আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
6 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited ago by
আসসালামু আলাইকুম। আমার মা একদিন বলতেছিল যে, ব্যাংক থেকে সুদ খাওয়া তো ভালো না৷ কিন্তু তাও মানুষ অনেকেই খায়। আর কি কি যেন নিয়ম আছে, ইসলামী ব্যাংক এর। কিন্তু সুদ খাওয়া ভালো না। আমি বললাম তুমি কি এটা মানো? পরে বলতেছে  যে, ----"""হ্যাঁ। মানবো না কেন। কি বলো এগুলা। সুদ খাওয়া তো হালাল হারাম " """""""। ফোনে কথা হইতেছিল মায়ের সাথে। আমি এটাই শুনেছি ফোনে।
আমি বললাম মা তুমি কি বললা এটা?  হালাল বললা কেন? আমার মা বলে সে নাকি হালাল বলে নাই। সে নাকি হারাম বলছে। আমি বলছি না তুমি হালাল বলছো। আমি শুনছি। প্রথমে হালাল বলে, পরে হারাম বলছো। তখন আমার মা বলে যে, (আমি এটা যে হারাম এটা মানি, এটাই বলতে চাইছি, আমার মুখ দিয়ে অন্য কিছু বের হয়ে গেছে, কিন্তু আমি হারাম ই বলছি, তুমি হয়তো ভুল শুনছো। আমি তো কোনো লিখিত দলিল দিয়ে বলতেছি না যেটা বের হইছে। আমি হারাম ই বলছি।)

 আমার মা কথা বলতে গেলে প্রায়ই এমন উলটা পালটা বলে ফেলে। বাক্য শেষ করে না৷ আমি বললাম যে,---- তুমি সুদ খাওয়া তো  হালাল হারাম---- এটা বলে রেখে দিছো। আমার মা বলে আমি মনে হয় এটা বলতে চাইতেছিলাম যে হালাল হারাম তো নির্দিষ্ট ই। কিন্তু এটা লআর বলি নাই। শেষ করি নাই। কিন্তু হুজুর আমার যতটুকু মনে পড়ে  আমার মা " সুদ খাওয়া তো হালাল হারাম " এটাই বলেছে। এর পরে অন্য কথা বলেছে। এখন তার মনে নাই।
১) উপরোক্ত কথায় কি আমার মায়ের ঈমানে কোনো সমস্যা হবে? আল্লাহ কি মাফ করবেন?
২) যদি আমি মায়ের কথা ভুল শুনে  আপনাদের কাছে  এভাবে প্রশ্ন করার কারনে কি আমার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে?

৩) আমার মা কি বলেছে এটা আমি এটা চিন্তা করতে করতে কয়েকবার মুখে উচ্চারণ করে  "হালাল  বলে ফেলেছি" নিজে নিজে। পরে আবার বলেছি "না না হারাম"।  পুরা বাক্য মুখে উচ্চারণ করে বলেছি কিনা নিশ্চিত না। কিন্তু উচ্চারণ করে  হালাল বলেছি এটা নিশ্চিত। মানে মা কি বলেছিল সেটা ভাবতে ভাবতেই হালাল বলে ফেলেছি উচ্চারণ করে। আমার আরো ভয় লাগতেছে। আমি জানি আর মানি এটা সুদ খাওয়া  হারাম। এখন আমি ভাবতে ভাবতে এমন বলে ফেলার কারনে কি আমার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (689,760 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...