আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)

নারীরা সহশিক্ষায় পূর্ণ পর্দার সহিত জ্ঞানার্জন করতে পারবে যদি তা মুসলিম জাতি ও দেশের স্বার্থে হয়। এখানে ঠিক কী বোঝানো হয়েছে??

আমি বর্তমানে ভার্সিটিতে ম্যাথ পড়ছি।এর দ্বারা ব্যক্তিগত লাভ ছাড়া, মুসলিম জাতির কোন ফায়দা হবে বলে মনে হয় না।আমি কি সহশিক্ষা ছেড়ে দেব??

1 Answer

0 votes
by (689,850 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

সহ শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত হলো
শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।

অর্থাৎ, শিক্ষা অর্জনের মূল উদ্দেশ্য হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি, সমাজ ও উম্মাহর কল্যাণ, এবং মানবতার সেবা।

ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা শুধু ইবাদতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং মানবকল্যাণ, সমাজকল্যাণ, ও উম্মাহর উন্নয়নকেও ইবাদত হিসেবে গণ্য করে।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

“মানুষের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি, যে মানুষের জন্য সর্বাধিক উপকারী।”
(মুসনাদ আহমাদ, হাদীস: ২৩৪০৯)

অতএব, যে ব্যক্তি শিক্ষা অর্জন করে সমাজ, দেশ, ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে তা ব্যবহার করে, সে আসলে ইসলামী দৃষ্টিতে এক মহান খেদমতে নিয়োজিত।

একজন মনিষি বলেছেন,চিকিৎসা, প্রকৌশল, অর্থনীতি, প্রশাসন ইত্যাদি শিক্ষা যদি মুসলমানরা না শেখে, তাহলে সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে—তখন পুরো জাতি দায়ী হবে।

যদি কোনো মুসলমান শিক্ষা অর্জন করে—
আল্লাহর সৃষ্টি জগতকে বুঝতে,
দেশ ও উম্মাহর উপকার করতে,
মানুষের কষ্ট লাঘব করতে,
এবং ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষা করতে,
তাহলে সেই শিক্ষা ইবাদতের মর্যাদা পায়।

সহ শিক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে সহ শিক্ষার সমস্ত শর্তাবলি মেনে Math নিয়ে পড়তে পারেন।

ইসলাম ও মুসলিম জাতির খেদমতে গণিতের ভূমিকাঃ-

ইসলামী সভ্যতার স্বর্ণযুগে (খালিদ ইবন ইয়াযীদ, আল-খওয়ারিজমি, ওমর খৈয়াম প্রমুখ) গণিত ছিল মুসলিম অগ্রগতির মূল ভিত্তি।

আজ আপনি গণিতের মাধ্যমে—

তথ্যপ্রযুক্তি, বা সাইবার নিরাপত্তায় দক্ষ হয়ে মুসলিম দেশগুলোকে প্রযুক্তিগতভাবে স্বনির্ভর করতে পারবেন।

মুসলিম বিশ্বের জন্য হালাল ফিনটেক, ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যালগরিদম বা জাকাত বণ্টন সফটওয়্যার তৈরি করতে পারবেন।

গণিত ভালোভাবে জানলে—

ইসলামিক অর্থনীতি ও ফাইন্যান্সে মডেল তৈরি করতে পারবেন যা সুদমুক্ত অর্থব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবেন।

জাকাত, সাদকা, মাইক্রো-ইনভেস্টমেন্ট, এবং ওয়াকফ ব্যবস্থায় দক্ষভাবে হিসাব ও বিশ্লেষণ করা যাবে।

মুসলিম সমাজে বিজ্ঞান ও গণিতের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে নতুন প্রজন্মকে জ্ঞানী ও যুক্তিবাদী করে তুলতে পারবেন।

ইসলামি দর্শন ও আধুনিক বিজ্ঞানের সমন্বয় করে “ইলমে নাফে” (উপকারী জ্ঞান) চর্চা করতে পারবেন।

শিক্ষক বা গবেষক হিসেবে মুসলিম শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও বৈজ্ঞানিক দিক দিয়ে তৈরি করতে পারবে।

গণিতের প্রয়োগে মুসলিম দেশগুলোতে সাইবার নিরাপত্তা, ডেটা বিশ্লেষণ, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি উন্নত করা সম্ভব।

পরিসংখ্যান, ডেটা বিশ্লেষণ, জনসংখ্যা পরিকল্পনা, স্বাস্থ্যনীতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে গণিতভিত্তিক বিশ্লেষণ মুসলিম দেশগুলোর উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারে।

দারিদ্র্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নেও গণিত অপরিহার্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...