে না৷ আমি বললাম যে,---- তুমি সুদ খাওয়া তো হালাল হারাম---- এটা বলে রেখে দিছো। আমার মা বলে আমি মনে হয় এটা বলতে চাইতেছিলাম যে হালাল হারাম তো নির্দিষ্ট ই। কিন্তু এটা লআর বলি নাই। শেষ করি নাই। কিন্তু হুজুর আমার যতটুকু মনে পড়ে আমার মা " সুদ খাওয়া তো হালাল হারাম " এটাই বলেছে। এর পরে অন্য কথা বলেছে। এখন তার মনে নাই।
১) উপরোক্ত কথায় কি আমার মায়ের ঈমানে কোনো সমস্যা হবে? আল্লাহ কি মাফ করবেন?
২) যদি আমি মায়ের কথা ভুল শুনে আপনাদের কাছে এভাবে প্রশ্ন করার কারনে কি আমার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে?
৩) আমার মা কি বলেছে এটা আমি এটা চিন্তা করতে করতে কয়েকবার মুখে উচ্চারণ করে "হালাল বলে ফেলেছি" নিজে নিজে। পরে আবার বলেছি "না না হারাম"। পুরা বাক্য মুখে উচ্চারণ করে বলেছি কিনা নিশ্চিত না। কিন্তু উচ্চারণ করে হালাল বলেছি এটা নিশ্চিত। মানে মা কি বলেছিল সেটা ভাবতে ভাবতেই হালাল বলে ফেলেছি উচ্চারণ করে। আমার আরো ভয় লাগতেছে। আমি জানি আর মানি এটা সুদ খাওয়া হারাম। এখন আমি ভাবতে ভাবতে এমন বলে ফেলার কারনে কি আমার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে?