অর্থাৎ, শিক্ষা অর্জনের মূল উদ্দেশ্য হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি, সমাজ ও উম্মাহর কল্যাণ, এবং মানবতার সেবা।
ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা শুধু ইবাদতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং মানবকল্যাণ, সমাজকল্যাণ, ও উম্মাহর উন্নয়নকেও ইবাদত হিসেবে গণ্য করে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“মানুষের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি, যে মানুষের জন্য সর্বাধিক উপকারী।”
(মুসনাদ আহমাদ, হাদীস: ২৩৪০৯)
অতএব, যে ব্যক্তি শিক্ষা অর্জন করে সমাজ, দেশ, ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে তা ব্যবহার করে, সে আসলে ইসলামী দৃষ্টিতে এক মহান খেদমতে নিয়োজিত।
একজন মনিষি বলেছেন,চিকিৎসা, প্রকৌশল, অর্থনীতি, প্রশাসন ইত্যাদি শিক্ষা যদি মুসলমানরা না শেখে, তাহলে সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে—তখন পুরো জাতি দায়ী হবে।
যদি কোনো মুসলমান শিক্ষা অর্জন করে—
আল্লাহর সৃষ্টি জগতকে বুঝতে,
দেশ ও উম্মাহর উপকার করতে,
মানুষের কষ্ট লাঘব করতে,
এবং ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষা করতে,
তাহলে সেই শিক্ষা ইবাদতের মর্যাদা পায়।